Monsoon Healthcare: বৃষ্টির দাপটে কিছুটা হলেও কমেছে অসহ্য গরম, কিন্তু এদিকে চোখ রাঙাচ্ছে ভাইরাসজনিত সংক্রমণও ! বর্ষায় নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Monsoon Healthcare Tips: অসহ্য গরম থেকে খানিক রেহাই মিললেও টানা বৃষ্টিপাতের জেরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি-কাশি, জ্বরের দাপট।
advertisement
1/12

গ্রীষ্মের দাবদাহের জ্বালা জুড়িয়ে গিয়েছে বর্ষার বারিধারায়। অসহ্য গরম থেকে খানিক রেহাই মিললেও টানা বৃষ্টিপাতের জেরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি-কাশি, জ্বরের দাপট। আসলে এই সময় হঠাৎ করেই তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমে যায়। যার জেরে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে। ফলে ভাইরাল সংক্রমণের মুখে পড়েন অনেকেই। আবার এদিকে বর্ষার মরশুমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যা ভাইরাসের বিকাশের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। ফলে ঠান্ডা লাগা, ফ্লু এবং অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই এই সময় শরীরের বিশেষ যত্ন নেওয়া আবশ্যক। সেই বিষয়েই আলোচনা করে নিচ্ছেন সল্টলেকের আইএলএস হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান ডা. সর্বজিৎ রায় (Dr. Sarbajit Ray, Consultant Physician , ILS Hospital, Salt Lake)। বর্ষার মরশুমে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ কী কী থাকতে পারে ৷ দেখে নেওয়া যাক ৷
advertisement
2/12
ভাইরাল ইনফেকশন বা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ: ইমিউনিটি হ্রাস এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতাজনিত কারণ ভাইরাসজনিত সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই সংক্রমণের সাধারণ উপসর্গগুলির মধ্যে অন্যতম হল - নাক দিয়ে জল পড়া, গলা ব্যথা, কাশি এবং জ্বর। (Representative Image)
advertisement
3/12
মশাবাহিত রোগ: বর্ষায় বৃষ্টির দাপট বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। আসলে বৃষ্টির জমা জলে বংশবিস্তার করে মশা। সঠিক ভাবে নজর দেওয়া না হলে কিন্তু শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পেতে পারে ৷ (Representative Image)
advertisement
4/12
জলবাহিত রোগ: বর্ষার মরশুমে জলবাহিত রোগের দাপট বেড়ে যাওয়ার ফলে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হল কলেরা, টাইফয়েড এবং হেপাটাইটিস এ। আসলে সংক্রমিত জল পান করার ফলে এই ধরনের রোগ দেখা দেয়। এমনকী গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে। (Representative Image)
advertisement
5/12
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: ভেজা অবস্থায় না থাকা ৷ বর্ষার মরশুমে ভেজা অবস্থায় না থাকাই ভাল। যতটা সম্ভব শরীরকে গরম রাখতে হবে। বাইরে থেকে বৃষ্টি ভিজে বাড়ি ঢুকলেও শীঘ্রই নিজের পরনের জামাকাপড় বদলে ফেলতে হবে। বেশিক্ষণ ভেজা জামাকাপড়ে থাকলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। (Representative Image)
advertisement
6/12
মশা থেকে সুরক্ষা: এই সময় মসক্যুইটো রিপেলেন্ট ব্যবহার করতে হবে। তার জন্য ফুলহাতা জামাকাপড় পরতে হবে। বাড়ির আশপাশে জল জমছে কি না, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া মশারি এবং জানলায় নেট ব্যবহার করা আবশ্যক (Representative Image)
advertisement
7/12
জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার রাখা: ভূগর্ভস্থ বা আন্ডারগ্রাউন্ড জলের ট্যাঙ্ক এবং বাড়ির ছাদে থাকা ওয়াটার ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে হবে। এতে জলবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমানো যাবে। জল সরবরাহে যাতে সংক্রমণ বা দূষণের উপস্থিতি না থাকে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।(Representative Image)
advertisement
8/12
সুরক্ষিত পানীয় জল: সব সময় পরিশ্রুত এবং বিশুদ্ধ জল পান করা উচিত। বাড়িতে ওয়াটার পিউরিফায়ার ব্যবহার করলে দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে। সেই কারণে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে। (Representative Image)
advertisement
9/12
অতিরিক্ত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ: খাবারের স্বাস্থ্যবিধি বা ফুড হাইজিন: বর্ষার মরশুমে রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আর খোলা জায়গায় রেখে দেওয়া খাবারও না খাওয়াই উচিত। কারণ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়। খাওয়ার আগে ফলমূল এবং শাকসবজি ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। (Representative Image)
advertisement
10/12
হ্যান্ড হাইজিন বা হাতের স্বাস্থ্যবিধি: বারবার সাবান আর জল দিয়ে নিজের হাত ধুতে হবে। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ার আগে এবং শৌচাগার ব্যবহার করার পরেই ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এটি জীবাণু এবং সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করে।(Photo-AI/ Representative Image)
advertisement
11/12
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: নোংরা জল এবং নোংরা-ময়লা আবর্জনা যাতে বাড়ির আশপাশে জমতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ এই সব স্থানে মশা-মাছি এবং ব্যাকটেরিয়া বেশি পরিমাণে জন্মাতে পারে। এভাবেই নিজের চারপাশের পরিবেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল: বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা হ্রাস করার জন্য বাড়িতে সঠিক বায়ু চলাচল বজায় রাখতে হবে। আশপাশের পরিবেশকে শুকনো এবং সাফসুতরো রাখতে ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে হবে। (Representative Image)
advertisement
12/12
চিকিৎসকের পরামর্শ: ভাইরাসজনিত সংক্রমণ অথবা অন্যান্য অসুস্থতা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা কিন্তু জটিলতা কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিরোধমূলক এই সমস্ত পদক্ষেপ এবং অতিরিক্ত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বর্ষার মরশুমের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। সতর্ক থাকতে হবে। সেই সঙ্গে বর্ষার মরশুম ভাল ভাবে উপভোগ করার জন্য নিজের স্বাস্থ্যের দিকটাও গুরুত্ব দিয়ে খেয়াল রাখাটা আবশ্যক। (Representative Image)
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Monsoon Healthcare: বৃষ্টির দাপটে কিছুটা হলেও কমেছে অসহ্য গরম, কিন্তু এদিকে চোখ রাঙাচ্ছে ভাইরাসজনিত সংক্রমণও ! বর্ষায় নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে