বিষ বাতাস! জ্বলছে চোখ-মুখ! দূষণে জেরবার দিল্লিবাসী
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
সোমবার সকালে মরশুমের সর্বাধিক বায়ুদূষণ ধরা পড়েছে রাজধানী দিল্লিতে
advertisement
1/6

#নয়াদিল্লি: লকডাউনের পর পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল দিল্লির আবহাওয়া। কল-কারখানা বন্ধ। যানবাহন চলছিল না। প্রতিবেশী রাজ্যে খড় পোড়ানো হচ্ছিল না। তাই পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হয়েছিল। যমুনায় ফিরে এসেছিল নীল জল। কিন্তু সে সুখ দীর্ঘস্থায়ী হল না। ফের দূষণে জেরবার দিল্লি। ধোঁয়াশায় ঢেকেছে রাজধানী। দিওয়ালির আগেই লাগামছাড়া দিল্লির দূষণ।
advertisement
2/6
শহরের অনেক অঞ্চলে বাতাসের গুণমান এমন যে এটিতে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে দিল্লিবাসীদের। দূষণের ফলে বহু জায়গায় দৃশ্যমানতা অনেক কমে গিয়েছে। সোমবার সকালে দিল্লির অনেক অঞ্চল কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল। এর ফলে রাস্তার কিছু দেখতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে, দূষণের কারণে মানুষের চোখ জ্বলছে।
advertisement
3/6
সোমবারও সকালেও দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার বায়ুর গুণগত মানের (AQI) সূচক ছিল ৪৫০-এর বেশি। আইটিও-র বাতাস একেবারে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। আজ সকালে হআইটিও-র এইয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৪৭২, যা মারাত্মক বিভাগে পড়ে।
advertisement
4/6
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ০ থেকে ৫০ হল সবচেয়ে ভালো৷ ৫১ থেকে ১০০ হল, সন্তোষজনক৷ ১০১ থেকে ১০০ মাঝারি, ২০১ থেকে ৩০০ খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০ অতি খারাপ৷ ৪০০ থেকে ৫০০ হল বিপদজ্জনক৷ তবে গত কয়েক দিন ধরে নয়াদিল্লি, গ্রেটার নয়েডা, গাজিয়াবাদ, গুড়গাঁও এবং দিল্লি-সহ ফরিদাবাদে বায়ু দূষণের ফলে মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে।
advertisement
5/6
অন্যদিকে, আনন্দ বিহারের একিউআই ছিল ৪৮৪, মুন্ডকায় ৪৭০, ওখলা ফেজ ২ তে ৪৬৫ এবং বজিরপুরে ছিল ৪৬৮। দূষণে ক্রমশ বাড়ছে তীব্র শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও নানা ধরনের অ্যালার্জির রোগী। বাড়ছে ফুসফুস ও শ্বাসজনিত রোগ। দিনদিন বাড়ছে অ্যালার্জিক রাইনিটিস, অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, অ্যানাফিলেক্সিস-এ আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে অ্যাটোপিক একজিমা বা অন্যান্য চর্মরোগও। দীর্ঘ দূষণে ক্রমশ কমছে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
advertisement
6/6
যদিও যারা ইতিমধ্যে অসুস্থ তাদের খুব উপরে প্রভাব আরও মারাত্মক হবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দূষিত বাতায় ফুসফুস বা শরীরের অন্যান্য অংশে যে ক্ষতি করে, তাতে দেহের ভাইরাস সংক্রমণ রোখার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে শীতের মরসুমে কোভিড ও দূষণের জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয়ে ধরাশায়ী হবেন বহু মানুষ।