kidney: আপনার প্রস্রাবের ধারা কি দুর্বল হচ্ছে! কিডনি ঠিক আছে তো? অবহেলায় হবে মারাত্মক ক্ষতি, সমাধানের উপায় জানুন...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
kidney: প্রস্রাবের ধারা দুর্বল হওয়া, বারবার টয়লেট যাওয়া, বা পুরোপুরি ফাঁকা না হওয়ার অনুভূতি হতে পারে প্রোস্টেট বৃদ্ধির লক্ষণ। উপেক্ষা করলে কিডনি ক্ষতি হতে পারে। চিকিৎসক জানাচ্ছেন প্রতিকার ও সতর্কতার সহজ উপায়, বিস্তারিত জানুন...
advertisement
1/9

অনেক সময় শরীরের নানা অসুস্থতার ইঙ্গিত পাওয়া যায় প্রস্রাবের মাধ্যমে। বারবার টয়লেটে যাওয়া বা প্রস্রাবের প্রবাহ দুর্বল হওয়া পুরুষদের ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যা অবহেলা করলে কিডনি পর্যন্ত খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
advertisement
2/9
ভারতে বহু পুরুষ বয়সের দোহাই দিয়ে প্রস্রাবের ধারা কমে যাওয়া বা রাতে বারবার টয়লেটে যাওয়ার মতো সমস্যাকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এগুলি সাধারণ হলেও গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে, যার নাম হল ‘বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া’ (BPH) বা প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি। দিল্লির ইন্ডিয়ান স্পাইনাল ইনজুরি সেন্টারের নেফ্রোলজিস্ট ড. উদিত গুপ্ত জানিয়েছেন, এই অবস্থা লক্ষ লক্ষ পুরুষকে প্রভাবিত করে।
advertisement
3/9
BPH বা ‘বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া’ হল এমন একটি অবস্থা, যেখানে মূত্রাশয়ের নিচে অবস্থিত প্রোস্টেট গ্রন্থি আকারে বড় হয়ে যায়। এই প্রোস্টেট ইউরেথ্রা (প্রস্রাবের নালি)-কে ঘিরে থাকে। প্রোস্টেট বড় হতে থাকলে এটি ইউরেথ্রাকে চেপে ধরে, ফলে প্রস্রাবের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়।
advertisement
4/9
ড. উদিত গুপ্ত জানিয়েছেন, ৫০ বছরের পর বহু পুরুষের প্রোস্টেট ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করে। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে: প্রস্রাবের ধারা দুর্বল হওয়া, শুরু করতে সমস্যা হওয়া, ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব হওয়া, এবং বারবার টয়লেট গেলেও পুরোপুরি ফাঁকা না হওয়ার অনুভূতি।
advertisement
5/9
ভারতে ৪৫ বছরের ওপরে পুরুষদের মধ্যে BPH খুবই সাধারণ। এক স্টাডি অনুযায়ী, ৬.৭% থেকে ১৪% পুরুষের প্রোস্টেট বড় হয়। লখনউতে হওয়া একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ৮৫% পুরুষের ক্ষেত্রে রাতে বারবার প্রস্রাব যাওয়া (নকচুরিয়া) সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা।
advertisement
6/9
প্রোস্টেট বড় হলে দুটি কারণে প্রস্রাবের প্রবাহ কমে যায়। প্রথমত, স্ট্যাটিক চাপ, যেখানে বড় প্রোস্টেট সরাসরি ইউরেথ্রাকে চাপে ফেলে। দ্বিতীয়ত, ডায়নামিক ফ্যাক্টর, যেখানে প্রোস্টেটের পেশিগুলি শক্ত হয়ে ইউরেথ্রাকে আরও সরু করে ফেলে। এর ফলে প্রস্রাব আটকে যেতে পারে, সংক্রমণ হতে পারে, এমনকি কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
advertisement
7/9
চিকিৎসকরা রোগীর মেডিক্যাল হিস্ট্রি নেওয়ার পর IPSS স্কোরের মাধ্যমে রোগের তীব্রতা নির্ধারণ করেন। এরপর হয় ডিজিটাল রেক্টাল পরীক্ষা (DRE), যা কয়েক সেকেন্ডেই করা যায়। এছাড়া, রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে প্রোস্টেট ও ব্লাডারের কার্যকারিতা দেখা হয়।
advertisement
8/9
এই রোগের ৪ স্তরে চিকিৎসা হয়: ১) লাইফস্টাইলে পরিবর্তন, যেমন ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল কমানো, ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম; ২) ওষুধে প্রোস্টেটের পেশি রিল্যাক্স করানো ও সাইজ কমানো; ৩) TUMT, TUNA, UroLift-এর মতো মাইক্রো প্রক্রিয়া; ৪) TURP বা HoLEP-এর মতো সার্জারি। সমস্যা উপেক্ষা করলে কিডনি পর্যন্ত নষ্ট হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
advertisement
9/9
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
kidney: আপনার প্রস্রাবের ধারা কি দুর্বল হচ্ছে! কিডনি ঠিক আছে তো? অবহেলায় হবে মারাত্মক ক্ষতি, সমাধানের উপায় জানুন...