Kidney Stone: ডায়েট থেকে মুছে ফেলুন এই ৩ সবজি আর এই সাদা গুঁড়ো! চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গলে যাবে কিডনির পাথর! কমবে তলপেটের যন্ত্রণা!

যে কোনও বয়সেই কিডনিতে পাথর জমতে পারে৷ এর ফলে ভুক্তভোগীকে প্রচণ্ড যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। অনেক সময় ব্যথা এতটাই বেড়ে যায় যে ওষুধেরও প্রভাব দেখাতে সময় লাগে।

এই বিষয়টি নিয়ে, এইমস-এ কর্মরত ডিএম নিউরোলজি ডাঃ প্রিয়াঙ্কা শেহরাওয়াত তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই ভিডিওতে, ডাক্তার ব্যাখ্যা করছেন, 'পাথর গঠনের প্রধান কারণ হল প্রস্রাবে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং অক্সালেট।' যখন এই দুটি উপাদান একসাথে মিশে যায়, তখন তারা স্ফটিক আকারে শক্ত হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে পাথরের আকার ধারণ করে।

আপনার খাদ্যতালিকায় মাত্র ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনে আপনি কিডনিতে পাথর এড়াতে পারেন অথবা ইতিমধ্যেই সেই অঙ্গে থাকা পাথর থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

লবণ প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করে। যখন ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে, তখন এটি অক্সালেটের সাথে মিশে পাথর তৈরি করতে পারে। একই সাথে, অনেক গবেষণার ফলাফল দেখায় যে প্রতিদিন ৫ গ্রাম লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিলে পাথর গঠনের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। অতএব, আপনার লবণ গ্রহণ কমিয়ে দিন।

চিকিৎসকরা এমন ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন যাতে সাইট্রিক অ্যাসিডের পরিমাণ ভাল থাকে। যেমন লেবু, কমলা এবং কিউই ইত্যাদি। ডাক্তারের মতে, সাইট্রিক অ্যাসিড প্রস্রাবের উপাদানগুলিকে বাড়িয়ে তোলে যা পাথর গঠনে বাধা দেয় এবং ইতিমধ্যে উপস্থিত ছোট পাথরগুলিকে দ্রবীভূত করতেও সাহায্য করে।

পাথরের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। পালং শাক, মিষ্টি আলু, বিটরুটের মতো জিনিস কম খান। এগুলিতে অক্সালেট পাওয়া যায়। অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সাথে একত্রিত হয়ে পাথর তৈরি করতে পারে।

এ সবের পাশাপাশি, পাথর হলে ডাক্তাররা জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। ডাক্তারের মতে, প্রতিদিন কমপক্ষে ২.৫ লিটার জল পান করা উচিত যাতে প্রস্রাব পাতলা থাকে এবং বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে থাকে। বেশি করে জল পান করলে, ইতিমধ্যে উপস্থিত ছোট পাথরগুলিও কোনও ব্যথা ছাড়াই বেরিয়ে আসতে পারে।