Jaishankar Interview: ‘আপনি ইউক্রেন দেখছেন, আমি দেখছি চিন-পাকিস্তান’, বিশ্ব রাজনীতির জুতসই জবাব, রইল বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকার
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ সম্পর্কে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কি আন্তর্জাতিক আইনে বিশ্বাস করেন না? জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘সংঘাতের কথা ভাবলেই ইউক্রেনের কথা মনে পড়ে। কিন্তু যখন আমি সংঘাতের কথা ভাবি, তখন আমার মনে পড়ে পাকিস্তান, সন্ত্রাসবাদ, চিন এবং আমাদের সীমান্তের কথা। এই কারণেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এক হতে পারে না।’’
advertisement
1/15

কাটা-কাটা মন্তব্যের জন্য তিনি বরাবরই বিখ্যাত। এবার ফের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইউরোপীয় দেশগুলির মুখ বন্ধ করে দিলেন। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ সম্পর্কে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কি আন্তর্জাতিক আইনে বিশ্বাস করেন না? জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘সংঘাতের কথা ভাবলেই ইউক্রেনের কথা মনে পড়ে। কিন্তু যখন আমি সংঘাতের কথা ভাবি, তখন আমার মনে পড়ে পাকিস্তান, সন্ত্রাসবাদ, চিন এবং আমাদের সীমান্তের কথা। এই কারণেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এক হতে পারে না।’’ জার্মান সংবাদপত্র ফ্রাঙ্কফুর্টার অলগেমেইন জেইতুং-এর এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর ইউরোপ-আমেরিকা এবং ভারতের পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কিত প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। রইল সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকার ৷ (PTI File Photo)
advertisement
2/15
প্রশ্ন: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা কী ছিল?জয়শঙ্কর: ভারত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত পদক্ষেপ নিয়েছে, যা কোনওভাবেই পরিস্থিতিকে পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে পরিচালিত করবে না। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গুলিবর্ষণ শুরু হয়, যার জবাবে ভারতও পাল্টা জবাব দেয় এবং পরে পাকিস্তানি পক্ষের অনুরোধে গুলিবর্ষণ বন্ধ করা হয়। আমরা বিশ্বাস করি না যে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি উত্তেজনা পারমাণবিক সঙ্কটে পরিণত হতে পারে। (Photo: Reuters)
advertisement
3/15
প্রশ্ন: সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি কি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে?জয়শঙ্কর: ভারত তার লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং সন্ত্রাসীদের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে আক্রমণের জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণের পর ভারত আত্মরক্ষায় পাল্টা জবাব দেয় এবং যখন পাকিস্তান বুঝতে পারে যে তাদের অবস্থা বিপজ্জনক, তখন গুলিবর্ষণ বন্ধ করা হয়। এই অবস্থা দুই সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। (File Photo/News18)
advertisement
4/15
প্রশ্ন: জার্মানি কি ভারতের পরিস্থিতি বোঝে?জয়শঙ্কর: সন্ত্রাসবাদের প্রতি ভারতের শূন্য সহনশীলতা নীতিকে সমর্থন করেছে জার্মানি। আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছে এটা স্পষ্ট যে সন্ত্রাসবাদের প্রতি ব্যবস্থা নেওয়া এবং সন্ত্রাসবাদীদের পালাতে না দেওয়াই প্রয়োজন।
advertisement
5/15
প্রশ্ন: ভারত কি তার অংশীদারদের কাছে পাকিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদের মধ্যে যোগসূত্র ব্যাখ্যা করেছে?জয়শঙ্কর: যে কেউ দেখতে পাবে যে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি পাকিস্তানের বিভিন্ন শহর থেকে প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালাচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবাদী তালিকা পাকিস্তানি নাম এবং স্থান দিয়ে পূর্ণ। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ একটি উন্মুক্ত ব্যবসা, যা সেখানকার সরকার এবং সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অর্থ এবং সহায়তা পায়।
advertisement
6/15
প্রশ্ন: যুদ্ধবিরতির জন্য কি আমেরিকাকে কৃতিত্ব দেওয়া যেতে পারে?জয়শঙ্কর: উভয় পক্ষের সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে গুলিবর্ষণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ভারত কার্যকরভাবে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিল, যার পর পাকিস্তান গুলিবর্ষণ বন্ধ করার প্রস্তাব দেয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ নেওয়ার পরই পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। (PTI File Photo)
advertisement
7/15
প্রশ্ন: ইউরোপ কি নতুন বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে?জয়শঙ্কর: ইউরোপে বড় পরিবর্তন ঘটছে, ইউরোপ এখন আরও স্বাধীন এবং নমনীয় হওয়ার কথা ভাবছে। ভারত এমন এক ইউরোপের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত হতে চায় যারা কেবল নিজের কথা ভাবে না।
advertisement
8/15
প্রশ্ন: আমেরিকার ভূমিকা আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?জয়শঙ্কর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ, তাই অন্যান্য দেশগুলিকে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করতে হবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব এবং বৈশ্বিক বিষয়গুলির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কেমন! ভারত সর্বদা একটি কঠিন পরিবেশে কাজ করেছে, তার জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
advertisement
9/15
প্রশ্ন: ভারত ও জার্মানির মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে দুই দেশের অবস্থানের মধ্যে পার্থক্য কেন?জয়শঙ্কর: একজন সঙ্গী অন্যজনের উদ্বেগ গ্রহণ করে বলে সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। ইউক্রেন ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, অন্য দিকে পাকিস্তান, সন্ত্রাসবাদ, চিন এবং আমাদের সীমান্ত ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, উভয়ের পদ্ধতি একই হতে পারে না।
advertisement
10/15
প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক আইনের গুরুত্ব কি বাড়ছে?জয়শঙ্কর: যখন আপনি নিয়মের কথা বলেন, তখন আপনার মনে পড়ে ইউক্রেনের কথা। যখন আমি নিয়মকানুন নিয়ে কথা বলি, তখন আমার মনে আসে আমাদের সীমান্ত, পাকিস্তান এবং চিনের কথা। যখন আপনি সীমানা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা বলেন, আমি ভাবি আমার সীমানার কী হবে!
advertisement
11/15
প্রশ্ন: রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্ব কীভাবে সম্ভব হয়?জয়শঙ্কর: ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সর্বদা স্থিতিশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং রাশিয়া কখনও ভারতের স্বার্থের ক্ষতি করেনি। তিনি বলেন, ভারত ও রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক এই অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
advertisement
12/15
প্রশ্ন: জার্মানি ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায়। কোনও বিধিনিষেধ আছে কি?জয়শঙ্কর: জার্মানি দীর্ঘদিন ধরে তার নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কের উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জার্মানি বুঝতে পেরেছে যে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার জন্য আরও কিছু করতে হবে। ভারত শক্তিশালী প্রযুক্তিগত ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা দিতে চায়, তবে এর জন্য সঠিক নীতি প্রয়োজন।
advertisement
13/15
প্রশ্ন: জার্মানি কি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে ভারতের নিরাপত্তা নীতি বোঝে? জয়শঙ্কর: জার্মানির বোধগম্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। (Photo: Reuters)
advertisement
14/15
প্রশ্ন: পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে চিনের কি ভূমিকা রয়েছে?জয়শঙ্কর: পাকিস্তানের কাছে চিন থেকে আনা অনেক অস্ত্র রয়েছে এবং দুটি দেশ খুব কাছাকাছি। এর থেকে নিজের সিদ্ধান্তে আসতে পারেন।
advertisement
15/15
প্রশ্ন: ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কি সম্পন্ন হবে?জয়শঙ্কর: এই বিষয়ের অগ্রগতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি ভন ডের লেইন স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে প্রকল্পটি বছরের শেষের মধ্যে সম্পন্ন করা উচিত। এই চুক্তির কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে, এটি ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্বের জন্য মঙ্গলজনক হবে।