ভয়ঙ্কর...! ৪ যাত্রীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারল বাস ড্রাইভার! কারণ শুনলে শিউরে উঠবেন, ফাঁস হল পুনে মিনিবাস অগ্নিকাণ্ডের 'Untold Story'
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Pune Bus Fire Case: পুনের শিল্পনগরী হিসেবে বিবেচিত পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে একটি মিনিবাসে আচমকা আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। আগুনে চারজন কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পুলিশি তদন্ত থেকে এখন যে তথ্য উঠে এসেছে তা আরও ভয়াবহ ও শিউরে ওঠার মতো...
advertisement
1/13

পুনের শিল্পনগরী হিসেবে বিবেচিত পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে একটি মিনিবাসে আচমকা আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। আগুনে চারজন কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পুলিশি তদন্ত থেকে এখন যে তথ্য উঠে এসেছে তা আরও ভয়াবহ ও শিউরে ওঠার মতো।
advertisement
2/13
জানা গিয়েছে যে মিনিবাসটিতে আসলে আগুন লাগেনি, বরং আগুন লাগানো হয়েছিল। শেষ পাওয়া খবর বলছে, পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে বাস্তবে এই মিনিবাসের চালক জনার্দন হাবেরদিকারই এই গোটা ঘটনার মূলে।
advertisement
3/13
বুধবার সকালে পুনের হিঞ্জেওয়াড়ি ফেজ ওয়ান এলাকায় ভোমা গ্রাফিক্স কোম্পানির ১২ জন কর্মচারীকে নিয়ে যাচ্ছিল মিনিবাসটি। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, আচমকাই ওই ট্যুরিস্ট মিনিবাসে আগুন লেগে যায়।
advertisement
4/13
জানা যায়, মুহূর্তেই সেই আগুনে পুড়ে চারজন মারা যান ঘটনাস্থলেই। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন যাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। কিন্তু এরপর পুলিশ তদন্তের জাল ছড়াতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
advertisement
5/13
পোড়া মিনিবাসটি পরিদর্শন করা হলে, বাসের নীচে দেশলাইয়ের বাক্স এবং কাপড় পাওয়া যায়। সেখান থেকেই সন্দেহের সূত্রপাত। এরপরেই পুলিশ যখন চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন সে এক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দেয়।
advertisement
6/13
বাসচালক জানান, নিজে হাতেই বাসে একটা দেশলাই জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। যার ফলে রাসায়নিক বিস্ফোরণ ঘটে। নিজেকে বাঁচাতে অবশ্য বিস্ফোরণের আগেই গাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই 'ঘাতক' বাস ড্রাইভার। এমনটাই স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে সে।
advertisement
7/13
তদন্তে জানা গিয়েছে, ট্রাভেলার মিনিবাসটি ফেজ ওয়ানে এইচসিএল কোম্পানির সামনে এসে পৌঁছতেই ট্র্যাভেলারের চালক জনার্ধন চালাকি করে তাঁর সামনের সিটে আগুন ধরিয়ে দেন এবং চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়েন।
advertisement
8/13
চালক গাড়ি থেকে লাফিয়ে নামার পর হট্টগোল শুরু হয়। চালকবিহীন মিনিবাসটি ২০০ মিটার পথ পাড়ি দিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ততক্ষণে, দুজন লোক সামনের দরজা দিয়ে কোনওক্রমে লাফিয়ে বেরিয়ে আসেন।
advertisement
9/13
সময়মতো লাফিয়ে পড়ায় ওই দুই যাত্রী সামান্য আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। এদিকে একটি গাছে ধাক্কা লাগার পর মিনিবাসটিতে আগুন ধরে যায়। প্রাণ হাতে করে জ্বলন্ত অবস্থায় বাসের পিছন থেকে সামনে এসে লাফিয়ে নামেন আরও ৬ জন।
advertisement
10/13
কিন্তু পিছনের সিটে বসা চারজন আর নেমে উঠতে পারেননি। সিটের পিছনের দরজা খুলে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। দরজা বন্ধ থাকায় লেলিহান শিখার মধ্যেই ওই চারজন অফিস যাত্রী সিট এবং দরজার মাঝখানে আটকা পড়ে কার্যত শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান।
advertisement
11/13
এই ঘটনায় পুলিশ যখন চালক জনার্দনকে এই কাজের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন বেরিয়ে আসে আসল সত্য। সে জানায় সবার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই এই কাজ করেছে সে।
advertisement
12/13
দীপাবলির সময় বেতন কেটে নেওয়া হয়েছিল তাঁর। চালক জনার্দন হাবেরদিকার স্বীকার করে যে গাড়িতে থাকা ছয়জন কর্মচারী তাঁকে বারবার উত্ত্যক্ত করত আর সেই কারণেই মনে ক্ষোভ জমেছিল তাঁর। এদিন সুযোগ বুঝে তারই প্রতিশোধ নিয়েছে জনার্দন।
advertisement
13/13
জনার্দন পুলিশকে জানায়, প্রতিদিনের যাতায়াতের সময় ওই অফিস যাত্রীদের তিনজনের সঙ্গে সবসময় তর্ক-বিতর্ক হত তাঁর। সহকর্মীরা সবসময় নিজেদের মধ্যে পিক-আপ এবং ড্রপ-অফ নিয়ে তর্ক করত। উপরন্তু তাঁর সঙ্গে একজন শ্রমিকের মতো জঘন্য আচরণ করত। এই নিয়ে রাগ থেকেই, জনার্দন তাদের হত্যা করার জন্য এই ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ করেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে সে।