Indian Railways: এখন থেকে, যদি কোনও রেলস্টেশনে পা-ও রাখতে চান, তাহলেও আপনাকে দশবার ভাবতে হবে? অবাক করার মতো সিদ্ধান্ত..
- Published by:Satabdi Adhikary
Last Updated:
Indian Railways: ভারতে আধার ডেটাবেস একটি বিশাল ভাণ্ডার হয়ে উঠেছে। এতে আঙুলের ছাপ, আইরিস স্ক্যানের মতো তথ্য রয়েছে, পাশাপাশি প্রতিটি ব্যক্তির মুখের ছবিও রয়েছে। FRT এই ছবিগুলিও ব্যবহার করতে পারে। তবে এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। ভারতীয় আইন অনুসারে, আধার ডেটা ব্যবহারের জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। UIDAI অনুসারে, এটি শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের প্রমাণীকরণের জন্য ব্যবহার করা উচিত, সাধারণ নজরদারির জন্য নয়।
advertisement
1/8

সম্প্রতি, ভারতীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য একটি নতুন প্রযুক্তি চালু করেছে। এটি হল ফেসিয়াল রিকগনিশন টেকনোলজি (FRT)। এটি নয়াদিল্লি, মুম্বই সেন্ট্রাল, চেন্নাই সেন্ট্রাল এবং হাওড়ার মতো ৭টি ব্যস্ত রেলস্টেশনে প্রয়োগ করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি কেবল নিরাপত্তা উন্নত করতে পারে না বরং যাত্রীদের দ্রুত পরিষেবাও প্রদান করতে পারে। কীভাবে কাজ করবে এই ব্যবস্থা, আপনার-আমার রেলযাত্রায় কী প্রভাব ফেলবে এই প্রযুক্তি?
advertisement
2/8
ফেসিয়াল রিকগনিশন টেকনোলজি (FRT) কী? এই প্রযুক্তি আমাদের মুখের বৈশিষ্ট্যগুলি, বিশেষ করে চোখ, নাক, মুখ এবং মুখের আকৃতির অবস্থান সনাক্ত করে এবং একটি ডাটাবেসের ছবির সাথে তাদের তুলনা করে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদমের উপর নির্ভর করে।
advertisement
3/8
মুখ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি কেন প্রয়োজন? রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রীর ভিড় থাকে। এই ধরনের স্থানগুলিতে চুরি, সন্দেহজনক চলাচল, অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি থাকে। তাই, এই প্রযুক্তি ব্যবহার অপরাধীদের প্রাথমিক শনাক্তকরণ, সন্দেহভাজনদের ট্র্যাকিং এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।
advertisement
4/8
সুবিধা কী কী? নিরাপত্তা বৃদ্ধি: সন্দেহভাজনদের তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়। যাত্রীদের সুবিধা: টিকিট চেক দ্রুত সম্পন্ন হয়। তাদের লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন কম হয়। অপরাধ কমানো যেতে পারে, কারণ নজরদারি ব্যবস্থা অনেক কঠোর। স্টেশন ব্যবস্থাপনা উন্নত হয়, কারণ এটি যাত্রী প্রবাহ কেমন তা বুঝতে পারে।
advertisement
5/8
অসুবিধা কী কী? গোপনীয়তা না থাকা: ফেসরেকগনাইস হওয়া মানে আপনার মুখ ওই সিস্টেম চিনে ফেলবে৷ আপনার মুখের গঠন, নাক, ঠোঁট এবং সর্বোপরি চোখের তথ্য ওই সফটঅয়্যারের ডেটাবেসে চলে যাবে৷ এটা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য রেকর্ড করার শামিল। ভুল শনাক্তকরণের সম্ভাবনা: কম আলোয় বা মুখ ঢাকা থাকলে ভুল শনাক্তকরণের সম্ভাবনা থাকবে। উচ্চ ব্যয়: এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা খুব ব্যয়বহুল। ডেটা জালিয়াতির সম্ভাবনা: যদি এই তথ্য হ্যাক করা হয়, তবে এটি একটি বড় ঝুঁকি হবে।
advertisement
6/8
ভারতে এটি কোথায় ব্যবহার করা হয়? বিমানবন্দরে: ডিজি যাত্রার মাধ্যমে যাত্রীরা টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন। পুলিশ বিভাগ: দিল্লি পুলিশ ৩০০০ নিখোঁজ শিশুকে শনাক্ত করেছে। স্কুল ও কলেজ: শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ট্র্যাক করার জন্য। ব্যাঙ্ক: গ্রাহক যাচাইয়ের জন্য। ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একটি বড় পদক্ষেপ। এটি নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তবে, সরকারকে এর সাথে সম্পর্কিত গোপনীয়তা সমস্যা, খরচ এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটিগুলির কথাও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
advertisement
7/8
অন্যান্য দেশে এই প্রযুক্তি কেমন কাজ করছে? বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশে মুখের স্বীকৃতি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি বিশেষ করে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশে জনপ্রিয়। তবে, চীনে, এই প্রযুক্তিটি চৌরাস্তা থেকে শুরু করে শপিং মল পর্যন্ত সর্বত্র প্রয়োগ করা হয়।
advertisement
8/8
ভারতে আধার ডেটা কীভাবে ব্যবহার করা হয়? ভারতে আধার ডেটাবেস একটি বিশাল ভাণ্ডার হয়ে উঠেছে। এতে আঙুলের ছাপ, আইরিস স্ক্যানের মতো তথ্য রয়েছে, পাশাপাশি প্রতিটি ব্যক্তির মুখের ছবিও রয়েছে। FRT এই ছবিগুলিও ব্যবহার করতে পারে। তবে এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। ভারতীয় আইন অনুসারে, আধার ডেটা ব্যবহারের জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। UIDAI অনুসারে, এটি শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের প্রমাণীকরণের জন্য ব্যবহার করা উচিত, সাধারণ নজরদারির জন্য নয়।