বিলাসবহুল জীবনযাপন, প্রতিবেশীদের হিংসা...আয়ের উৎস কী? সন্দেহ দানা বাঁধতেই এল পুলিশ! তার পর যা ঘটল অবিশ্বাস্য!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Secret Income: বিলাসবহুল জীবনের স্বপ্ন কে না দেখে? কিছু মানুষ দ্রুত ধনী হতে চায় এবং যে কোনও উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে প্রস্তুত। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে!
advertisement
1/9

শহরের অভিজাত এলাকায় চমৎকার ফ্ল্যাট, দামি গাড়ি, বিলাসবহুল জীবনযাপন—এই পরিবারকে দেখে প্রতিবেশীরা প্রায় ঈর্ষান্বিত! এত অল্প সময়ে এত টাকা এল কোথা থেকে? প্রশ্নটা সকলের মনেই ছিল, কিন্তু সরাসরি কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করার সাহস পাননি। (Representational Image)
advertisement
2/9
একদিন পুলিশের নজরে আসে এই পরিবার। সন্দেহ হয় তাঁদের আয়ের উৎস নিয়ে। তদন্ত শুরু হতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে থাকে। শেষমেশ এমন এক সত্য সামনে এল, যা শুনে পুলিশ কর্মকর্তারাও স্তব্ধ! (Representational Image)
advertisement
3/9
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩শে মার্চ দ্বারকা দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের হয় যে, ২৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। অভিযোগকারী অমন চৌহান পুলিশকে জানান, তিনি টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই দু’জন দুষ্কৃতী পেছন থেকে হামলা চালিয়ে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয় এবং হরিয়ানার রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত একটি গাড়িতে চেপে পালিয়ে যায়। (Representational Image)
advertisement
4/9
তদন্তে জানা যায়, গুরগাঁওয়ের গ্রান স্পিরিটস প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার ম্যানেজার অঙ্কিত সিংহ, কর্মী প্রমোদ কুমার কামাতকে দ্বারকা সেক্টর-১০ মেট্রো স্টেশন থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে সেক্টর-৮-এ চৌহানের হাতে তুলে দিতে বলেন। পরে জানা যায়, ওই ব্যাগে আসলে ২৫ লক্ষ টাকা ছিল। (Representational Image)
advertisement
5/9
পুলিশ জানিয়েছে, আগের ঋণ শোধ করতে ও বিলাসবহুল জীবনযাপন বজায় রাখতে কয়েকজন মিলে ষড়যন্ত্র করে একটি সংস্থার টাকা লুট করে। এই ডাকাতির ঘটনায় দিল্লির দ্বারকা এলাকা থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে লুটের কারণ জানার পর পুলিশেরও চমকে ওঠার মতো অবস্থা! (Representational Image)
advertisement
6/9
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, দ্বারকা অঞ্চলের একটি সংস্থা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা লুটের ঘটনার তদন্তে নেমে তারা ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে তিনজন ওই সংস্থারই কর্মী। তদন্তে জানা যায়, মূল অভিযুক্ত প্রমোদ কুমার কামাত (৩৬), ছোটে লাল (২৫) এবং সুভাষ (২৩) মিলে মাসখানেক ধরে এই পরিকল্পনা করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আগের ঋণ শোধ করা এবং দ্রুত ধনী হয়ে ওঠা। (Representational Image)
advertisement
7/9
কী ভাবে ঘটল ছিনতাই? ২৩শে মার্চ অভিযোগ দায়ের হয়, যেখানে বলা হয়, এক ব্যক্তি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই দু’জন দুষ্কৃতী আচমকা হামলা চালিয়ে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং হরিয়ানার নম্বর প্লেট লাগানো গাড়িতে চেপে পালিয়ে যায়। (Representational Image)
advertisement
8/9
প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, গুরগাঁওয়ের একটি সংস্থার ম্যানেজার অঙ্কিত সিংহ তাঁর কর্মী প্রমোদ কুমার কামাতকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে এক কর্মীর হাতে তুলে দিতে বলেন। কিন্তু কামাত তখনই এই সুযোগকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করে ফেলে। সে তার সহযোগীদের খবর দেয়, আর তার পর...! (Representational Image)
advertisement
9/9
তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ বুঝতে পারে, কামাতের আচরণ সন্দেহজনক। বারবার জেরা করতেই ফাঁস হয়ে যায় পুরো ষড়যন্ত্র! ছয়জন অভিযুক্ত ধরা পড়ে এবং উদ্ধার হয় ২৪.৫ লক্ষ টাকা, ব্যবহৃত গাড়ি ও ছিনতাইয়ের অস্ত্র। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এত বড় এক পরিকল্পনা এভাবে ফাঁস হয়ে যাবে, তা বোধহয় অভিযুক্তরাও কল্পনা করতে পারেনি! (Representational Image)