Chenab Bridge: বিশ্বের উচ্চতম রেলব্রিজ নির্মাণ শুধুই প্রযুক্তি-পরিশ্রমে হয়নি! মূল কাণ্ডারিদের অন্যতম ২ পশু, 'কারা' তারা? চেনাব সেতুর অজানা গল্প
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Chenab Railway Bridge Unknown Facts: ব্রিজ তৈরিতে মানুষের বুদ্ধি এবং প্রযুক্তি তো বটেই, সব মুশকিল আসান করেছে ঘোড়া এবং খচ্চর। চেনাব নদীর উত্তর তীরে ১১ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ তীরে ১২ কিলোমিটার রাস্তা কাটা হয়েছে। এসব রুট দিয়ে ভারী মেশিন, ইস্পাত ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
1/8

*হিমালয়ের উঁচু-নিচু পাহাড়ে একসময় প্রতিধ্বনিত হতো ঘোড়া ও খচ্চরের শব্দ। তখন কেউ কল্পনাও করেনিএকদিন এই আঁকাবাঁকা রাস্তার ওপর বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু নির্মিত হবে। কিন্তু ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের জেদ ও সাহস সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত রেল সংযোগের স্বপ্ন পূরণে চেনাব সেতু একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। তবে এটি শুধু ইস্পাত ও কংক্রিটের গল্প নয়, মানুষের সাহস ও আবেগেরও গল্প।
advertisement
2/8
*প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেতুর নির্মাণস্থলে পৌঁছানো। রাস্তা ছিল না, পাকা রাস্তা তো অনেক দূর। শুধু ছিল সরু পাহাড়ি পথ। বর্তমানে সেখানে ৩৬০ মিটার উঁচু একটি রেলসেতু দাঁড়িয়ে, চেনাব সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়া ভারতবাসীদের কাছে স্বপ্নের মতো।
advertisement
3/8
*ব্রিজ তৈরিতে মানুষের বুদ্ধি এবং প্রযুক্তি তো বটেই, শোব মুশকিল আসান করেছে ঘোড়া এবং খচ্চর। অ্যাফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, 'প্রথমদিকে প্রকল্প দলের সদস্যরা খচ্চর ও ঘোড়ার সহায়তায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতেন। ধীরে ধীরে অস্থায়ী রাস্তা তৈরি হয়, যা পরে স্থায়ী সড়কে রূপান্তরিত হয়েছে।
advertisement
4/8
*এই কঠিন খাঁড়া ভূখণ্ডকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের প্রয়োজন ছিল। চেনাব নদীর উত্তর তীরে ১১ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ তীরে ১২ কিলোমিটার রাস্তা কাটা হয়েছে। এসব রুট দিয়ে ভারী মেশিন, ইস্পাত ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
5/8
*শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন তেরঙ্গা পতাকা নেড়ে পায়ে হেঁটে ব্রিজের উপরে পৌঁছন, তখন তা দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার প্রতীক হয়ে ওঠে। চেনাব সেতুর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী অঞ্জি রেল সেতু, উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ (ইউএসবিআরএল) এবং বন্দে ভারত ট্রেনেরও সূচনা করেন।
advertisement
6/8
*হিমালয়কে নিজেদের নাগালে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ক্রসবার, কেবল ক্রেন এবং ভারী যন্ত্রপাতি বিশাল খিলানের ভিত্তি স্থাপনের জন্য পুরানো, নড়বড়ে জায়গাগুলিকে শক্তিশালী করা হয়। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল এই প্রকল্পের জন্য ছিল অন্যতম ঐতিহাসিক দিন। চেনাবের দু'পাশের পাহাড় থেকে উঠে আসা ক্যান্টিলিভার খিলানগুলো সেদিন সংযুক্ত হয়। বছরের পর বছর গণনা, সাহস এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার পরে ভিত্তি করে প্রকল্প বাস্তবে রূপ পায়।
advertisement
7/8
*ভারতে রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ট্রানজিশন কার্ভ এবং অনুদৈর্ঘ্য গ্রেডিয়েন্টে একযোগে বর্ধিত লঞ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। এই সেতুটি কেবল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নমুনা নয়, বৈজ্ঞানিক নির্ভুলতাও। নির্মাণের মানের সঙ্গে যাতে কোনও আপস না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্প এলাকায় একটি ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিজ (এনএবিএল) সার্টিফাইড ল্যাব স্থাপন করা হয়েছিল।
advertisement
8/8
*বর্তমানে সেতুটি চেনাব নদী থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচু, যা প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ৩৫ মিটার উঁচু। এটি শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু এই মুহূর্তে। এটি কেবল ইস্পাতের গল্প নয়, এটি সাহস এবং আশার গল্প, গোটা ভারতবাসীর স্বপ্নের গল্প।