মাছ ভালবাসেন? তাহলে এই মাছটা থেকে দূরে থাকুন! খেলেই শেষ হতে পারে গল্প!
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
শিশু, বয়স্ক ও পেটের সমস্যা থাকা ব্যক্তিরাও নিরাপদে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, ভিটামিন D, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম ও আয়োডিন থাকে। প্রোটিনও এতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। অর্থাৎ মাছ হলো দেহের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এক ভাণ্ডার।
advertisement
1/6

পশ্চিমবঙ্গে মাছ হলো খাবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানে মানুষ দুপুরের ভাতে মাছের ঝোল ছাড়া খাওয়াই কল্পনা করতে পারে না। মাছ না থাকলে তাদের খাবারকে অসম্পূর্ণ ধরা হয়। তবে সব ধরনের মাছ শরীরের জন্য সমান উপকারী নয়। সামুদ্রিক মাছগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি উপকারি। এই মাছগুলোতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে এবং প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে।
advertisement
2/6
স্যালমন, ম্যাকেরেল ও টুনা মাছ বিশেষভাবে ভালো বলে ধরা হয়। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়। ফলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।শিশু, বয়স্ক ও পেটের সমস্যা থাকা ব্যক্তিরাও নিরাপদে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, ভিটামিন D, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম ও আয়োডিন থাকে। প্রোটিনও এতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। অর্থাৎ মাছ হলো দেহের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এক ভাণ্ডার।
advertisement
3/6
তেলাপিয়া মাছের মধ্যে ক্ষতিকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি, যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এতে ডাইবিউটিলিন নামে এক রাসায়নিক জমে, যা অ্যাজমা, স্থূলতা (মোটা হওয়া) ও অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এছাড়া এতে ডাইঅক্সিন নামের বিষাক্ত পদার্থও পাওয়া যায়, যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
advertisement
4/6
চাষের মাছ সাধারণত যে জলে থাকে, তাতে শিল্প ও কৃষিজ বর্জ্য মিশে থাকে। ফলে এই মাছগুলো পুরোপুরি দূষিত। এদের শরীরে পারদ (মারকিউরি)-এর মাত্রা থাকে, যা মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পারদ স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও শিশুরা এই ধরনের মাছ থেকে দূরে থাকা উচিত।
advertisement
5/6
যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তবে গেঁটে বাত ও কিডনিতে পাথর হতে পারে। অতিরিক্ত মদ্যপান, মিষ্টি, ফ্রুক্টোজ, লাল মাংস ও কিছু মাছ (যেমন টুনা) বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। যদিও সামুদ্রিক মাছ সাধারণত নিরাপদ, তবে তা পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত।
advertisement
6/6
শেষে বলা যায়, সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যালমন ও ম্যাকেরেল বেছে নিন, আর চাষের মাছ যেমন তেলাপিয়া এড়িয়ে চলুন। মাছ নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর খাবার, তবে সঠিক মাছ বেছে নেওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি। সপ্তাহে ২–৩ বার মাছ খান, কিন্তু নিশ্চিত হোন তা দূষণমুক্ত।ভুল করেও তেলাপিয়া মাছ খাবেন না, কারণ এতে থাকা রাসায়নিক আপনার শরীরে ঢুকলে তা মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।