২০১৯ সালে দেশের জেলগুলিতে 'বিপজ্জনক' উপচে পড়া ভিড়, ১০ বছরে সর্বোচ্চ!
- Published by:Arindam Gupta
- news18 bangla
Last Updated:
২০১৯ সালের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-র প্রিজন স্ট্যাটিস্টিক্স রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতের জেলগুলিতে যত ভিড় বেড়েছে, গত ১০ বছরে তা হয়নি৷
advertisement
1/6

বহু বছর ধরেই ভারতের জেলগুলিতে জায়গার তুলনায় বেশি ভিড়ের অভিযোগ রয়েছে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলি এ নিয়ে বারবার সরব হয়েছে৷ এ বার একেবারে উপচে পড়ছে৷ ২০১৯ সালে ভারতের জেলগুলিতে উপচে পড়া ভিড়, যা গত ১০ বছরে সর্বোচ্চ৷
advertisement
2/6
২০১৯ সালের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-র প্রিজন স্ট্যাটিস্টিক্স রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতের জেলগুলিতে যত ভিড় বেড়েছে, গত ১০ বছরে তা হয়নি৷ এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে জেলের মোট ক্যাপাসিটির ১০৬.১ শতাংশ ভর্তি৷ সবচেয়ে বেশি দিল্লিতে, ১৭৪.৯ শতাংশ৷ তারপরেই উত্তরপ্রদেশ, ১৬৭.৯ শতাংশ৷
advertisement
3/6
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিত ডেটা অনুযায়ী, ভারতের বিভিন্ন জেল মিলিয়ে মোট ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬০০ বন্দি রয়েছে৷ যেখানে দেশে মোট জেল মিলিয়ে ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৭০০ জন বন্দি রাখার মতো জায়গা রয়েছে৷ যার নির্যাস, ১১৮.৫ শতাংশ বেশি বন্দি রয়েছে জেলগুলিতে৷ ২০১০ সাল থেকে যা সর্বোচ্চ৷
advertisement
4/6
২০১৮ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই বছর রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ১৮টি জেলে উপচে পড়া ভিড়ের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল৷ ২০১৯ সালে তা একলাফে বেড়ে ২১ হয়েছে৷ ২০১৯ সালে মোট ওভারক্রাউডেড বা উপচে পড়া ভিড় হওয়া জেলের তালিকায় রয়েছে ১১টি রাজ্য৷ এ গুলি হল, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ (১৬৭.৯ শতাংশ), উত্তরাখণ্ড (১৫৯ শতাংশ), মেঘালয়, মধপ্রদেশ, সিকিম, মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগড়, জম্মু-কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, গুজরাত, কেরল, মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচলপ্রদেশ, হরিয়ানা, অসম, দমন-দিউ, পঞ্জাব ও কর্নাটক৷
advertisement
5/6
আশঙ্কার বিষয় হল, উপচে পড়া ভিড় হওয়ায় ভাবাচ্ছে করোনা সংক্রমণ৷ কারণ, ইতিমধ্যেই ভারত করোনা সংক্রমণে গোটা বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে৷ দেশের বহু জেলেও বন্দিদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের খবর রয়েছে৷ সমীক্ষা বলছে, ভারতের প্রায় প্রতি ৮টি জেলে বন্দিদের বয়স গড়ে ৫০ বছরের উপরে৷ করোনা আক্রান্তের নিরিখে যে বয়স সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ৷
advertisement
6/6
আরও আশঙ্কার হল, বন্দিদের বিভিন্ন সময়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, কিংবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বা জেল চত্বরেও তারা ঘুরে বেড়ায়৷ ফলে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি৷ ২০১৯ সালে প্রতিদিন গড়ে ১২ হাজার বন্দিকে আদালতে পেশ করা হয়েছে৷ ১৩০০ বন্দিকে চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷