Wild Jujube: আপেল কুল বা চেরি কুল নয়, এই শীতে চেখে দেখুন এই বুনো কুল? বাজারে হুড়োহুড়ি চাহিদা
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Dipika Sarkar
Last Updated:
Purba Bardhaman Wild Jujube: অজয় নদীর তীরবর্তী ঝোপঝাড়ে জন্মায় টকমিষ্টি বনকুল। স্বাদে, গন্ধে ও চাহিদায় হার মানায় সব হাইব্রিড কুলকে। শীতের রোদে কাঁচা লঙ্কা–সরষের তেল মেখে খেলে স্বাদ হয় অতুলনীয়।
advertisement
1/6

কুল তো অনেক খেয়েছেন,এই বিশেষ প্রজাতির কুল খেয়েছেন কখনও? না খেলেই মিস করবেন।বর্তমানে আমাদের দেশি কুলের পাশাপাশি বাজারে একাধিকহাইব্রিড প্রজাতির কুল চলে এসেছে।কিন্তু এই কুলের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারেনা ওই সমস্ত হাইব্রিড কুল। এই কুলের গাছ মূলত বনে বাদারে হয়তাই এই কুল বনকুল নামেই পরিচিত।এই বুনো কুলের স্বাদ যানেন কেবল কুল প্রেমী মানুষজন। (ছবি ও তথ্য :দীপিকা সরকার)
advertisement
2/6
শীতের আমেজে মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে সঙ্গে যদি থাকে একমুঠো টকমিষ্টি স্বাদের বনকুল! এই অতুলনীয় স্বাদের কোনও বিকল্প হয়না। তবে বুনো কুল হয়ত রাজ্যের সব জায়গায় না মিললেও এখনও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে অনেকেই এই বন কুলের স্বাদ পেয়ে থাকেন। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের দামোদর ও অজয় নদের তীরবর্তী এলাকা-সহ মালভূমি এলাকা গুলিতে এই বনকুল গাছের দেখা মেলে।
advertisement
3/6
ছোট ছোট ঝোপঝাড়ের আকারে ওই বুনো কুলের গাছ গুলি হয়। গাছে অজস্র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাঁটা থাকে। যতকাঁটা তত কুলের ফলন হয়। ক্ষুদ্র প্রজাতির বুনো কুল ওই ঝোপঝাড় থেকে সংগ্রহ করা বেশ বিপদজনক বলে দাবি কুল বিক্রেতাদের। গাছ থেকে কুল সংগ্রহ করা মানে রক্তপাত হবেই। তবে পেটের তাগিদে গ্রামের বহু মহিলা সেই বুনো কুল সংগ্রহ করেন বলেই কুল প্রেমীরা এর স্বাদ পেয়ে থাকেন।
advertisement
4/6
কয়েক বছর আগেই কুলের চাহিদা মেটাতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হাইব্রিড কুল চাষ শুরু হয়। লাভজনক চাষ হওয়ায় বাজারে নানান প্রজাতির হাইব্রিড কুল চলে এসেছে। ওই কুলের নাম আবার অন্য ফলের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। যেমন, জনপ্রিয় হাইব্রিড জাতের কুল হল ভারত সুন্দরী কুল, আপেল কুল, এলাচ কুল, চেরি কুল ইত্যাদি।
advertisement
5/6
উখড়ার বাসীন্দা কুল প্রেমী সোমা দাস জানান, স্বাদে ও গন্ধে এই বন কুল অতুলনীয়। তবে গাছ থেকে এই কুল তোলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। হাতে কাটা ফুটে যায়। শীতের সময় পলাশ পাতা অথবা বট পাতার ঠোঙ্গায় করে নুন লঙ্কা সহকারে এই বনকুল বিক্রি হয়। দারুণ লাগে। কুল বিক্রেতা ঝর্না বাদ্যকর বলেন ভোর বেলায় নদীর পাড় থেকে বনফুল তুলে নিয়ে এসে বিক্রি করি। এই কাজ করতে কষ্ট হলেও বাজারে এই কুলের ভালো চাহিদা আছে। স্কুলের সামনে অথবা মাঠে ঘাটে পিকনিক করতে আসা মানুষজনও বন কুল কিনে খায়।
advertisement
6/6
তবে হাইব্রিড কুলের বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি হয় বনকুল। কুলপ্রেমীদের দাবি টক মিষ্টি বনকুল খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। তবে শীতের মরসুমে ওই কুল কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা আর কাঁচা সরষের তেল সহকারে মেখে খেলে এর সাধ বেড়ে হয় দ্বিগুণ। এই সময় দুর্গাপুরের বেশ কিছু পিকনিক স্পটে, স্কুলের সামনে বিক্রি হয় এই বনকুল। পাশাপাশি বেতের ঝুঁড়িতে কুল, পেয়ারা, কামরাঙা ইত্যাদির পশরা সাজিয়েও গ্রামের মহিলারা মাথায় করে বিক্রি করেন। (ছবি ও তথ্য: দীপিকা সরকার)
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Wild Jujube: আপেল কুল বা চেরি কুল নয়, এই শীতে চেখে দেখুন এই বুনো কুল? বাজারে হুড়োহুড়ি চাহিদা