মদকে কি শুধু শুধুই বদনাম করা হয়! ২ মুখ্যমন্ত্রী এই মদের চক্করে নিজেদের চরম সর্বনাশ করেছেন, এবার এই মুখ্যমন্ত্রীও পড়লেন এই সর্বনাশের খপ্পরে
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
ঝাড়খণ্ড মদ কেলেঙ্কারি: দিল্লি, ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ডে মদ কেলেঙ্কারি: নেতাদের উপর তদন্তের আঁচ
advertisement
1/7

নয়াদিল্লি: মদ খুব খারাপ- সব জায়গাতেই বেশিরভাগ মানুষ এই কথা বলে, কিন্তু করে তার উল্টো। মদকে হাত লাগানো মানে নিজেকে ক্ষতি করা। তা সে নিজে মদ খেয়ে নিজের ক্ষতি করুন আর কোথাও আবার প্রশাসনিক -রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা নিজেদের স্বার্থে মদকে ব্যবহার করেন৷ কিন্তু তার ফল সাময়িক সময়ের জন্য ভাল হলেও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে এর ভয়ানক প্রভাব পড়ে৷ Photo- Representative
advertisement
2/7
মদ নিয়ে যারা কোনও কিছু করার চেষ্টা করেছেন, তার পরিণাম দুনিয়া দেখেছে। সে সাধারণ মানুষ হোক বা বড় নেতা। হ্যাঁ, মদ এমনি এমনি বদনাম নয়। মদের কারণে দিল্লি থেকে ছত্তিশগড়ের রাজনীতিতে ভূমিকম্প এসেছে। বলা হয় মদের কারণেই দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার পড়ে গেছে। এখন দিল্লি, ছত্তিশগড়ের পর ঝাড়খণ্ডে মদ কেলেঙ্কারির ভয়ানক চিত্র সামনে এসেছে৷ Photo- Representative
advertisement
3/7
আসলে, মদ কেলেঙ্কারির কারণে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেলেও গেছেন। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এখনও সরাসরি পরিণাম দেখতে পাননি। কিন্তু তার উপরও তদন্ত সংস্থার তলোয়ার ঝুলছে। ছত্তিশগড় মদ কেলেঙ্কারির তদন্তের আঁচ তার পর্যন্ত পৌঁছেছে। ছত্তিশগড় মদ কেলেঙ্কারিতে ভূপেশ বাঘেলের সংযোগ এখনও তদন্তের আওতায় আছে। এখনও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল হয়নি। কিন্তু এই কেলেঙ্কারির কারণে তার ভাবমূর্তিতে দাগ লেগেছে। এখন হেমন্ত সোরেনও একই ধরনের মদ কেলেঙ্কারির তদন্তের আঁচের মুখোমুখি হতে পারেন। কারণ বিনয় কুমার চৌবে একসময় তার প্রধান সচিব ছিলেন। Photo- Representative
advertisement
4/7
জেনে নিন ঝাড়খণ্ডে মদ কেলেঙ্কারির গল্প। ঝাড়খণ্ডের সিনিয়র আইএএস বিনয় কুমার চৌবের গ্রেফতারিতে হইচই পড়ে গেছে। মদ কেলেঙ্কারিতে বিনয় কুমার চৌবের গ্রেফতারি হয়েছে। তিনি এখন পঞ্চায়েতি রাজ বিভাগের প্রধান সচিব। এর আগে তিনি ঝাড়খণ্ডের উৎপাদন বিভাগের সচিব এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এই ঘটনা ২০২২ সালে ছত্তিশগড়ের ধাঁচে ঝাড়খণ্ডে প্রয়োগ হওয়া আবগারি নীতির গণ্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত। সেই সময় বিনয় কুমার চৌবে ঝাড়খণ্ডে আবগারি সচিবের পদে ছিলেন। ঝাড়খণ্ড মদ কেলেঙ্কারির শিকড় ছত্তিশগড়ের সাথে যুক্ত, যেখানে মদ কেলেঙ্কারিতে স্টেট মার্কেটিং কর্পোরেশন লিমিটেডের কর্মকর্তাদের এবং অনেক বড় ব্যবসায়ীদের ভূমিকা সামনে এসেছে। Photo- Representative
advertisement
5/7
এটা তখনকার কথা যখন হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। যদিও, তিনি ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এবং তারপর জুলাই ২০২৪ থেকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। হেমন্ত সোরেনের উপর এই মদ কেলেঙ্কারিতে সরাসরি কোনও অভিযোগ নেই। যদিও, তার প্রাক্তন প্রধান সচিব অর্থাৎ আইএএস কর্মকর্তা বিনয় কুমার চৌবের গ্রেফতারিতে হেমন্ত সোরেন প্রশ্নের আওতায় এসেছেন। ২০২২ সালের আবগারি নীতি প্রয়োগের সময় বিনয় কুমার হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বিনয় চৌবের উপর অভিযোগ যে তিনি নীতিতে পরিবর্তন করে একটি সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিয়েছেন, যেখানে মদের সরবরাহ এবং ম্যানপাওয়ার সরবরাহের টেন্ডারে কারচুপি করা হয়েছে। হেমন্ত সোরেনের নাম যদিও এখনও এই কেলেঙ্কারিতে নেই, কিন্তু বিনয় চৌবের গ্রেফতারিতে বিজেপিকে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ করার সুযোগ দিয়েছে। যতক্ষণ না মদ কেলেঙ্কারির তদন্ত শেষ হয়, ততক্ষণ ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে ভূমিকম্প থাকবে। Photo- Representative
advertisement
6/7
ছত্তিশগড়ের মদ কেলেঙ্কারি কথিতভাবে ২১৬১ কোটি টাকার। এই মদ কেলেঙ্কারি তখন হয়েছিল, যখন ছত্তিশগড়ে ভূপেশ বাঘেলের সরকার ছিল। অর্থাৎ ছত্তিশগড়ের কথিত মদ কেলেঙ্কারি ২০১৯ থেকে ২০২২ এর মধ্যে হয়েছিল। এই কেলেঙ্কারি আবগারি নীতির সাথে যুক্ত, এতে অবৈধ কমিশন, মানি লন্ডারিং এবং মদ বিক্রিতে কারচুপির অভিযোগ আছে। ইডির তদন্তে দাবি করা হয়েছে যে মদ নীতির সাথে যুক্ত নোটশিটে ভূপেশ বাঘেল এবং তৎকালীন আবগারি মন্ত্রী কবাসি লখমার সই ছিল। এই কেসে ইডি ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে রেডও মেরেছে এবং নগদও উদ্ধার করেছে। ভূপেশ বাঘেলের ছেলে চৈতন্য ইডির রাডারে আছেন। ইডির দাবি চৈতন্য এই কেলেঙ্কারির সুবিধাভোগী। তাকে তো সমনও জারি করা হয়েছে। যদিও, ভূপেশ বাঘেল তদন্তের আওতায় আছেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে এখনও কোনো প্রমাণ নেই। তাকে এখনও তদন্ত সংস্থা অভিযুক্তও করেনি। বলা হয় এই মদ কেলেঙ্কারির কারণে তাকে রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। Photo- Representative
advertisement
7/7
এখন গল্প দিল্লি মদ কেলেঙ্কারির। দিল্লির মদ কেলেঙ্কারি কে না জানে। এর চক্করে তো সিএম এবং ডেপুটি সিএম পর্যন্ত ধরা পড়েছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে মণীশ সিসোদিয়া পর্যন্ত জেলে যেতে হয়েছে। দিল্লি মদ কেলেঙ্কারি কেস ২০২১-২২ এর দিল্লি আবগারি নীতির সঙ্গে যুক্ত। এটি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার প্রয়োগ করেছিল। এই কেলেঙ্কারিতে ইডি থেকে সিবিআই পর্যন্ত কেজরিওয়ালের সেই সময়ের সরকারের পিছনে লেগেছিল। ইডি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এই কেলেঙ্কারির প্রধান ষড়যন্ত্রকারী বলেছে। এই মামলায় ইডি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ২১ মার্চ ২০২৪ এ গ্রেপ্তার করেছিল। বলা হয় মদ কেলেঙ্কারির কারণেই দিল্লির জনগণের মোহভঙ্গ হয়েছিল এবং ফলাফল আজ সবার সামনে। Photo- Representative