Vitamin D vs Fish Oil: ভিটামিন D নাকি আঁশটে গন্ধযুক্ত ফিশ অয়েল ক্যাপসুল? কোনটি খেলে শরীরের বেশি উপকার? জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Vitamin D vs Fish Oil: সুস্বাস্থ্যের জন্যে এখন সবচেয়ে আলোচিত ভিটামিন ডি ও ফিশ অয়েল। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোনটি আপনার রুটিনে রাখা উচিত? জানুন চিকিৎসকের মতামত।
advertisement
1/10

সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কী খাবেন আর কী খাবেন না? এই প্রশ্নের উত্তর খুবই কঠিন। তবে আধুনিক শহুরে লাইফস্টাইল অনুযায়ী ঘরে ঘরে ভিটামিন ডি-র অভাব প্রত্যেকের শরীরে।
advertisement
2/10
আর তারই সঙ্গে ত্বক ও চুলের সমস্যায় ভুগছেন কোটি কোটি মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিনই দেখা যায় ইনফ্লুয়েন্সাররা নানা রকম সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ভিটামিন থেকে শুরু করে কোলাজেন পর্যন্ত। তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত দুটি হচ্ছে ভিটামিন ডি ও ফিশ অয়েল। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোনটি আপনার রুটিনে রাখা উচিত?
advertisement
3/10
ভিটামিন ডি-- ‘সানশাইন ভিটামিন’ নামে পরিচিত ভিটামিন ডি শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। হাড় মজবুত রাখতে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ও মুড ঠিক রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
advertisement
4/10
মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩৫% প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি নেই, বিশেষ করে শীতকালে বা সূর্যালোক কম পাওয়া যায় এমন অঞ্চলে। চিকিৎসক মিল্টন বিশ্বাসের মতে, ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এটি প্রদাহ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
5/10
ডিমের কুসুম, ফ্যাটি ফিশ ও ফোর্টিফায়েড দুগ্ধজাত খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে প্রয়োজনের তুলনায় কম পেলে সাপ্লিমেন্ট নেওয়া হয়। অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে, যেমন হাইপারক্যালসেমিয়া, বমি ভাব বা কিডনির সমস্যা।
advertisement
6/10
ফিশ অয়েল-- অন্যদিকে, ফিশ অয়েল হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের (ইপিএ ও ডিএইচএ)-এর চমৎকার উৎস। এটি হার্ট ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য বিখ্যাত। হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্তচাপ কমাতে এটি কার্যকর। অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইবার ফ্যাটি ফিশ খাওয়ার পরামর্শ দেয়।
advertisement
7/10
যারা নিয়মিত মাছ খান না, তাদের জন্য ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট হতে পারে কার্যকর বিকল্প। এমনকী উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৮% পর্যন্ত কমাতে পারে। এটি প্রদাহ কমায়, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সহায়তা করে।
advertisement
8/10
কোনটি ভাল? আপনার শরীরের চাহিদা ও স্বাস্থ্য লক্ষ্য অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি আপনি সূর্য আলো কম পান, হাড়ের সমস্যা থাকে বা ভিটামিন ডি-তে ঘাটতি থাকে, তাহলে ভিটামিন ডি উপকারী। আবার, যদি হার্টের সমস্যা থাকে বা মাছ খাওয়ার অভ্যাস না থাকে, তাহলে ফিশ অয়েল হতে পারে ভাল সমাধান।
advertisement
9/10
কোন সাপ্লিমেন্ট আপনার জন্য ভাল হবে তা জানতে হলে রক্তে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত এবং হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত কিছু নেওয়া বিপদজনক হতে পারে, তাই পেশাদার পরামর্শ ছাড়া কিছু শুরু করবেন না।
advertisement
10/10
তবে সবকিছুর উপরে গুরুত্বপূর্ণ হল-- সুষম খাদ্য, নিয়মিত সূর্যের আলো ও প্রাকৃতিক উপায়েই যতটা সম্ভব পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা। এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Vitamin D vs Fish Oil: ভিটামিন D নাকি আঁশটে গন্ধযুক্ত ফিশ অয়েল ক্যাপসুল? কোনটি খেলে শরীরের বেশি উপকার? জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ