Winter Cough Cold Homely Relief: শীতের আগে নাছোরবান্দা কাশি-সর্দি, সারাদিন ঘ্যান ঘ্যানে মেজাজ, শরীর চাঙ্গা রাখার ম্যাজিক ফর্মুলা! প্রতিদিন মানুন

ভারতে মোট ছয়টি ঋতু রয়েছে এবং প্রতিটি ঋতু দুই মাসে বিভক্ত। এই পরিবর্তনশীল ঋতু অনুযায়ী আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে আমরা আমাদের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারি। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে আমাদের শরীরেও কিছু পরিবর্তন ঘটে। এখন হেমন্ত ঋতু শেষ হয়ে শীতের ঋতু শুরু হতে চলেছে। এই সময়টিকে উভয় ঋতুর মিশ্র কাল বলে মনে করা হয়। এই কারণে আমরা সন্ধ্যায় ঠান্ডা এবং দিনের বেলা গরম অনুভব করি।

এই ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব শরীরে পড়ে -এই মিশ্র ঋতুতে বিশেষ করে আমাদের শরীরে কফ জমতে শুরু করে, যার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এর প্রভাব আমাদের ত্বক এবং স্বাস্থ্যের উপর দেখা দিতে শুরু করে, যেমন দাদ, একজিমা, গুটি বসন্ত, অ্যালার্জি, হাঁপানি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ হতে পারে। এগুলো এড়াতে আয়ুষ বিভাগ কিছু আয়ুর্বেদিক প্রতিকারের পরামর্শ দিয়েছে।

আয়ুর্বেদিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এই রোগগুলি এড়িয়ে চলতে হবে -১) দুই চামচ তুলসীর রসে দুই চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা সেবন করতে হবে।

২) ঔষধি জল: ১০ গ্লাস জলে দুই চামচ আদা সিদ্ধ করতে হবে। যখন পাঁচ গ্লাস জল থাকবে, তখন ফিল্টার করতে হবে এবং পান করতে হবে।

৩) ধূপকর্ম: ৫০ গ্রাম সালাই গুগ্গুল, ১০ গ্রাম মূলা, ১০ গ্রাম সরিষা, ১০ গ্রাম নিম পাতা এবং ২০ গ্রাম গরুর ঘি মিশিয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় রোদে পোড়াতে হবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরে বসেই যা করতে হবে -১) শীতকালে সংক্রমণ এড়াতে ৩ গ্রাম ঘিতে হলুদ গুঁড়ো করে মধুর সঙ্গে সেবন করতে হবে।

২) হলুদ গুঁড়ো এবং শুকনো আদা গুঁড়ো মধুর সঙে মিশিয়ে খেতে হবে, এতে মরশুমি রোগ প্রতিরোধ হবে।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় শরীর সুস্থ থাকে:১) আয়ুর্বেদ অনুসারে, স্নান এবং পান করার জন্য সর্বদা গরম জল ব্যবহার করা উচিত, ঠান্ডা জল এড়িয়ে চলতে হবে।

২) সর্দি-কাশি হলে মুখে রুমাল বা হাত রাখতে হবে। সকালে ও সন্ধ্যায় হলুদ ও লবণযুক্ত গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩) তাজা এবং ঠান্ডা খাবার, যেমন দই, লস্যি, আইসক্রিম এড়িয়ে চলতে হবে। হালকা এবং সহজে হজমযোগ্য খাবার যেমন খেজুর, ধনেপাতা এবং ভাজা ছোলা খেতে হবে।

৪) দুই ফোঁটা গাওয়া ঘি নাকে দিতে হবে যাতে নাসারন্ধ্র পরিষ্কার থাকে।