IMD Weather Update: আগামী ৩ দিন...! ভারী বৃষ্টি-শিলাবৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়া কাঁপাবে ১৫ রাজ্যে! ৪ রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ! কী হবে বাংলায়? বর্ষশেষে 'বড়' ফাঁড়া? বিরাট আপডেট দিল IMD

সারা দেশে শীতের প্রকোপ বাড়লেও বড়দিনে বাংলায় ছিল শীত অমিল। ডিসেম্বর মাস শেষ হতেই শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশাও ছড়াতে শুরু করেছে। কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি ও তুষারপাতও হচ্ছে।

পাহাড়ে তুষারপাতের কারণে পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশের কয়েকটি শহরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।

রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রাও গত কয়েকদিন ধরে ১০-এর নীচেই রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পাহাড়ে তুষারপাতের কারণে শ্রীনগরে পারদ মাইনাস ৬ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।

হিমাচল প্রদেশে তুষারপাতের কারণে ৩টি জাতীয় সড়ক বন্ধ রয়েছে। ১৩৪টি রাস্তা অবরুদ্ধ। লাহৌল স্পিতির তাবো শহরে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১০.৬ ডিগ্রি। লাহৌল স্পিতিতে তুষারপাতের কারণে কমপক্ষে ১০০ জন পর্যটকের গাড়ি রাস্তায় আটকে পড়ে।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বঙ্গোপসাগর থেকে আসা বাতাসের কারণে মধ্য ভারত এবং উত্তর ভারতে শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। অনেক রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করবে এবং সেইসঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কতাও রয়েছে।

এই রাজ্যগুলিতে মেঘ বৃষ্টি হবে: আবহাওয়া দফতরের প্রতিবেদন অনুসারে, দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হয়েছে।

নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ এবং উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে পশ্চিম-মধ্য এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ এলাকায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই আবহাওয়ার প্রভাবের কারণে, ২৬ ডিসেম্বর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ ২৬ ডিসেম্বর তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কারাইকালের বিচ্ছিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হতে পারে। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্র সৈকত থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই রাজ্যগুলিতেও বৃষ্টি হতে পারে:আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, নিম্ন এবং মধ্য ট্রপোস্ফিয়ারে পশ্চিমী বাতাসের সঙ্গে একটি নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সক্রিয় হয়ে উঠছে।

দেশের মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত পূর্বদিকের বাতাসের সংস্পর্শে এলে ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর আরব সাগরের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর থেকে উচ্চ আর্দ্রতাযুক্ত বাতাস বয়ে যাবে। এই কারণে, ২৭ এবং ২৮ ডিসেম্বর পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর রাজস্থান, গুজরাত, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ এবং ২৬ থেকে ২৮ ডিসেম্বর মধ্য মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পূর্ব মধ্য প্রদেশ, পশ্চিম উত্তর প্রদেশে কেন্দ্রীয় রাজ্য, বিদর্ভ, ছত্তিশগড়, মারাঠওয়াড়া এবং গুজরাতে ঝড়ের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

এই রাজ্যগুলিতে শৈত্যপ্রবাহ-কুয়াশার সতর্কতা:আবহাওয়া দফতরের মতে, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, পঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকায় ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর কনকনে ঠান্ডা থাকবে।

উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লিতেও ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর ঠান্ডার দিন থাকতে পারে। ২৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, অসম, মেঘালয়, রাজস্থানে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

হিমাচল প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থল তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।

বাংলার আবহাওয়া:বর্ষশেষের উইকেন্ডে ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা দার্জিলিঙে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে। শনিবার উঁচু পার্বত্য এলাকায় হতে পারে হালকা তুষারপাত। সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, জাঁকিয়ে শীত উধাও হবে বছরের শেষে। যদিও হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায়।

পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এর প্রভাবেই আটকে উত্তুরে হাওয়া। কোথাও পরিষ্কার কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। আপাতত স্বাভাবিকের ওপরেই থাকছে বেশিরভাগ জায়গার তাপমাত্রা।

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বড় পরিবর্তন নেই আগামী তিন দিনে। রবিবারের পর সামান্য নামতে পারে পারদ। দু থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে মাত্র। শীতের আমেজ থাকলেও জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা কার্যত নেই বছরের শেষ দিনগুলিতে।