Latest Rain Update: বর্ষা এসে গিয়েছে! সক্রিয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু, দেশভর ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিপাতের বিশাল আপডেট

বর্ষাকাল অর্থাৎ মৌসুমি বায়ু কেরলে এন্ট্রি নিয়েছে ৷ প্রায় চারদিনের দেরিতে কেরলে প্রবেশ করেছে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

এরপরেই ঝমাঝম বৃষ্টি হয়েছে ৷ এমনিতেই কেরল উপকূলে বর্ষা প্রবেশ পয়লা জুন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুপ প্রবেশ করে ৷ এবার সেটি চারদিন ৷ প্রতীকী ছবি ৷

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় যত শক্তিশালী হয়েছে ততই দুর্বল হয়েছে মৌসুমি বায়ু ৷ এই মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ ভারত থেকে উত্তর ভারতের দিকে এগিয়ে যাবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

ফলে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে থাকবে ৷ যেকোনও ভাবেই কেরলে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হয়ে থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কেরলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে ৮ জুন ২০২৩ থেকে ৷ কোচি ও কুঁবালাধিতে তুমুল ভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

কাঠফাটা রোদ ও তুমুল গরমের পরেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে ৷ বিদেশি শব্দ মনসুন এর উৎপত্তি মনকাও থেকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

মূল শব্দটি আসলে আরবি শব্দ মাবসিম থেকেই মৌসম-এর উৎপত্তি হয়েছে ৷ এই শব্দটি হিন্দি, উর্দু উত্তর ভারতের বিভিন্ন ভাষার ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়েছে ৷

একটি ডাচ শব্দ মানসনের সঙ্গেই এর বিশেষ মিল আছে ৷ জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই চার মাস ভারতে বর্ষাকাল সক্রিয় থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকেই মাঝে মাঝেই মৌসুমি বায়ু নিয়ে নানান ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

গরমের মধ্যে যখন ভারত মহাসাগরের উপরে সূর্য বিষুবত রেখার উপরে অবস্থান করে ঠিক তখনই মৌসুমি বায়ুর সৃষ্টি হয়ে থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

ঠিক সেই সময়েই পৃথিবীর তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৪৬ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকে ৷ এই প্রক্রিয়ায় গরম হতে হতে সমুদ্রের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছয় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

ফলে ভারত মহাসাগরের ঠিক দক্ষিণ প্রান্তে মৌসুমি বায়ু ও হাওয়া প্রবেশ করতে থাকে ৷ এরপরেই এই বায়ু সক্রিয় হতে থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

এরফলেই ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ প্রান্তে মনসুন সক্রিয় হতে থাকে ৷ পরস্পর পরস্পরকে অতিক্রম করে বিষ্ণুপত রেখা পার করে এশিয়ার দিকে অগ্রসর হতে থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

একমাত্র একলা ভারতীয় মহাদ্বীপই এমন এক জায়গা যেখানে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ৷ বছরের নির্দিষ্ট সময় ধরেই ঝড়জল হয়ে থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

এরফলে এটাও বলা যেতে পারে সূর্যের তাপ ও পৃথিবীর অত্যন্ত তাপমাত্রার ফলে জন্ম নেয় বর্ষাকাল ৷ এরফলে সমু্দ্রের উপরের এলাকায় মেঘ জমতে থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

বিষ্ণুবত রেখা হাওয়া ও মেঘ বৃষ্টিপাত হতে হতে বাংলার উপকূল আরব সাগরের দিকে এগিয়ে যায় ৷ এরফলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা সমুদ্রতলের তাপমাত্রার থেকে কয়েকগুণ বেশি হয়ে থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

এই পরিস্থিতিতে বাতাস মাটির দিক পর্যন্ত বইতে থাকে ৷ এই হাওয়ার ফলেই সমুদ্রে বাষ্পতে পরিণত হয়, পরবর্তী সময়ে তা ঘনীভূত হয়ে থাকে একই সঙ্গে বৃষ্টিপাত হতে থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

বাংলার উপকূল থেকে উৎপন্ন হয়ে আরব সাগর পর্যন্ত পৌঁছনোর পরে মৌসুমি বায়ু ছটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

একটি শাখা আরব সাগরের পক্ষ থেকে মুম্বই, গুজরাত, রাজস্থান হয়ে এগিয়ে যায়, অপর শাখা পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বিহার, পূর্বোত্তর রাজ্য হয়ে হিমালয়ে ধাক্কা খেয়ে গাঙ্গেয় এলাকার দিকে ঘুরে যায় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

এরফলেই জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই সারা দেশে ঝমাঝম বৃষ্টি হয় ৷ মে-র দ্বিতীয় সপ্তাহে বর্ষা প্রবেশ করে আন্দামানে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

এরফলেই কেরল উপকূলে সাধারণত. বর্ষা প্রবেশ করে ১ জুন ২০২৩ ৷ আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে মনে করেন যদি হিমালয় না থাকত তাহলে ভারতের সমতল এলাকায় বৃষ্টিপাত হতই না ৷ প্রতীকী ছবি ৷

মৌসুমি বায়ু পশ্চিমবঙ্গের উপকূল হয়ে এগিয়ে গিয়ে হিমালয়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরে যায় উত্তর ভারত ও সমতল এলাকায় ৷ ভারতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত রাজস্থানে সামান্য হয়ে শেষ হয়ে যায় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেও রাজস্থানে ঠিকঠাক বৃষ্টিপাত হয় ৷ ভারতেকর প্রায় ৬৯ শতাংশ চাষবাষ বৃষ্টিপাতের উপরে নির্ভর করে ৷ বিদ্যুৎ উৎপাদন, নদীর জলস্তর বর্ষার উপরেও নির্ভর করে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

পূর্ব থেকে পূর্বোত্তর রাজ্যে গড়ে ২০০ থেকে ১,০০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ৷ যদি ও রাজস্থান ও তামিলনাড়ুর বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাত ১০-১৫ মিলি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

চেরাপুঞ্জিতে প্রায় ১,১০০ মিলি বৃষ্টিপাত হয় ৷ এই ভাবেই সারা দেশে প্রতি বছরই নির্দিষ্ট পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷