হানিমুনে যাওয়া দম্পতিরাই কি টার্গেট? সোনম-রাজার সঙ্গে কী হয়েছে সবারই জানা উচিত
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Indore Couple Shillong Case: ছবির মতো সুন্দর নিসর্গ। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার জন্য উন্মুখ থাকেন অনেকেই। নববিবাহিত দম্পতিরা হানিমুনেও যে যেতে চাইবেন, সেটাও খুব স্বাভাবিক। তবে, নর্থ-ইস্ট বিশেষ করে তাঁদের জন্যই না কি নিরাপদ নয়। পর্যটকরা সেখানে পরিণত হচ্ছেন টার্গেটে। এমনটা কি সত্যি ?
advertisement
1/8

Report: Rishi Mishra (News18 Hindi): ছবির মতো সুন্দর নিসর্গ। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার জন্য উন্মুখ থাকেন অনেকেই। নববিবাহিত দম্পতিরা হানিমুনেও যে যেতে চাইবেন, সেটাও খুব স্বাভাবিক। তবে, নর্থ-ইস্ট বিশেষ করে তাঁদের জন্যই না কি নিরাপদ নয়। পর্যটকরা সেখানে পরিণত হচ্ছেন টার্গেটে। বিশেষ করে হানিমুনে যাঁরা যাচ্ছেন ৷ এমনটা কি সত্যি? ইনদওরের এক দম্পতির সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিপজ্জনক ঘটনাটি পুরো দেশকে হতবাক করেছে। ঠিক কী ঘটেছে, তা এখানে তুলে দেওয়া হল। (File Photo)
advertisement
2/8
ঘটনার সূত্রপাত: ঘটনা শুরু হয় ২২ মে, ২০২৫ তারিখে। ইনদওরের পরিবহন ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী এবং তাঁর স্ত্রী সোনম মধুচন্দ্রিমার জন্য মেঘালয়ের শিলংয়ে গিয়েছিলেন। ২৪ মে, ২০২৫ তারিখে সোনম তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন। তিনি তাঁকে বলেন, 'মা, আমি রাজার সঙ্গে জঙ্গলে ঘুরতে এসেছি। আমি আপনাকে পরে ফোন করব।' এর পরে, তাঁদের দুজনের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। যখন কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করে ওঠা যায়নি, তখন পরিবারের কিছু উদ্বিগ্ন সদস্য শিলংয়ে পৌঁছন।
advertisement
3/8
এর পরেও তাঁদের দুজনেরই কোনও খোঁজ মেলেনি। স্থানীয় পুলিশ তাদের খোঁজ শুরু করে। তল্লাশির সময় তাঁদের দুজনের অ্যাকটিভা পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্কুটিটি রাস্তার ধারে পার্ক করা ছিল। চারপাশে পাহাড় ছিল। এদিকে, বিষয়টি মিডিয়ার শিরোনাম হয়ে ওঠে। চাপ বেড়ে গেলে পুলিশ দ্রুত সক্রিয় হয়ে ওঠে। বৃষ্টির মধ্যেও দিনরাত অনুসন্ধান অব্যাহত ছিল। তারপর ১০ দিন পর একটি চমকপ্রদ খবর এল।
advertisement
4/8
মিলল দেহ: পাহাড়ে এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গেল। রাজার ভাইকে দেহ সনাক্ত করার জন্য ডাকা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের হাতে রাজা শব্দ লেখা একটি ট্যাটু ছিল। এটিই যথেষ্ট প্রমাণ যে এটি রাজার দেহ। রাজার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সোনমের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশ এখনও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এদিকে, রাজার দেহ থেকে সোনার চেন, আংটি এবং ব্রেসলেট পাওয়া যায়নি। মানিব্যাগটিও পাওয়া যায়নি। সবাই ভেবেছিল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, ব্যাপারটা অন্য কিছু।
advertisement
5/8
পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা যায় যে রাজার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দেখা যায় যে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে খুনে ব্যবহৃত গাছ কাটার যন্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। সোনমকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পর এই মামলায় এল নতুন মোড়। ইনদওরে রাজার বাড়িতে একটি বড় পোস্টার পড়ল। এতে স্বামী-স্ত্রীর ছবি রয়েছে। এই পোস্টারের মাধ্যমে রাজার জন্য ন্যায়বিচার দাবি করা হয়েছে। পোস্টারে লেখা আছে, ‘‘রাজার আত্মা কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে ডাকছে। আমি মরে যাইনি, আমাকে হত্যা করা হয়েছে, সিবিআই তদন্ত করুক।’’
advertisement
6/8
পরিবারের চাঞ্চল্যজনক দাবি: ঘটনার ১২ দিন পরও সোনমকে পাওয়া গেল না, কিন্তু শিলংয়ের পাহাড়ে সোনমের রেনকোট পাওয়া গেল। এখন, পরিবার এই পুরো বিষয়টি নিয়ে এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে যে রাজা এবং সোনম মধুচন্দ্রিমার জন্য শিলং যাচ্ছিলেন না। রাজা রঘুবংশীর মা বলেছেন, রাজা এবং সোনম মধুচন্দ্রিমার জন্য শিলং যাচ্ছিলেন না, বরং শ্রীলঙ্কা বেড়াতে যাচ্ছিলেন। কামাখ্যা দেবীর দর্শনের পর, কেউ তাঁদের শিলং চেরাপুঞ্জি ভ্রমণের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই ব্যক্তি তাঁদের বলেছিলেন যে মেঘালয় খুব সুন্দর একটি জায়গা। শিলং ঘুরে আসুন।
advertisement
7/8
অন্য দিকে, রাজার ভাই বিপিন যখন রাজা-সোনমের খোঁজে শিলং পৌঁছন, তখন ভিন্ন এক গল্প সামনে আসে। বিপিন অভিযোগ করেন যে শিলংয়ে একটি বড় গ্যাং সক্রিয়, যারা পুরুষ পর্যটকদের হত্যা করে এবং তাঁদের স্ত্রী বা মহিলা সঙ্গীদের বিক্রি করে। তিনি আরও বলেন যে গত মাসেও শিলং থেকে এক দম্পতি নিখোঁজ হয়েছিল, কিন্তু স্থানীয় পুলিশ অভিযোগও নথিভুক্ত করেনি। সম্প্রতি একজন বিদেশি নাগরিককেও হত্যা করা হয়েছে, যার মৃতদেহ এখনও তাঁর দেশে পাঠানো হয়নি। বিপিন দাবি করেছেন যে রাজার মৃত্যুর পর যখন তিনি থানায় পৌঁছন, তখন তাঁকে হয়রানি করা হয়েছিল। চাপের পর, রাত ৮টায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।
advertisement
8/8
বিপিন আরও বলেন যে তিনি সন্দেহ করেন যে রাজার স্ত্রী সোনম, যিনি রাজার হত্যার পর থেকে নিখোঁজ, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। বিপিন অ্যাকটিভা ভাড়া দেওয়া ব্যক্তি, স্থানীয় গাইড এবং তাঁরা যেখানে ছিলেন সেই হোটেল মালিকের উপর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি সেই চায়ের দোকানের উপরও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যেখানে রাজা এবং সোনম শেষবারের মতো চা খেয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ এদের জিজ্ঞাসাবাদও করছে না।