Passport Rule Change: এক নয়, পাসপোর্টে এবার আসছে একাধিক বদল! আগে থেকে না জানলে পরে বিপদে পড়তে পারেন...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Passport Rule Change: ভারত সরকার ২০২৫ সালে পাসপোর্ট সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এই নতুন নিয়মগুলি পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজ করতে চলেছে। এছাড়াও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য কার্যকর করা হয়েছে। নতুন নিয়ম দেশজুড়ে নাগরিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে।
advertisement
1/11
জন্মতারিখ প্রমাণের জন্য জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক - ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর বা তার পরে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য জন্ম নথি বা বার্থ সার্টিফিকেটই একমাত্র বৈধ জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে। ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। এটি পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে এবং অসঙ্গতি দূর করবে।
advertisement
2/11
পুরনো নথিগুলি এখনও বৈধ - যারা ১ অক্টোবর ২০২৩-এর আগে জন্মেছেন, তারা আগের মতোই PAN কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্কুল সার্টিফিকেট বা সরকারি চাকরির নথি জমা দিতে পারবেন। তবে নতুন জন্ম নথি বা বার্থ সার্টিফিকেট এখনকার শিশুদের পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করতে সহায়তা করবে।
advertisement
3/11
ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্য প্রভাব - যেসব পরিবার বা ব্যবসায়িক সংস্থা প্রায়ই আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করে, তাদের এখন থেকে নবজাতকদের জন্ম নিবন্ধন দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। সময়মতো নথিপত্র সংগ্রহ না করলে পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হতে পারে।
advertisement
4/11
পাসপোর্ট থেকে ঠিকানার অপসারণ - ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পাসপোর্টের শেষ পৃষ্ঠায় আর বসবাসের ঠিকানা উল্লেখ থাকবে না। এর পরিবর্তে একটি কম্পিউটার রিডেবল বারকোড থাকবে, যা অভিবাসন কর্মকর্তাদের আরও দ্রুত ও নিরাপদ যাচাই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করবে।
advertisement
5/11
পরিচয় চুরির ঝুঁকি কমবে - নতুন এই নিয়মের ফলে পরিচয় চুরির আশঙ্কা কমবে এবং ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার ঠেকানো সম্ভব হবে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, বিশেষ করে যেখানে কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করতে হয়।
advertisement
6/11
নতুন রঙভিত্তিক পাসপোর্ট ব্যবস্থা - নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পাসপোর্টের রঙের মাধ্যমে নাগরিকদের শ্রেণিবিন্যাস করা হবে: সাদা পাসপোর্ট: সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য, লাল পাসপোর্ট: কূটনীতিকদের জন্য, নীল পাসপোর্ট: সাধারণ ভারতীয় নাগরিকদের জন্য (আগের মতোই)। এই পরিবর্তন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চেক-ইন ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে।
advertisement
7/11
পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি ভারত সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের (POPSK) সংখ্যা ৪৪২ থেকে ৬০০-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে। এটি বিশেষ করে গ্রামীণ ও মফস্বল এলাকার মানুষের জন্য পাসপোর্ট পরিষেবা আরও সহজলভ্য করে তুলবে।
advertisement
8/11
আবেদন প্রক্রিয়ায় দ্রুততা নতুন কেন্দ্র স্থাপনের ফলে আবেদন ও নবায়ন প্রক্রিয়া দ্রুত হবে এবং দীর্ঘ পথ ভ্রমণ না করেই নিকটবর্তী কেন্দ্রে গিয়ে পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
advertisement
9/11
পাসপোর্ট থেকে পিতামাতার নাম সরানো - ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ভারত সরকার পাসপোর্টের শেষ পৃষ্ঠায় পিতামাতার নাম উল্লেখ করার নিয়ম বাতিল করেছে। এটি বিশেষ করে একক অভিভাবক ও পৃথক পরিবার ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যক্তিদের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজ করবে।
advertisement
10/11
পরিচয় সংরক্ষণে আধুনিক নীতি - এই পরিবর্তন ভারত সরকারের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ ও আধুনিক নীতির প্রতিফলন। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও এটি অনেকের জন্য উপকারী হবে, কারণ এখন পরিবার সংক্রান্ত অতিরিক্ত তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
advertisement
11/11
ভারতের ২০২৫ সালের পাসপোর্ট নিয়মাবলী ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, আধুনিকীকরণের একটি বড় পদক্ষেপ। এই পরিবর্তনগুলি ব্যক্তি ও পরিবারদের নতুন কিছু নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করবে, তবে একই সঙ্গে ব্যবসা, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।