কলকাতায় বাড়ছে কনজাংটিভাইটিস! সংক্রমণের তীব্রতা ভয় ধরাচ্ছে, কী করবেন? জানালেন 'চক্ষুবিশেষজ্ঞ'
- Published by:Rachana Majumder
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
বেশিরভাগ ভাইরাল সংক্রমণ নিজে থেকেই সেরে যায়। চোখ থেকে জল পড়া, স্রাব বা জ্বালার মতো অস্বস্তিকর লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি পেতে চোখের ড্রপ এবং মলম দেওয়া হয়। চোখের পাতা বা কর্নিয়া তীব্র ফুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তার প্রদাহ-বিরোধী ওষুধ দেন।
advertisement
1/9

বর্ষা অতি মনোহর ঋতু গ্রীষ্ণমণ্ডলীয় দেশে, অস্বীকার করবেন না কেউই! একই সঙ্গে সেই প্রকৃতিকে শ্যামলিমায় মুড়ে দেওয়া ঋতুই আবার মানুষের চোখ গোলাপি আভায় ভরে দেয়। কথা হচ্ছে কনজাংটিভাইটিস নিয়ে, শহরজুড়ে চক্ষুবিশেষজ্ঞরা এই মরসুমে বিভিন্ন চোখের রোগের আকস্মিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছেন, যার মধ্যে কনজাংটিভাইটিসও রয়েছে।
advertisement
2/9
দিশা আই হাসপাতাল-এর কর্নিয়া বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. সোহম বসাক কনজাংটিভাইটিসের ক্রমবর্ধমান হার, প্রতিদিন আনুমানিক কেস রিপোর্ট, কনজাংটিভাইটিসের কারণ, প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের উপর আলোকপাত করেছেন।
advertisement
3/9
চক্ষুবিশেষজ্ঞদের কাছে, বর্ষাকাল আদতে কনজাংটিভাইটিসের বৃদ্ধির সমার্থক। এটি পিঙ্ক আই, আই ফ্লু বা বাংলায় চোখ ওঠা নামেও পরিচিত। মরশুমে উচ্চ আর্দ্রতা এবং ভেজা-ভেজা বস্তুর পৃষ্ঠতল (দরজার নব, লিফট বোতাম, রেলিং ইত্যাদি) থেকে ভাইরাস সহজেই ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে স্থানান্তরিত হয়। প্রতিদিন রিপোর্ট করা কেসের সংখ্যাও তাই বাড়ছে। শহরজুড়ে আমাদের ক্লিনিকগুলিতে প্রতিদিন প্রায় ৬০-৭০ জন রোগীর রিপোর্ট আসছে, বলছেন ডা. বসাক।
advertisement
4/9
ভাইরাল কার্যকলাপ বৃদ্ধির জন্য আবহাওয়া আদর্শ এবং বেশিরভাগ কনজাংটিভাইটিস অ্যাডেনোভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়। ফ্লুর মতো কিছু লক্ষণ কনজাংটিভাইটিসের সঙ্গে সম্পর্কিত।
advertisement
5/9
কনজাংটিভাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল অ্যাডেনোভাইরাস। এন্টারোভাইরাস বা রোটাভাইরাসের মতো অন্যান্য ভাইরাসও চোখ ওঠা সৃষ্টি করতে পারে। কখনও কখনও এগুলো ঠান্ডা লাগা, জ্বর, গলার সংক্রমণ এবং গোলাপি চোখ সব উপসর্গ মিলিয়েই ধরা দেয়, যাকে সম্মিলিতভাবে ফ্যারিঙ্গো-কনজাংটিভাল ফিভার বলা হয়।
advertisement
6/9
কনজাংটিভাইটিসের আরেকটি সাধারণ কারণ হল মাইক্রোস্পোরিডিয়া, এমন একদল মাইক্রোস্কোপিক পরজীবী যা নোংরা বা কাদাযুক্ত জলের সংস্পর্শে আসার ফলে ঘটে। নোংরা জল নিজেই জ্বালা এবং বিষাক্ততা সৃষ্টি করতে পারে যা চোখ লাল করে তোলে।
advertisement
7/9
চোখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলতে হবে, বিশেষ করে এমন স্থানে যেখানে হাত ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারে। জনাকীর্ণ স্থানে যাওয়ার পরে হাত ধুয়ে নিতে হবে। যদি কনজাংটিভাইটিস হয়, তাহলে চোখের সংস্পর্শে আসা জিনিসপত্র, যেমন তোয়ালে, বালিশ, রুমাল ইত্যাদি শেয়ার করা এড়িয়ে চলতে হবে।
advertisement
8/9
সংক্রামক সময়কাল ৫-৭ দিন, এই সময়ে একজন থেকে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। সেই সময়কালে কিছু আইসোলেশন সতর্কতা অনুসরণ করা ভাল। সংক্রামিত ব্যক্তির দিকে তাকালে কনজাংটিভাইটিস ছড়ায় না। এর সঙ্গে কিছু প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ শারীরিক যোগাযোগ জড়িত থাকতে হবে।
advertisement
9/9
বেশিরভাগ ভাইরাল সংক্রমণ নিজে থেকেই সেরে যায়। চোখ থেকে জল পড়া, স্রাব বা জ্বালার মতো অস্বস্তিকর লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি পেতে চোখের ড্রপ এবং মলম দেওয়া হয়। চোখের পাতা বা কর্নিয়া তীব্র ফুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তার প্রদাহ-বিরোধী ওষুধ দেন। চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি বা আলোর সংবেদনশীলতার মতো গুরুতর লক্ষণগুলির ক্ষেত্রে নিকটতম চক্ষুবিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করা উচিত।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
কলকাতায় বাড়ছে কনজাংটিভাইটিস! সংক্রমণের তীব্রতা ভয় ধরাচ্ছে, কী করবেন? জানালেন 'চক্ষুবিশেষজ্ঞ'