Best Age To Get Pregnant: ২৫-২৮-৩০ নাকি ৩৫? মা হওয়ার 'পারফেক্ট' বয়স কত? কোন বয়সে গর্ভধারণ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ

*বর্তমান যুগে কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক দম্পতি একটু বেশি বয়সে মা হওয়া পছন্দ করেন। আগেকার দিনের মতো কুড়ির কোঠায় সন্তান জন্ম দিতে নারাজ অনেকে মহিলারাই। তার প্রধান কারণ পড়াশোনা, কেরিয়ার কিংবা আর্থিক অবস্থা। ফাইল ছবি।

*বর্তমান সময়ে মেয়েরাও পুরুষদের মতো সমানতালে ঘরে বাইরে সমান ব্যস্ত। তবে সে ক্ষেত্রে দেরিতে বেবিনেওয়ার সিদ্ধান্ত বা একটা লম্বা গ্যাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় মহিলাদের। ফাইল ছবি।

*রায়গঞ্জের বিশিষ্ট গাইনোলজিস্ট ডক্টর উৎপল পাঁজা জানান, বয়স তিরিশের কোঠা পেরোনোর পরে প্রেগন্যান্সিতে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ৫০ বছর বয়সের আগে প্রজনন ক্ষমতা খুব একটা কমে না। ফাইল ছবি।

*ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ ও একটি গবেষণার লেখক ক্যাথেরিন গোয়েটজিঙ্গার, এমডি, বার্নস-ইহুদি হাসপাতাল এই প্রসঙ্গে বলেন, "মাতৃত্বকালীন বয়স, ৩৫ বছর বা তার বেশি হলে, ডাউন সিনড্রোমের মতো ক্রোমোজোম অস্বাভাবিকতায় আক্রান্ত শিশুর জন্মের জন্য একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ঝুঁকির কারণ হতে পারে।"

*মহিলাদের ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তান ধারণের ক্ষমতা ভাল থাকে এরপরই তা দ্রুত কমতে শুরু করে। তবে দেরি করে বাচ্চা নেওয়া মানে যে সকলকেই বিভিন্ন জটিলতার মধ্যে পড়তে হবে তার নাও হতে পারে। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে শারীরিক ও মানসিকভাবে একটা মহিলা কতটা ফিট কতটা অ্যাকটিভ লাইফস্টাইলের মধ্যে রয়েছেন সেদিকে। ফাইল ছবি।

*৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সি মহিলাদের গর্ভাবস্থার অনেক সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে, তবে একটি ক্ষেত্রে তাদের একটি সুবিধা রয়েছে বলে মনে হয়। তাদের কম বয়সি মহিলাদের তুলনায় বড় কোনও জন্মগত সমস্যা নিয়ে সন্তান জন্মানোর ঝুঁকি কম থাকে। ফাইল ছবি।

*সন্তান ধারণের আদর্শ বয়স কত? বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০ দশকের শেষদিক থেকে ৩০-এর কোঠার প্রথম বছরগুলি মহিলাদের গর্ভধারণ করা সবচেয়ে ভাল। সঠিক বয়সে মা হওয়ার সুফল মা এবং শিশু উভয়ই ভোগ করে। ফাইল ছবি।

*উর্বরতার উপর বয়সের প্রভাব: একজন মহিলার সারা জীবনে প্রায় ২০ লক্ষ ডিম্বাণু তৈরি হয় এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুর সংখ্যা কমতে থাকে।৩৭ বছর বয়সে মাত্র পঁচিশ হাজার ডিম অবশিষ্ট থাকে যেখানে ৫১ বছর বয়সে ১,০০০ ডিম অবশিষ্ট থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ডিম্বাণুর মানও খারাপ হতে থাকে। ফাইল ছবি।

*উর্বরতা হ্রাসকারী কারণগুলি: এন্ডোমেট্রিওসিস এবং টিউবাল রোগের মতো অবস্থার বিকাশও উর্বরতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এগুলির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ফাইল ছবি।

*বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুর পরিমাণ কমবে। জন্মগ্রহণের সময় একজন মেয়ে শিশুর ডিম্বাশয়ে প্রায় ১০-২০ লক্ষ ডিম্বাণু থাকে। বয়স যখন ৩৭ বছর, তখন সেই ডিম্বাণু কমে ২৫ হাজার গিয়ে পৌঁছয়। যা পরবর্তীতে বাচ্চা নিতে সমস্যা দেখা দেয়। তাই দেরি না করে ৩০-এর আগেই বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ। ফাইল ছবি।