শিরা-ধমনীতে গেঁড়ে বসেছে 'বদ' কোলেস্টেরল...! ত্বকে এই '৭টি' লক্ষণ দেখলে সতর্ক হন! নয়তো 'হার্ট' ফেল করবে

ভাবছেন আপনার ছিপছিপে চেহারা বলে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি নেই? বড় ভুল! বাহ্যিক চেহারার সঙ্গে কোনও মিল নেই ভিতরের অঙ্গতন্ত্রের। কোথায় সেঁধিয়ে বসে আছে বদ কোলেস্টেরল, ভাবতেই পারছেন না। কী ভাবে বুঝবেন? যদি ত্বকে দেখেন নির্দিষ্ট কিছু চিহ্ন এখনই সাবধান হন, বুঝবেন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময় হয়েছে। কী সেগুলো?

বর্তমান সময়ে কোলেস্টেরলের সমস্যা বহু মানুষকে চিন্তায় ফেলছে। অনেকেই বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে হালকাভাবে দেখেন, কিন্তু তাঁরা জানেন না যে, এটি হৃদরোগ-সহ নানা জটিলতার কারণ হতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল বিভিন্ন ত্বকের লক্ষণের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। ডॉ. ও'ডোনোভান তাঁর ভিডিওতে ছয়টি মূল লক্ষণ তুলে ধরেছেন।

শরীরের কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখে সহজেই বোঝা যায় কোলেস্টেরল বাড়ছে কি না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই লক্ষণগুলি আগেভাগে চিনতে পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।

ত্বকে কোলেস্টেরলের লক্ষণ কী ভাবে ফুটে ওঠে? উচ্চ কোলেস্টেরল বিভিন্ন ত্বকের লক্ষণের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে পায়ের ত্বকের রঙ ফ্যাকাশে, চকচকে বা লালচে হয়ে যেতে পারে। এটি মূলত রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমার কারণে ঘটে।

কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে ত্বকে ছোট হলুদ বা কমলা রঙের গুটি দেখা যেতে পারে। সাধারণত কনুই, হাঁটু, হাত এবং গলার কাছে এই গুটিগুলি বেশি দেখা যায়।

চোখের পাতা ও তার নীচে হালকা হলুদ রঙের রেখা তৈরি হলে সতর্ক হওয়া জরুরি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ‘জ্যানথেলাজমা’ (Xanthelasma) বলা হয়, যা উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ।

কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণে শরীরের কিছু অংশ যেমন পিঠ, কোমর, হাত ও পায়ে ত্বক নরম বা আঠালো ভাব অনুভূত হতে পারে।

যদি চোখের আইরিসের চারপাশে সাদা, ধূসর বা হালকা নীল রঙের বলয় তৈরি হয়, তবে এটি উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। তরুণদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যেতে পারে।

উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, ফলে শরীরে কোনও ক্ষত হলে তা শুকোতে বেশি সময় নেয়।

গলা, বগল ও শরীরের অন্যান্য ভাঁজে গাঢ় কালচে দাগ দেখা গেলে তা উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। এটি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মধ্যেও দেখা যায়।

যদি শরীরে এই লক্ষণগুলির কোনও একটি বা একাধিক দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে, সঠিক ব্যবস্থা নিলে হৃদরোগের মতো গুরুতর সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র ইন্টারনেটের বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। News18 বাংলা এটি যাচাই করেনি। প্রয়োগের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।)