India: ভারতের জাতীয় 'গাছ' কোনটি জানেন...? গেস করুন তো 'নাম'! চমকে দেবে সঠিক উত্তর!

সাধারণ জ্ঞানের প্রতি বাঁকেই আছে চমক। আর এই জ্ঞান অনেকসময়ই এমন কিছু বিষয় সামনে এনে দেয় যা আমাদের অবাক করে। দেশ দুনিয়ার অনেক খবর রাখলেও হয়তো নিজের দেশেরই খুব চেনা কিছু বিষয় আমাদের অজানা।

ভারতের জাতীয় পশু বা জাতীয় পাখির নাম জানলেও, আমরা অনেকেই কিন্তু সঠিক জানি না আমাদের দেশের জাতীয় গাছ কোনটি। বলুন তো ভারতের জাতীয় বৃক্ষ কী? বটবৃক্ষ নাকি অন্য কোনও গাছ?

সাধারণটি বট গাছ ও রাজা গাছ অর্থাৎ আম গাছকে ভারতীয় সংস্কৃতি, ধর্ম এবং দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, এই দুই গাছই এদের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য সুপরিচিত।

বটগাছ এই দেশের মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এই গাছটি তার পরিধি, শক্তি এবং অবস্থান যা অনেক প্রাণীর বসবাসের জন্য কার্যকরি ভূমিকা নিয়ে চলেছে যুগ যুগ ধরে। প্রচুর পাখির আস্তানা হিসেবে সুপরিচিত এই গাছটি।

বটগাছ:বটগাছ তার প্রশস্ত ঘিরে ১৫ মিটার বা তার বেশি। এটি দেশের ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও কাজ করে। বটগাছের গোড়া নষ্ট হয়ে গেলেও গাছের পাল্প তাকে সমর্থন করার ক্ষমতা রাখে। বিশেষ করে কিছু গ্রামে গ্রামের প্রধানের উপস্থিতিতে বটগাছের ছায়ায় পঞ্চায়েত করার রেওয়াজ রয়েছে এই দেশে। বটগাছ প্রখর রোদ্দুরে দেয় শীতল ছায়া।

ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনিতেও বটগাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এটি বিভিন্ন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ এবং কাহিনিতেও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার শৈশবকালে একটি বটগাছের নীচে বিশ্রাম নিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। এই গাছে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ত্রিমূর্তি বাস করেন বলেও বিশ্বাস করা হয়।

তেঁতুল গাছ:হিন্দু পুরাণে তেঁতুল গাছকে রাজা গাছ বলে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। ভারতীয় বিশ্বাস অনুসারে, গৌতম বুদ্ধ বোধগয়ায় বোধি বৃক্ষ নামে পরিচিত রাজকীয় গাছের নীচে জ্ঞানলাভ করেছিলেন। আয়ুর্বেদ অনুসারে, এই রাজকীয় গাছ থেকে বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করা হয় যা মৃগীরোগ, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য পেটের সমস্যাগুলির মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত অবস্থার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ভারতের জাতীয় গাছ কোনটি?উভয় গাছেরই অসাধারণ সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে। তবে বটগাছকে ভারতের জাতীয় গাছ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ এর প্রশস্ত ঘের এবং তাঁবু গাছের শাখাকে সমর্থন করে, এটি দেশের ঐক্যের উদাহরণ দেয়। তাই এটি আমাদের ভারতীয় ঐতিহ্যের একটি মহান প্রতীক। এছাড়াও, ভারতীয় গ্রামগুলিতে বটগাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধু একটি গাছ নয় দেশের সমাজ ও সংস্কৃতির একটি প্রতীক।

নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত প্রভাব:বটগাছ এবং তেঁতুল গাছ উভয়ই পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলি অনেক পাখি, কীটপতঙ্গ এবং প্রাণীদের জন্য আশ্রয় এবং খাদ্য সরবরাহ করে। শক্তিশালী দুই গাছের রুট সিস্টেম মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং ভূগর্ভস্থ জলস্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। আর এসব গাছ দূষণ কমাতেও দারুন ভাবে সাহায্য করে। বিশেষ করে রাজকীয় গাছ বা রাজা গাছ বা তেঁতুল গাছ তার পরিবেশগত ভূমিকার জন্য সুপরিচিত। কারণ এটি রাতেও অক্সিজেন নির্গত করে।