Hotel: প্রেমিকের সঙ্গে গোপনে হোটেলে ঢুকল ২ নাবালিকা, তারপরই শুরু অঝোরে কান্না, পুলিশ আসতেই বলল রাতে...

কিছু মানুষ ভাল কাজের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, আবার কিছু মানুষ খারাপ কাজের জন্য এটি ব্যবহার করে এবং তাদের জীবন নষ্ট করে। এর মধ্যে বিশেষ করে নাবালক মেয়ে এবং ছেলেরাও রয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে অপরিচিতদের সঙ্গে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং কয়েকদিন ধরে একে অপরের সঙ্গে চ্যাট করাটা এখন খুবই সাধারণ ব্যাপার। তবে শেষ পর্যন্ত এই ধরনের গল্পগুলি OYO হোটেলগুলিতেই শেষ হয়। তেলেঙ্গানাতেও এমনই একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তেলেঙ্গানায় প্রেমের নামে কিছু পুরুষ তরুনীদের ফাঁসিয়ে প্রতারণার ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি মেদচল মালকাজগিরি জেলার আলওয়ালে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। ইনস্টাগ্রামে দেখা হওয়া দুই যুবক দুই নাবালিকা মেয়েকে একটি OYO-তে নিয়ে যায় এবং হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

জানা গিয়েছে, দু'জনের বন্ধুত্ব হয়েছিল ইনস্টাগ্রামে৷ পুলিশ জানিয়েছে, যে ইসিআইএল এলাকার কর্ণাতি মেহানচাঁদ এবং দাম্মাইগুদা এলাকার আকুলা সাত্বিক দুই বন্ধু। এবং মাচাবোল্লারামের দুই মেয়ের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা দু'জনেই নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল এবং মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়।

ওই ২ যুবক পাঁচ মাস ধরে ফোনে তাদের সঙ্গে কথা বলেছিল। এবং ভালবাসার অভিনয় করছিল। তাদের বিশ্বাস করে, বুধবার দুই মেয়ে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরে না। যার ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে অভিভাবকরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মেয়েদের বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে,পুলিশ নিখোঁজ ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে৷ তারপরই পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করতে শুরু করে। অবশেষে ECIL-এর OYO হোটেলে তাদের পাওয়া যায়।

তদন্তে নেমে জানা যায়, যুবকরা মেয়েদের সঙ্গে নোংরা আচরণ করেছে, তারপরই তাদের দু'জনকেই গ্রেফতার করা হয়। যেহেতু মেয়ে দুটি নাবালিকা ছিল,তাই তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

তারপর পুলিশ মেয়েদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিয়ম লঙ্ঘন করে অনুমতি দেওয়া ওয়ো হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।