Prashant Kishor: নীতীশ কুমারের জন্য এতবড় সিদ্ধান্ত প্রশান্ত কিশোরের! বিহার ভোটের আগেই তোলপাড় ফেললেন পিকে! ফাঁস করে দিলেন সবচেয়ে বড় কারণ

পটনা: আপনি তাকে পছন্দ করতে পারেন, অপছন্দ করতে পারেন, কিন্তু বিহারের নির্বাচনী যুদ্ধে প্রাশান্ত কিশোর বা পিকে-কে উপেক্ষা করতে পারবেন না। বিহারের জটিল, জাতিগত রাজনীতিতে, পিকে বিহারবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, কেন তারা প্রায়ই রাজ্যের বাইরে উপহাসের পাত্র হন এবং কেন তারা চাকরির জন্য বাড়ি ফিরতে পারেন না, এবার ভেবে দেখুন।

News18-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, "এটা ভুল যে আমি বিহারের জাতি রাজনীতির বাস্তবতা মেনে নিতে চাই না। আমি মেনে নিই, কিন্তু আমি রাজ্যটিকে শুধুমাত্র জাতির প্রিজম থেকে দেখতে চাই না। যখন লোকেরা ১৯৮৪ দাঙ্গার পর কংগ্রেসের জন্য ভোট দিয়েছিল, যখন মোদি পুলওয়ামার ভিত্তিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন জাতি একটি ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছিল। লোকেরা ইস্যু এবং অনুভূতির উপর ভোট দিয়েছিল।"

প্রশান্তের জন সুরজ পার্টি বছর খানেক আগে তৈরি হওয়ার পর তিনি রাজ্য জুড়ে তিন বছর ধরে যাত্রা করছেন। পিকে-র এই যাত্রা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির ভোটার অধিকার যাত্রার মতোই জনপ্রিয় হয়েছিল।

কিন্তু পিকে-র কথায়, "রাহুল গান্ধির সেই যাত্রার কোনও প্রতিধ্বনি ছিল না। কিন্তু আমি মাসের পর মাস হেঁটেছি। আমি সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি, আমার সম্পদ, কাজ, পরিবার, এবং বিহারের মানুষের জন্য এটি করেছি।"

News 18-র এই সাক্ষাৎকারে পিকে তেজস্বীকে মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে ঘোষণা করা নিয়ে বলেন, "এটা কি বড় ব্যাপার? এটা বংশগত, বংশানুক্রমিক রাজনীতি। গেহলট বা রাহুল গান্ধি কে তেজস্বীকে ঘোষণা করার জন্য? লালু নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তাকে তৈরি করা হয়েছিল। আমার জন্য, তিনি কোনও ফ্যাক্টর নন।"

পিকে মনে করেন, তাঁর লড়াই শুধুমাত্র জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (NDA) এর সঙ্গে। নিজের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, "আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতাম যদি নীতীশ কুমার করতেন। কিন্তু তিনি করছেন না। যদি আমি এমপি হতে চাইতাম, আমি যে কাউকে জিজ্ঞাসা করতে পারতাম... আপনি কি মনে করেন যদি আমি দিদিকে ফোন করে রাজ্যসভা আসনের জন্য জিজ্ঞাসা করতাম, তিনি না বলতেন?"

নিজের জন্য একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করে, পিকে বলেন, বিহারে ১৪০ টি আসন জিতলেও তা তার জন্য পরাজয় হিসেবে দেখা হবে। "আমি রাজা নই। আমি রাজা নির্মাতা।"