Winter Vagina: শীতে যৌন জীবনে ভাঁটা ফেলতে পারে যৌনাঙ্গ! কোন পথে মুক্তি? জানুন কী ভাবে প্রেমের জোয়ারে ভাসবে প্রতিটি মুহূর্ত...

জানেন 'শীতকালীন যোনি' অর্থাৎ 'উইন্টার ভ্যাজাইনা' কি? আপনার অজান্তেই এই যৌনাঙ্গের সমস্যা আপনার যৌন জীবনে নিয়ে আসতে পারে চরম বিপর্যয়। কিন্তু এমন নয় যে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব নয়। তাই জেনে নিন কীভাবে এটি যৌন জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আর কোন পথেই বা এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শীতের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলের ওপর। ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে যায়। আমরা সকলেই জানি যে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকক্ষেত্রেই বাড়ির হিটিং চালু হয়, বিশেষ করে যে সমস্ত জায়গায় বেশি ঠান্ডা পরে। কিন্তু এতে আপনার ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে প্রবলভাবে। এমন পরিস্থিতিতে শুষ্ক ত্বক এবং ফাটা ঠোঁট একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যা আমরা হ্যান্ড ক্রিম এবং লিপবাম লাগিয়ে দূর করি।

কিন্তু সেই শুষ্কতা যখন আপনার গোপনাঙ্গ সহ শরীরের সমস্ত অংশকে প্রভাবিত করতে শুরু করবে? নিউইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীতে যোনিপথও শুষ্ক হতে পারে। আপনিও এর শিকার নন তো? কখনও কি শীতকালীন যোনি সম্পর্কে শুনেছেন? আসুন বুঝে নেওয়া যাক, এই শীতকালীন যোনি আসলে কী? এর লক্ষণগুলি কী এবং কীভাবে এটি থেকে মুক্তি পাবেন।

শীতের যোনি বা উইন্টার ভ্যাজাইনা কী? লন্ডন ব্রিজ প্লাস্টিক সার্জারি অ্যান্ড অ্যাসথেটিক ক্লিনিকের সিনিয়র নার্স মেরি বার্ক মিডিয়াকে বলেন, শীতের মাসগুলোতে নারীদের যোনিপথে শুষ্কতা বেশি হতে পারে। শুষ্ক শরৎ এবং শীতের বাতাস শরীরকে আর্দ্রতা থেকে বঞ্চিত করে, ত্বককে জলহীন করে তোলে। আমাদের সাইনাসও শুকিয়ে যায়। একই সময়ে, যোনিও এই সময়ে শুকনো মোডে প্রবেশ করতে পারে। যখন আমরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে অনেক সময় ব্যয় করি, বা গরম করার সময়, আমরা এমন বাতাসে বাস করি যেখানে খুব কম আর্দ্রতা থাকে৷ আমরা যে শুষ্কতা অনুভব করি তা প্রায়শই আমাদের শরীরের প্রতিটি ইঞ্চি পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে যার মধ্যে আমাদের গোপনাঙ্গও কিন্তু বাদ যায় না। এই বিষয়ে খানিকটা ভিন্নমত পোষন করে ডাঃ জেন গুন্টার বলছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন একজন মহিলার গোপনাঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে যোনিপথের শুষ্কতার কোনও সম্পর্ক নেই।

যখন আমরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে অনেক সময় ব্যয় করি, বা গরম করার সময়, আমরা এমন বাতাসে বাস করি যেখানে খুব কম আর্দ্রতা থাকে৷ আমরা যে শুষ্কতা অনুভব করি তা প্রায়শই আমাদের শরীরের প্রতিটি ইঞ্চি পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে যার মধ্যে আমাদের গোপনাঙ্গও কিন্তু বাদ যায় না। এই বিষয়ে খানিকটা ভিন্নমত পোষন করে ডাঃ জেন গুন্টার বলছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন একজন মহিলার গোপনাঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে যোনিপথের শুষ্কতার কোনও সম্পর্ক নেই। প্রতীকী ছবি। 

ডাঃ জেন গুন্টারের মতে, সব ঋতুতেই যোনি খুব ভালো কাজ করে। যোনি আপনার শরীরের অভ্যন্তরে একটি ধ্রুবক তাপমাত্রা বজায় রাখে এবং মানুষের শরীরের তাপমাত্রা শুধুমাত্র বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে বৃদ্ধি পায় যখন কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। যোনি শুষ্কতা একটি গুরুতর দুর্বল অবস্থা যা সব বয়সের মহিলাদের প্রভাবিত করতে পারে। এটি বিব্রতকর হতে পারে এবং এটি যৌনতাকে অসহনীয়ভাবে বেদনাদায়ক করে তুলতে পারে।

যৌন মিলনে অস্বস্তি এবং যোনিতে জ্বালাপোড়া পাশাপাশি সহবাসের সময় লিঙ্গ থেকে বিক্ষিপ্ত উত্তেজিত হওয়া এবং প্রচণ্ড উত্তেজনায় পৌঁছাতে অসুবিধা এই ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে শীতকালীন যোনির সমস্যার ফলে।

যদিও এটি একটি খুব সাধারণ সমস্যা, এটি সাধারণত এমন মহিলাদের প্রভাবিত করে যারা মেনোপজের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন বা ইতিমধ্যেই মেনোপজের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন৷ নির্দিষ্ট ওষুধ, ডায়াবেটিস, স্তন্যপান করানো বা সন্তান জন্মদান সহ অন্যান্য কারণগুলিও একটি কারণ হতে পারে৷ একজন মহিলার অভিজ্ঞতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে৷ যোনিতে শুষ্কতা। একই সময়ে, কিছু ক্ষেত্রে, মহিলাদের যৌন হরমোন ইস্ট্রোজেনের কম মাত্রাও কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বিশ্বাস, শীতকালে যোনিতে একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া ইস্ট্রোজেন এবং হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মতো চিকিৎসারও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। সেইসঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবনধারা পরিবর্তন করা যোনিপথের শুষ্কতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে, যার মধ্যে আপনার খাদ্যাভ্যাসও রয়েছে।

উইন্টার ভ্যাজাইনা-জনিত সমস্যায় থাকাকালীন এই টিপসগুলি অনুসরণ করুন: দিনে একবার আপেলের রস পান করুন। যোনি শুষ্কতা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলে হতে পারে। কিন্তু আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় ফাইটোস্ট্রোজেন যুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করে এই ভারসাম্যহীনতাকে একই স্তরে ফিরিয়ে আনতে পারেন। ফাইটোয়েস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে আপেলের রস, চেরি, ফ্ল্যাক্সবীজ এবং অন্যান্য তৈলবীজ।

সবুজ শাক সবজি খান শাক-সবজি শরীরকে দীর্ঘ সময় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও নাইট্রেট রয়েছে। এটি যোনিপথের শুষ্কতা প্রতিরোধে সহায়ক। সবুজ শাক ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, যা আপনার অন্তরঙ্গ পেশী সুস্থ রাখে।তে সাহায্য করে৷ সত্য: প্রথম দিকে প্রচুর পরিমাণে স্যালাড খাওয়া শুরু করলে শরীরের ওজন হয়তো কমবে৷ কিন্তু রোজ খেতে থাকলে অন্ত্র শুষ্ক হয়ে যাবে আর তার জেরে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দেবে৷

ক্যান্টালুপ এবং তরমুজ অবশ্যই খেতে হবে একটি সুস্থ যোনির pH মাত্রা 3.8 থেকে 4.5 এর মধ্যে। যদি এটি এই স্তরের বাইরে যায় তবে আপনি কিছু অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই ক্যান্টালুপ এবং তরমুজ খান। এই দুটি ফলের মধ্যে রয়েছে সিট্রুলাইন, যা যোনিপথের জন্য খুবই ভাল। এছাড়াও, এটি শরীরের রক্তনালীগুলিকে শিথিল করে।

নারকেল খাওয়া উপকারী নারকেল শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করার জন্য খুব ভাল বলে পরিচিত এবং যোনি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে। অন্যদিকে, নারকেলের জলে রয়েছে লরিক অ্যাসিড, যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে।

স্ট্রেস লেভেল কমান নারীরা যখন মানসিক চাপে পড়েন, তখন তাদের অবস্থাকে মিনি মেনোপজ বলা হয়। একজন নারী জীবনের সেই পর্যায়ে না থাকলেও এটার কারণে এই উইন্টার ভ্যাজাইনার সমস্যা হতে পারে।