আগামিকাল জন্মাষ্টমী, উপবাস করলে কী কী খাবেন ও কোন কোন খাবার খাবেন না, জানুন

ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি হিসেবে ৷ কয়েক যুগ ধরে এই পার্বণ প্রচলিত জন্মাষ্টমী নামে ৷ এ বছর জন্মাষ্টমী পড়েছে শুক্রবার ৷ ভক্তরা এই তিথিতে উপবাস করেন ৷ তার পর রাতে পুজো সমাপ্ত হলে প্রসাদ বা পুজোর ভোগ খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করেন ৷ উপবাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতার বিষয়গুলিও ৷ তাই জেনে নিন উপবাসের সময় কোন কোন খাবার খেতে পারবেন৷ আর কী কী খাবার থেকে দূরে থাকবেন৷

উপবাসকালে তাজা অথবা শুকনো ফল খেতে পারবেন ৷ এতে শরীর তরতাজা থাকে ৷ জন্মাষ্টমী তিথি তো দুধ ও দই ছাড়া অসম্পূর্ণ৷ তাই খেতেই পারেন টকদই৷ দুধের সঙ্গে ফল মিশিয়ে বানিয়ে নিন ফ্রুট শেক ৷ আপেল, কলা, কালোজাম, আঙুর, আমন্ড, আখরোট, নানা রকমের বাদাম-খেতে পারেন এই ফলগুলি ৷ এতে শরীরে এনার্জি বজায় থাকবে ৷ রোগ প্রতিরোধ শক্তিও মজবুত হবে ৷ যদি খালি পেটে দুধ খেলে গ্যাস অম্বলের সমস্যা হওয়ার প্রবণতা থাকে, তাহলে দুধ এড়িয়ে চলুন৷

উপবাস ভঙ্গের সময় খেতে পারেন সাবুদানার খিচুড়ি বা সাবুদানা মাখা ৷ এই হাল্কা খাবারে পরিপাক ক্রিয়া অটুট থাকবে ৷ দিনভর উপবাসের পর হাল্কা খাবার খাওয়াই বাঞ্ছনীয়৷ অনেকে আবার পছন্দ করেন আটা বা ময়দার তৈরি খাবার৷

এ বার দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার খাবেন না৷ উপবাসকালীন বা উপবাসভঙ্গের সময় প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না৷ আমিশ খাবারের পাশাপাশি বর্জন করুন পেঁয়াজ, রসুনকেও৷

উপবাসের সময় অনেকেই বার বার চা, কফি পান করেন ৷ তাঁরা মনে করেন এতে শরীর তরতাজা থাকবে৷ কিন্তু এই অভ্যাস বর্জনীয় ৷ কারণ খালি পেটে বার বার চা, কফি পান করলে অ্যাসিডিটি হয় ৷ দেখা দেয় গা বমি বমি ভাব এবং মাথাযন্ত্রণার মতো সমস্যাও৷

উপবাসের সময় শরীর যাতে জলশূন্য বা ডিহাইড্রেটেড না হয়ে পড়ে, খেয়াল রাখুন সেদিকেও ৷ পুজো শেষ হলে উপবাস ভঙ্গের পর পর্যাপ্ত জলপান করুন ৷