ত্বকে বলিরেখা? এখনই ঘুরিয়ে দিন ঘড়ির কাঁটা! 'কিশমিশ' ব্যবহার করুন এইভাবে...বয়স উল্টোদিকে হাঁটবে!

আমাদের শরীরের সৌন্দর্য প্রতিফলিত হয় মুখের উজ্জ্বলতায়। তাই অনেকেই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেক সময় ত্বকের সমস্যার কারণে বয়সের তুলনায় অনেক বেশি বয়স্ক দেখাতে পারে। তবে জানেন কি, একটি শুকনো ফল আছে যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল ও তারুণ্যময় রাখতে সাহায্য করবে?

আসলে আমরা বলছি কিশমিশের কথা, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে দারুণ কার্যকরী। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশমিশ ভেজানো জল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

কেন ত্বকের জন্য উপকারী কিশমিশ? কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, আয়রন ও পটাশিয়াম রয়েছে। এটি ত্বকের টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে।

একইসঙ্গে, এটি ত্বক উজ্জ্বল করতে অত্যন্ত কার্যকরী। এতে প্রচুর জলীয় উপাদান রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে রাখে। এছাড়া, কিশমিশের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। কিশমিশ ভেজানো জল ফেস টোনার হিসেবে ব্যবহার করলে ব্রণ ও দাগ দূর হয়।

চিকিৎসকদের মতে, কিশমিশের জল নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়। এটি বয়সের ছাপ দূর করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। যাঁদের ত্বকে বলিরেখা ও রুক্ষতা রয়েছে, তাঁদের জন্য কিশমিশের এই টিপস দারুণ কার্যকরী।

কিশমিশের জল তৈরির সহজ পদ্ধতি--- ১. ১৫ থেকে ২০টি কিশমিশ নিন ও ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলুন। ২. একটি কাঁচের পাত্রে এক কাপ গরম জল দিয়ে কিশমিশগুলো সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।

৩. পরদিন সকালে জলটি ছেঁকে নিন ও পরিষ্কার পাত্রে রেখে দিন। ৪. এই জল তুলো দিয়ে মুখ ও হাতে লাগান।

পরিবর্তন কবে দেখা যাবে? এই পদ্ধতি নিয়মিত এক মাস করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, সস্তায় পাওয়া যায় এবং কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য আজই শুরু করুন কিশমিশের যত্ন!