Kumbh Mela 2025: ২৭ বছর বাদে কুম্ভমেলায় হারিয়ে যাওয়া স্বামীকে ফিরে পেলেন স্ত্রী,বাবাকে পেয়ে আনন্দে মাতোয়ারা দুই সন্তান
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
২৭ বছর ধরে কাছের মানুষটাকে খুঁজছিল পরিবার। অবশেষে সেই খোঁজের অবসান হল। প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় যেমন অনেকে প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তেমনি আবার কুম্ভমেলাই ফিরিয়ে দিল কাছের মানুষকে
advertisement
1/7

২৭ বছর ধরে কাছের মানুষটাকে খুঁজছিল পরিবার। অবশেষে সেই খোঁজের অবসান হল। প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় যেমন অনেকে প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তেমনি আবার কুম্ভমেলাই ফিরিয়ে দিল কাছের মানুষকে।
advertisement
2/7
তবে গোড়া থেকেই বলা যাক! ২৭ বছর আগে, ১৯৯৮ সালে ধানবদের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন গঙ্গাসাগর যাদব নামে এক ব্যক্তি। অবশেষে তাঁকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিল প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলা। স্বামীকে ২৭ বছর বাদে কুম্ভমেলায় খুঁজে পেলেন স্ত্রী। বাবাকে এতদিন বাদে দেখে আবেগে ভাসল সন্তানেরা।
advertisement
3/7
গঙ্গাসাগরের স্ত্রী ধানোয়া দেবী। তাঁর দুই পুত্র কমলেশ এবং বিমলেশ। যদি কুম্ভমেলায় গঙ্গাসাগরকে খুঁজে পাওয়া যায়, এই আশা নিয়েই প্রয়াগরাজে এসেছিলেন তাঁরা। তাঁরা ভাবতেই পারেননি, সত্যিই দেখা মিলবে গঙ্গাসাগরের। তাঁরা দেখেন, মেলায় এক ব্যক্তি হুবহু গঙ্গাসাগরের মতো দেখতে। এমনকি মিলে যায় গঙ্গাসাগরের শরীরে থাকা চিহ্নগুলিও, যেমন লম্বা দাঁত,কপালে কাটা দাগ, হাঁটুতে কাটা দাগ।
advertisement
4/7
গঙ্গাসাগর যাদব ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬৫। তিনি ‘অঘোরি’। তাঁর নতুন নাম হয়েছে ‘বাবা রাজকুমার’। তবে পরিবার তাঁকে চিনতে পারলেও গঙ্গাসাগর মানতে নারাজ! উলটে তাঁর দাবি, তিনি বারাণসীর বাসিন্দা।
advertisement
5/7
কিন্তু ‘বাবা রাজকুমার’-এর কোনও কথাই মানতে চান না স্ত্রী ধানোয়া দেবী! তিনি নিশ্চিত‘বাবা রাজকুমার’-ই তাঁর হারিয়ে যাওয়া স্বামী। ইতিমধ্যেই কুম্ভমেলার পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। গঙ্গাসাগরের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা।
advertisement
6/7
গঙ্গাসাগরের এক আত্মীয় মুরলী যাদব বলেন, ‘‘মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব আমরা। যদি ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা যায়, এই ব্যক্তি গঙ্গাসাগর নন, তা হলে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।’’
advertisement
7/7
ধানোয়া দেবী জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালে পাটনায় গিয়েছিলেন গঙ্গাসাগর। তার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার স্বামীর গবাদি পশুর ব্যবসা ছিল। এক দিন সকালে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। ২৬ বছর ধরে অনেক খুঁজেছি,অপেক্ষায় থাকতাম। এ'বছর এক আত্মীয় কুম্ভমেলায় এসেছিলেন। তিনি এক ব্যক্তির ছবি তুলে পাঠান। সাধুর বেশে ওই ব্যক্তিকে দেখেই চিনতে পারি। আমার হারিয়ে যাওয়া স্বামী।'' তার পরই দুই পুত্রকে নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হয়েছেন ধানোয়া।