Trump Tariff Impact on India: ‘বন্ধু’ ভারতকেও ছাড়ল না ট্রাম্প! চাপল ২৬% মার্কিন শুল্ক, ধাক্কা খাবে কোন কোন সেক্টর? দাম বাড়তে পারে বহু জিনিসের
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
ট্রাম্প বলেন, ভারত আমেরিকার উপরে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে থাকে৷ তাই আমেরিকা ভারতের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছেন৷
advertisement
1/8

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ২৬% পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছেন। ২ এপ্রিল দিনটিকে আমেরিকার বাণিজ্যের 'মুক্তি দিবস' হিসাবে অভিহিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এতদিন বহ দেশ ‘লুট, ধর্ষণ’ করেছে৷ সেই পরম্পরাতেই ইতি টানতে চাইছে তাঁর সরকার৷ বলেন, ‘‘২০২৫ সালের ২ এপ্রিল আমেরিকার বাণিজ্যের পুনর্জন্ম হল৷ এই দিনটা থেকে আমরা আবার আমেরিকাকে ধনী করে তোলার চেষ্টা শুরু করলাম৷’’
advertisement
2/8
ডোনাল্ড ট্রাম্প এদিন পরিবর্তিত ট্যারিফ চার্ট দেখানোর আগে ভারত সম্পর্কে জানান, ‘‘ভারতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব খুব কঠিন, খুব খুব কঠিন৷ এই ক’দিন আগেই সেদেশের প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন৷ উনি (নরেন্দ্র মোদি) আমার খুব ভাল বন্ধু৷ কিন্তু আমি বলেছিলেন, ‘আপনি আমার বন্ধু, কিন্তু আপনারা আমাদের সঙ্গে এটা ঠিক করছেন না৷’ ভারত আমাদের কাছ থেকে ৫২ শতাংশ শুল্ক নেয়৷ আপনাদের এটা বুঝতে হবে, বছরের পর বছর আমরা কোনও শুল্ক চাপাইনি৷ এই ৭ বছর আগে আমি যখন এলাম, চিন থেকে শুরু করলাম৷’’
advertisement
3/8
ট্রাম্প বলেন, ভারত আমেরিকার উপরে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে থাকে৷ তাই আমেরিকা ভারতের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছেন৷ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, পণ্যে্র উপরে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করার কারণে কৃষি, রাসায়নিক, চিকিৎসা সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং অটো মোবাইল সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে৷ এই পারস্পরিক শুল্ক ভারতের ইলেকট্রনিক্স খাতকে প্রভাবিত করবে, যা ২০২৪ সালের মার্চ মাসে শেষ হওয়া আর্থিক বছর পর্যন্ত ৩২% রফতানির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল ছিল।
advertisement
4/8
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, আমদানি ও রফতানি শুল্কের পার্থক্য যত বাড়বে, তত সেটা প্রভাব ফেলবে বাজারে৷ রাসায়নিক ও ওষুধ খাতে শুল্কের পার্থক্য ৮.৬ শতাংশ, প্লাস্টিকের জন্য ৫.৬ শতাংশ, টেক্সটাইলের জন্য ১.৪ শতাংশ, হীরা, সোনা এবং গহনার জন্য ১৩.৩ শতাংশ, লোহা, ইস্পাত এবং বেস ধাতুর জন্য ২.৫ শতাংশ, যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটারের জন্য ৫.৩ শতাংশ, ইলেকট্রনিক্সের জন্য ৭.২ শতাংশ এবং অটোমোবাইল এবং অটো যন্ত্রাংশের জন্য ২৩.১ শতাংশ।
advertisement
5/8
শুল্কের পার্থক্য ২৪.৯৯ শতাংশ হওয়ায় প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, চিনি এবং কোকো রপ্তানিও প্রভাবিত হতে পারে। গত বছর এর রপ্তানি ছিল ১.০৩ বিলিয়ন ডলার। একইভাবে, শস্য, শাকসবজি, ফল এবং মশলা খাতে শুল্কের পার্থক্য ৫.৭২ শতাংশ। একজন রপ্তানিকারক বলেন, শুল্কের পার্থক্য যত বেশি হবে, সংশ্লিষ্ট খাত তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
advertisement
6/8
ভারতের টেক্সটাইল এবং পোশাক সেক্টর আমেরিকায় রফতানির ক্ষেত্রে চিন এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারে৷ চিনের উপর পারস্পরিক শুল্ক ৩৪% এবং ভিয়েতনামের উপর ৪৬% বৃদ্ধি করেছে ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ধিত শুল্কের ফলে ট্রাক রফতানিকারী সংস্থাগুলির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
advertisement
7/8
ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফকে আপাতত অব্যাহতি দিয়েছে ট্রাম্প৷ এর ফলে সান ফার্মা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাজস্বের ৩৩%), ডঃ রেড্ডি'স ল্যাবরেটরিজ (৪৮.৫%) এবং অরবিন্দ ফার্মা (৪৮.৩%) এর মতো ভারতীয় কোম্পানিগুলি স্বস্তি পাবে। সর্বশেষ শুল্ক ঘোষণা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত অন্যান্য খাতগুলি হল ইস্পাত, তামা, সোনার মুদ্রা, শক্তি এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট খনিজ পদার্থ।
advertisement
8/8
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের কারণে ২১টি দেশের উপরে প্রভাব পড়ছে৷ সেগুলি হল আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইৎজারল্যান্ড, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ব্রিটেন এবং ভিয়েতনাম৷