কথা বললেই মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোয়? এক চামচ তেল দিয়ে করুন 'এই কাজ'...ঝকঝকে দাঁত, তরতাজা নিশ্বাস!

কথা বললেই দুর্গন্ধ বেরোয় আপনার মুখ দিয়ে? সবাই দূরে চলে যায়? হাসাহাসি করে আড়ালে? একদম চিন্তা করবেন না। শুধু তেল দিয়ে এটা একবার করুন, সুগন্ধে ভরবে মুখ। আত্মবিশ্বাস থাকবে তুঙ্গে। কী করবেন বুঝে নিন এবার।

মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা দূর করার জন্য রয়েছে সহজ কিছু ঘরোয়া টোটকা। বিশেষ করে ‘অয়েল পুলিং’—এই প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইনস্টাগ্রামে স্ক্রল করতে গিয়ে বা কোনও সেলিব্রিটির হেলথ পডকাস্টে হয়তো আপনি এই শব্দটা শুনে থাকবেন। কিন্তু এটা আদতে কী করে?

জল দিয়ে গার্গল না করে, এখানে ব্যবহার করা হয় খাওয়ার উপযোগী কোনও তেল। তবে সরষের তেলের তীব্র গন্ধ থাকার কারণে সেটি এড়িয়ে চলাই ভাল। বরং নারকেল তেল, তিলের তেল, সূর্যমুখীর তেল বা ফ্ল্যাক্স সিড অয়েলের মতো হালকা তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রথমে সকালে উঠে দাঁত ব্রাশ করে নিন, তার পরে জিভ পরিষ্কার করুন। তারপর মুখে ১ চামচ তেল নিয়ে ৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে গার্গল করুন। যতক্ষণ পারেন, মুখে তেল রেখে ফুঁটিয়ে ফুঁটিয়ে চূর্ণ করুন। শেষে তেলটি বাইরে ফেলে দিন এবং মুখ জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।

এই আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিকে ঘিরে বর্তমানে বেশ আলোচনা চলছে। কারণ, এই উপায়ে মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া এবং টক্সিন বেরিয়ে যায়। এতে ভাল ব্যাকটেরিয়ার জন্য জায়গা তৈরি হয়, মুখের ফোলাভাব কমে, এবং সামগ্রিকভাবে মুখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

শুষ্ক মুখ দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। তেল দিয়ে গার্গল করলে মুখ আর্দ্র থাকে, শুষ্কতা কমে যায়। ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ডেন্টিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অয়েল পুলিং জিনজিভাইটিস কমাতে সাহায্য করে, যা মাড়ির রোগের প্রাথমিক স্তর। এছাড়াও মুখের অ্যাসিডিক স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে এনামেল ক্ষয় কমে।

কিছু তেলে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা সকালে গার্গলের সময় লালা উৎপাদন বাড়ায় এবং হজমের উন্নতিতে সহায়তা করে। এটি শরীরে টক্সিন প্রবেশের আগেই তা দূর করতে সাহায্য করে।

তবে মনে রাখবেন, এটি কখনই দাঁত মাজা বা ফ্লসিংয়ের বিকল্প নয়। বরং এটি হল মুখের স্বাস্থ্য রক্ষার একটি পরিপূরক প্রক্রিয়া। প্রয়োজনে অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।