জেলেই চলছে অপরাধচক্রের দেখভাল? ‘তেরে নাম’ হেয়ারস্টাইল, সাদা ঝকঝকে জামা, নীল জিনসে কেতাদুরস্ত হয়ে প্যারোলে বেরোলেন গ্যাংস্টার নীরজ বাওয়ানা
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Neeraj Bawana: জেল থেকে বের হওয়ার সময় নীরজ বাওয়ানাকে সাদা শার্ট এবং নীল জিনস পরে থাকতে দেখা যায়। বেরিয়ে আসার সময় তিনি একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন।
advertisement
1/5

গ্যাংস্টার নীরজ বাওয়ানা দিল্লি হাই কোর্ট থেকে একদিনের হেফাজতে প্যারোল পেয়েছেন। এর পর তাঁকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হাসপাতালে আনা হয়েছে। যখন নীরজকে জেল থেকে বের করে আনা হয়, তখন তাঁকে সলমন খানের বিখ্যাত ‘তেরে নাম’ হেয়ারস্টাইলে দেখা যায়। তাঁকে এমন নিরাপত্তায় বের করে আনা হয়, যা একজন মুখ্যমন্ত্রীও খুব কমই পান।
advertisement
2/5

জেল থেকে বের হওয়ার সময় নীরজ বাওয়ানাকে সাদা শার্ট এবং নীল জিনস পরে থাকতে দেখা যায়। বেরিয়ে আসার সময় তিনি একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। নীরজের স্ত্রীর মস্তিষ্কে স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা রয়েছে। এই কারণেই তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য আদালতের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেছিলেন, যা আদালত মঞ্জুরও করেছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে নীরজ বাওয়ানাকে ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে একদিনের হেফাজতে জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে, যাতে তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন। এই কারণেই বাওয়ানাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে তাঁর স্ত্রী চিকিৎসাধীন।
advertisement
3/5
আদালত থেকে তিনি ৬ ঘণ্টার প্যারোল পেয়েছেন যাতে তিনি ডাক্তারের কাছ থেকে স্ত্রীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন। নীরজ সেহরাওয়াত ওরফে নীরজ বাওয়ানা প্রায় ১৮ বছর আগে অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দিল্লি এনসিআর-এ গ্যাংস্টার নীরজ বাওয়ানার নামই মূর্ত এক সন্ত্রাস! নীরজ দিল্লির বাওয়ানা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি তাঁর পদবীর বদলে গ্রামের নাম ব্যবহার করেন। অপরাধ জগতে তিনি এই নামেই পরিচিত। দিল্লি এবং অন্যান্য রাজ্যে নীরজের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি এবং মৃত্যুর হুমকির মতো অনেক গুরুতর মামলা দায়ের করা হয়েছে। নীরজ বাওয়ানা বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে বন্দী। ধারণা করা হচ্ছে, তিহারে যাওয়ার পরেও নীরজের কোনও পরিবর্তন হয়নি, তিনি জেল থেকেই তাঁর গ্যাং চালাচ্ছেন।
advertisement
4/5
২০২১ সালে যখন কুস্তিগীর সাগর ধনখড়কে হত্যা করা হয়, তখন সেই মামলায় নীরজ বাওয়ানার নামও উঠে আসে। এই মামলায় কুস্তিগীর ও অলিম্পিক পদক বিজয়ী সুশীল কুমারকে জেলে যেতে হয়েছিল। বলা হয় যে কুস্তিগীর সুশীলের পাশাপাশি নীরজ বাওয়ানার অনুচররা সাগর ধনকড়, সোনু মহল এবং অমিতকেও মারধর করে।
advertisement
5/5
এর পর সাগর ধনখড়ের মৃত্যু হয়। হাই কোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে প্যারোলে নীরজ কেবল তাঁর স্ত্রী এবং ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। তাঁকে অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না। আদালত স্পষ্টভাবে বলেছে যে নীরজ বাওয়ানাকে দিল্লি পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেই পুলিশি নজরদারিতেই কারাগারে ফিরিয়ে আনা হবে।