Air India Plane Crash Black Box: সর্বনাশ! এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্সের এ কী অবস্থা! দেখেই চমকে উঠল সকলে! আর কি কখনও জানা যাবে দুর্ঘটনার আসল কারণ?

এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত, কোনও রেকর্ড পাওয়া কঠিন! দুর্ঘটনার কারণ কি আর জানা যাবে কখনও? কিন্তু কেন

আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান বিপর্যয়ের আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা বিশ্ব। শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে বিমান টেক-অফ হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই।

সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এক সংবাদসংস্থার দাবি, দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১ বিমানের ব্ল্যাক বক্সও।

আদৌ ওই ব্ল্যাক বক্স থেকে কোনও তথ্য উদ্ধার করা যাবে কিনা, সেটা নিয়েই তৈরি হয়েছে বড় সংশয়। এমনটাই খবর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। শোনা যাচ্ছে, ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধারে সেটিকে আমেরিকায় পাঠানো হতে পারে।

বিমানে দু’টি যন্ত্র থাকে। একটিকে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) বলে। তার কাজ ককপিটের কথাবার্তা সংরক্ষণ করা। আর দ্বিতীয় যন্ত্রটি হল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। উড়ান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তাতে সংরক্ষিত থাকে।

এই দু’টি যন্ত্রকেই একত্রে ব্ল্যাক বক্স বলে। কোনও বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এই ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষা করেই তার কারণ জানা যায়। অহমদাবাদে দুর্ঘটনার কবলে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটির ব্ল্যাক বক্সও উদ্ধার করা হয়েছে।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ব্ল্যাক বক্সটিকে যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে তথ্য উদ্ধার করা একটু কঠিন। তাই সেটিকে আমেরিকায় পাঠানোর কথা ভাবা হয়েছে।

অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্সটিকে ওয়াশিংটন ডিসির 'ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ড'-এ পাঠানো হতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে অনুমতি দিলে তবেই।

গত ১২ জুন বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ব্রিটেনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ যাত্রিবাহী প্লেনটি। বোয়িং সংস্থার এই ড্রিমলাইনার বিমানে এর আগে বড়সড় দুর্ঘটনা হয়নি।

কিন্তু সে দিন রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি ভেঙে পড়ে। মুহূর্তে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারপাশ। বিমানে আগুন ধরে যায়। এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে ২৪২ জন ছিলেন। ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়।