Pear Health Benefits: ওজন কমবে তরতরিয়ে, কমবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি! রোজ পাতে রাখুন এই ফল; দারুণ উপকারী

সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ন্যাশপাতি। তবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এবং ওজন কমাতে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধেও ন্যাশপাতি অত্যন্ত উপকারী। বহু গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে, ন্যাশপাতি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)

হেলথলাইনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যাশপাতি প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাসিয়াম-সহ পুষ্টিতে ভরপুর।

হেলথলাইনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যাশপাতি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি ভাল উৎস। এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের অবশ্যই ন্যাশপাতি খাওয়া উচিত। একটি নাশপাতিতে প্রায় ৬ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা দৈনিক চাহিদার ২১ শতাংশ।

হেলথলাইনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যাশপাতি পেকটিন সমৃদ্ধ, যা অন্ত্র ভাল রাখে। এই ফলটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। ন্যাশপাতি খোসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে, তাই এই ফলটির খোসা না খাওয়াই ভাল।

ন্যাশপাতি খাওয়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রতিদিন ন্যাশপাতি মতো অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ ফল খাওয়া টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২৩% কমাতে পারে।

হেলথলাইনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যাশপাতি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এই ফল। ন্যাশপাতিতে থাকা প্রোসায়ানিডিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হার্টের ক্ষমতা বাড়ায়।

ন্যাশপাতির খোসায় রয়েছে কোয়ারসেটিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা প্রদাহ কমিয়ে হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে পারে৷ একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রতিদিন একটি ন্যাশপাতি খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি ৬ থেকে ৭ শতাংশ কমাতে পারে৷

হেলথলাইনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মহিলারা ১০ সপ্তাহের জন্য তাদের স্বাভাবিক খাবারের তালিকায় প্রতিদিন তিনটি ন্যাশপাতি অন্তর্ভুক্ত করেছেন তাদের গড় ১ কেজি করে ওজন হ্রাস পেয়েছে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)