কান্না চেপে রাখেন? কত বড় 'ভুল' জানেন...! কাঁদার ৭ চমকপ্রদ 'উপকারিতা' জানলে অবাক হবেন!

অনেকেই ভাবেন, কাঁদা দুর্বলতার লক্ষণ। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, কান্না আমাদের মানসিক ও আবেগিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কান্না শুধু হৃদয়ের ভারই কমায় না, বরং মানসিক চাপ কমিয়ে মনকে শিথিল করতেও সাহায্য করে। কান্নার কী কী উপকারিতা রয়েছে? জানাচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান।

যদি আমরা আমাদের আবেগ চেপে রাখি, তবে তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কান্নাকে দুর্বলতা নয়, বরং নিজের শক্তি হিসেবে দেখুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কান্না কীভাবে আমাদের উপকারে আসে।

কান্না স্বাস্থ্যকর কেন? নিজেকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে – মেডিক্যাল নিউজ টুডে-র মতে, যখন আমরা কাঁদি, তখন আমাদের প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম (PNS) সক্রিয় হয়, যা আমাদের মানসিক শান্তি ও শিথিলতা দেয়। এই প্রক্রিয়া স্ট্রেস কমায় এবং আমাদের আরও ভাল অনুভব করতে সাহায্য করে।

সহানুভূতি ও মানসিক সমর্থন পাওয়া যায় – কান্না শুধু নিজেকে হালকা করার মাধ্যমই নয়, এটি আমাদের কাছের মানুষদেরও বোঝায় যে আমরা সাহায্য বা মানসিক সমর্থন চাইছি। এটি আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে এবং আবেগিক সহায়তা পেতে সাহায্য করে।

ব্যথা কমায় – যখন আমরা কাঁদি, তখন আমাদের শরীর থেকে "ফিল গুড" হরমোন যেমন অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক এবং শারীরিক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই কান্নার পর আমাদের মনে হালকা ও প্রশান্তি আসে।

মনের অবস্থা ভাল করে– কান্নার সময় আমাদের মস্তিষ্ক থেকে কিছু রাসায়নিক নিঃসৃত হয়, যা আমাদের মুড ভাল করতে সাহায্য করে। এজন্যই আমরা কান্নার পর হালকা এবং ইতিবাচক অনুভব করি।

কান্না আমাদের মানসিক ভার কমিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তাই নিজের আবেগকে চেপে না রেখে প্রকাশ করাই সবচেয়ে ভাল উপায়!