Sugar Addiction: চিনি ছাড়া খাবার রোচে না? এটিই কিন্তু 'গোপন মহামারী', কুরে কুরে খাচ্ছে শরীর, ১ মাস টানা না খেলে কী হবে? জানালেন বিশেষজ্ঞ
- Published by:Riya Das
- trending desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Sugar Addiction: ১৬ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সেলিব্রিটি ডায়েটিশিয়াল এবং ওয়েলনেস কোচ ডা. সিমরত কাঠুরিয়া বলেন যে, বহু মানুষ জানেনই না যে, তাঁদের চিনির প্রতি আসক্তি রয়েছে।
advertisement
1/8

আমরা হামেশাই চিনির প্রতি আসক্তিকে মিষ্টি খাওয়ার প্রতি ভালবাসার সমস্যা বলে গুলিয়ে ফেলি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, এটি আমাদের ধারণার তুলনায় অত্যন্ত সূক্ষ্ম।
advertisement
2/8
১৬ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সেলিব্রিটি ডায়েটিশিয়াল এবং ওয়েলনেস কোচ ডা. সিমরত কাঠুরিয়াবলেন যে, বহু মানুষ জানেনই না যে, তাঁদের চিনির প্রতি আসক্তি রয়েছে। আর আমি অনেক সময় মানুষের মধ্যে ক্রেভিং, মুড স্যুইং এবং লো এনার্জি লক্ষ্য করে থাকি। যা আসলে সুগার অ্য়াডিকশনের গোপন উপসর্গ।
advertisement
3/8
আর সবথেকে মজার বিষয় হল, চিনি কেবল মিষ্টি খাবারেই থাকে না। এটা স্যস, প্যাকেজড স্ন্যাকস, ব্রেড এবং এমনকী বাজারে স্বাস্থ্যকর বলে বিক্রি হওয়া খাবারের মধ্যেও থাকে। চিনি এত আসক্তিকর কেন?
advertisement
4/8
ডা. কাঠুরিয়ার মতে, এটা মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সেন্টারকে সক্রিয় করে। অনেকটা আসক্তিকর পদার্থের মতো—যা আমাদের চাপ বা ক্লান্তির সময় সহজাত ভাবে মিষ্টির প্রতিকারের দিকে পরিচালিত করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অভ্যাসের জন্য ওজন বাড়ে, হরমোনজমিত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। আর ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
advertisement
5/8
এই প্রবণতার কথা তুলে ধরে বিশ্বমানের রেকর্ডধারী ডায়েটিশিয়ান এবং ওয়েট ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট বলেন যে, রোজকার অভ্যাসের মাধ্যমেই চিনি আমাদের অভ্যাসের খাতায় ঢুকে পড়ে। চা-কে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স বলে ডাকা হয়। আর এটা আমাদের রোজকার অভ্যাসের অঙ্গ। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির একটি চক্রও বটে! আর একটা আসক্তিও তৈরি হয়ে যায়।
advertisement
6/8
উভয় বিশেষজ্ঞের মতে, চিনি ত্যাগ করা বাস্তবিক তো নয়ই, আর প্রয়োজনও নেই। ডা. কাঠুরিয়া বলেন, আমি তো বলব যে, ছোট ছোট বদলের মাধ্যমে শুরু করা যেতে পারে। জ্যুসের বদলে গোটা ফল, মিষ্টি সিরিয়ালের বদলে ওটস খাওয়া যায়।
advertisement
7/8
আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, কখনও মিল স্কিপ করা চলবে না। আসলে প্রোটিন, ফাইবার এবং হেলদি ফ্যাট সমৃদ্ধ ব্যালেন্সড খাবার স্বাভাবিক ভাবেই ক্রেভিং কমায়। অন্যদিকে ডা. ভরদ্বাজ আবার পুরনো দিনের সমাধানের কথা বলছেন। তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা রিফাইন্ড সুগার খেতেন না। বরং তাঁরা গুড়, খেজুর, মধু এবং ফ্রুট পাল্পের উপরেই ভরসা করতেন। রোস্টেড ছোলা, গোন্ধ লাড্ডু এবং হলদি দুধের মতো খাবার কিন্তু শরীরের জন্য উপকারী। সেই সঙ্গে ক্রেভিংও মেটায়।
advertisement
8/8
তাঁর পরামর্শ, সামান্য মিছড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে। ফল দিয়ে তৈরি ক্ষীর খাওয়া যেতে পারে। প্যাকেটজাত সিরিয়ালের পরিবর্তে ভেজানো বাদাম খেয়ে দিনটা শুরু করা যেতে পারে। মিষ্টি বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং সঠিক বিকল্পটা বাছতে হবে।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Sugar Addiction: চিনি ছাড়া খাবার রোচে না? এটিই কিন্তু 'গোপন মহামারী', কুরে কুরে খাচ্ছে শরীর, ১ মাস টানা না খেলে কী হবে? জানালেন বিশেষজ্ঞ