অপারেশন সিঁদুর চলছিল পুরোদমে, পর্যুদস্ত পাকিস্তান, হঠাৎ কেন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়? কারণ জানালেন CDS অনিল চৌহান
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Operation Sindoor Ceasefire News: ২২ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে পর্যটকদের রক্তপাতের পর ভারত চুপ করে বসে থাকেনি। পরিচালিত হয়েছে অপারেশন সিঁদুর। এদেশে বসেই পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি, বিমানঘাঁটি তছনছ করেছে ভারতীয় সেনা। অপারেশন সিঁদুর যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই ১০ মে, ২০২৫ তারিখে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন।
advertisement
1/5

সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে একাধিকবার। তবে, ২২ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে পর্যটকদের রক্তপাতের পর ভারত চুপ করে বসে থাকেনি। পরিচালিত হয়েছে অপারেশন সিঁদুর। এদেশে বসেই পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি, বিমানঘাঁটি তছনছ করেছে ভারতীয় সেনা। অপারেশন সিঁদুর যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই ১০ মে, ২০২৫ তারিখে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। প্রশ্ন ছিল অনেকের মনেই যে কেন এত তাড়াতাড়ি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এই সিদ্ধান্তের প্রায় ২০ দিন পর পুরো বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে এসেছে। শনিবার সিঙ্গাপুরে শাংরি-লা ডায়লগে এর কারণ ব্যাখ্যা করেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি বলেন, ভারত তার কূটনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত তিন দিনের মধ্যে তার সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করেছে। অতএব, সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করাই ছিল সঠিক কৌশল।
advertisement
2/5
৭ মে, ২০২৫ তারিখে মধ্যরাতে অপারেশন সিঁদুর শুরু হয়। এই পদক্ষেপটি ছিল ২২ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিশোধ। সেই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি সন্ত্রাসবাদী আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ১০০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়। তাদের মধ্যে জইশ-ই-মহম্মদ নেতা আব্দুল রউফ আজহারও ছিলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনী সুনির্দিষ্ট কৌশলে আক্রমণ চালায়। পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্কারদু, জাকোবাবাদ, সরগোধা এবং ভোলারির মতো বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়।
advertisement
3/5
পাকিস্তান যদিও চুপ করে বসে থাকেনি। তাদের তরফ থেকেও আক্রমণ হয়েছিল। ৭ থেকে ১০ মে, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চালানো হয়। এতে ১৫ জন ভারতীয় অসামরিক নাগরিক এবং একজন সেনা নিহত হন। ভারতও পাল্টা আক্রমণ করে। ১০ মে, ২০২৫ তারিখ সকালে ভারতীয় বিমানবাহিনী BrahMos ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। পাকিস্তানের নূর খান-চাকলালা বিমানবন্দর ধ্বংস হয়ে যায়। এই ঘাঁটিটি রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত। বিপুল সংখ্যক পাকিস্তানি সেনাও নিহত হয়। উপায় না দেখে এর পর পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আবেদন করে। ভারত তা মেনে নেয়। (File Image/PTI)
advertisement
4/5
সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান সিঙ্গাপুরে বলেছেন যে ভারত এই অভিযানে সম্পূর্ণ স্পষ্টতা এবং স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে কাজ করেছে। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে ভারত দীর্ঘমেয়াদী কৌশল তৈরি করেছে। বর্তমানে ভারত অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং মানব উন্নয়নে প্রতিবেশী দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এটি সেই কৌশলের ফলাফল। জেনারেল চৌহান বলেন, ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করেছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নওয়াজ শরিফকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের কাছ থেকে ভারত কেবল শত্রুতাই পেয়েছে। অতএব, এখন সঠিক কৌশল হল তার থেকে নিজেকে দূরে রাখা।
advertisement
5/5
যুদ্ধবিরতির পরেও ভারত সতর্ক রয়েছে। সেনাবাহিনী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে পাকিস্তান যদি আবার কিছু করে তাহলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। অপারেশন সিঁদুর সফলভাবে ভারতের শক্তি প্রদর্শন করেছে। এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নীরব থাকবে না।