Divorce Case: দেওরের সঙ্গে পরকীয়ার জেরে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ! মিলছিল খোরপোশও, হাই কোর্টে যেতেই পড়লেন বিপদে

ছত্তিশগড় হাইকোর্ট রায় দিয়েছে যে যার অবৈধ সম্পর্কের কারণে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, তিনি ফৌজদারি আইনের ১২৫ নম্বর (CrPC) ধারায় খোরপোশ পেতে পারেন না। পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছিন্না ওই মহিলাকে মাসিক ৪,০০০ টাকা খোরপোশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা বাতিল করেছে ছত্তিসগড় হাই কোর্ট। Representative Image

বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ভার্মার বেঞ্চে স্বামী খোরপোশের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিলেন। সেই সঙ্গে, স্ত্রী এটি বাড়ানোরও দাবি করেছিলেন। তারই রায় দিল আদালত।

২০১৯-এ বিয়ে করেছিলেন ওই দম্পতি, কিন্তু কিছু দিন পরেই স্ত্রী, স্বামী এবং তার পরিবারের দ্বারা মানসিক নির্যাতন এবং অবহেলার অভিযোগ তোলেন, দাবি করেন যে তাকে মার্চ ২০২১-এ শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি রায়পুরের পরিবার আদালতে মাসিক ২০,০০০ টাকা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আবেদন করেন। মহিলার প্রাক্তন স্বামী সরকারি চাকরি করেন এবং অন্যান্য আয়ের উৎস্যও রয়েছে।Representative Image

তবে, স্বামী দাবি করেন যে স্ত্রী তার ছোট ভাই, অর্থাৎ দেওরের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিলেন, যার ফলে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন—পরিবার আদালতে অভিযোগব প্রমাণিত হয় এবং সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কারণে বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করে।

তবুও, পরিবার আদালত স্ত্রীর জন্য ৪,০০০ টাকা খোরপোশের নির্দেশ দেয়, যা হাই কোর্ট বাতিল করল। ফৌজদারি আইনের ধারা ১২৫(৪) উল্লেখ করে, আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। যা অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত স্ত্রীর খোরপোশ পাওয়ার বিরোধী।

আদালত বলেছে, “একজন বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রী, যিনি পরকীয়ায় লিপ্ত থাকেন, অর্থাৎ তার প্রাক্তন স্বামী ছাড়া অন্য একজন পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থাকেন, তিনি ওই আইনে খোরপোশের দাবি করতে পারেন না"।