Kishmis Health Benefits: ড্রাই ফ্রুট খাচ্ছেন মুঠোমুঠো আর এই ফল বাতিল, কোলেস্টোরলের ব্রহ্মাস্ত্র, সস্তার এই ড্রাই ফ্রুট করবে ম্যাজিক

:  দিনকাল এখন দারুণ ফাস্ট৷ একদিকে বাইরের জগতের চাপ, অন্যদিকে ঘরেও প্রবল চাপ, সব মিলিয়ে শরীর ভাল রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ এজিং হচ্ছে দ্রুত৷ আগে যে রোগগুলি ৬০-র পর শরীরে থাবা বসাত এখন সেই রোগ ৩০-এ শরীরে থাবা বসাচ্ছে৷  বর্তমান যুগে সুস্থ থাকতে একমাত্র ভরসা গুড ডায়েট৷  তবে মানুষের মনে একটি প্রশ্ন অবশ্যই জাগে তা হল কী ভাবে রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। সহজেই কী করে ভাল থাকা যায়।

আমরা অনেকেই জানি না যে ওষুধ বিষূধ নয়, আমাদের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমন কিছু চেনা জিনিস যা সস্তাও আবার দুর্দান্ত পুষ্টিকরও। যা নিয়মিত সেবনে দূর হয় রোগ বালাই নিমেষে।

ড্রাই ফ্রুট সেবন তারই মধ্যে একটি অসাধারণ ঘরোয়া উপায়। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয় শুকনো ফল। আর সেই তালিকায় বাকিদের দশ গোল দেয় কিসমিস। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এই সস্তার ড্রাই ফ্রুট।

"ভেজানো কিশমিশ দিয়ে দিন শুরু করা হাজারো রোগের এক দারুণ সমাধান।" এমনটাই বললেন খাদ্য বিশেষজ্ঞ, পুষ্টিবিদ এবং হরমোন স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক তথা ডায়েটিশিয়ান সিমরান কৌর। চলুন জেনে নেওয়া যাক তাঁর বিস্তারিত পরামর্শ, কী ভাবে কিশমিশ খেলে উপকার আর কখন।

আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদান কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর প্রভাব অন্যদের তুলনায় তাড়াতাড়ি শরীরে দেখা দিতে শুরু করে।

কিশমিশ যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, এর জলও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে কিশমিশের জল পান করলে পেট সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ দূরে থাকে।

সেই সঙ্গে প্রতিদিন এটি পান করলে ছোটখাটো রোগের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকা যায়। ত্বক ভাল থাকে। বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এই ড্রাই ফ্রুটের জল।

যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তারা অবশ্যই কিশমিশের জল নিয়মিত পান করবেন। এটি অ্যাসিডিটি এবং ক্লান্তির সমস্যাও দূর করে।

কিশমিশের জল খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে অনেক সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক রাখে। এটি পান করলে শরীরের অনেক রোগ সেরে যায়।