সুডৌল স্তন পেতে কাটাছেঁড়ার আগে জেনে নিন কিছু পদ্ধতি

নিজের ব্রেস্ট সুন্দর করে তুলতে চান সকলেই৷ কিন্তু ব্রেস্ট এনলার্জমেন্ট মানেই সিলিকন ইমপ্লান্ট, এমন ধারণ অনেকেরই রয়েছে৷ সার্জারি করাতে চান না অনেকেই৷ ফলে তারা পিছিয়ে যান সিদ্ধান্ত থেকে৷ জেনে নিন কত রকমের পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন ব্রেস্ট সুন্দর করে তুলতে৷

স্যালাইন ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট: স্টেরাইল সল্ট ওয়াটার দিয়ে তৈরি হয় এই ইমপ্লান্ট৷ এতে ব্রেস্টের শেপ দেখতে সুন্দর লাগলেও স্যালাইন ইমপ্লান্ট লিক করার ঝুঁকি থাকে৷ ফলে স্তন আবার চুপসে যেতে পারে৷

স্ট্রাকচারড স্যালাইন ইমপ্লান্ট: এক্ষেত্রে স্টেরাইল স্যালাইন ওয়াটার ইমপ্লান্টের সঙ্গে থাকে স্ট্রাকচারড ইনার লাইনিং৷ যার ফলে ব্রেস্ট দেখতে আরও ন্যাচারাল লাগে ৷

সিলিকন ইমপ্লান্ট: এক্ষেত্রে ব্রেস্ট ইমপ্লান্টে সিলিকন জেল ভরা থাকে ৷ যা ন্যাচারাল ব্রেস্ট টিস্যুর অমুভূতি দেয়৷ এই ইমপ্লান্ট লিক করলেও সিলিকন জেল ইমপ্লান্ট শেল বা ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট পকেটের মধ্যেই থাকে ৷ ফলে স্তন চুপসে যায় না ৷ ২২ বছরের নীচে এই এই ইমপ্লান্ট করানো যায় না ৷

গামি বেয়ার ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট: এই ধরনের ইমপ্লান্টে ইমপ্লান্ট শেল ভেঙে গেলেও ব্রেস্টের শেপ নষ্ট হয় না৷ ট্রাডিশনাল সিলিকন ইমপ্লান্টের তুলনায় এই ইমপ্লান্টে ঘন জেল ব্যবহার করা হয়৷ ত্বকের গভীরে প্রবেশ করানো হয় বলে গামি বেয়ারের স্থায়িত্ব অনেক বেশি৷

রাউন্ড ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট: মডেল, অভিনেত্রীরা এই ধরনের ইমপ্লান্ট করিয়ে থাকেন৷ এর ফলে স্তন অনেক বেশি গোলাকার, আকর্ষণীয় আকার দেওয়া হয়৷

স্মুদ ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট: এই ধরনের ইমপ্লান্ট সবচেয়ে নরম ও ন্যাচারাল অমুভূতি দেয়৷ এই ব্রেস্ট রাউন্ড ব্রেস্টের মতো শক্ত হয় না৷ অনেক বেশি সুবিধজনক এবং মিলনের ক্ষেত্রেও উপভোগ্য হয়৷

টেক্সচারড ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট: এই ক্ষেত্রে ইমপ্লান্ট ব্রেস্ট টিস্যুর মধ্যে আটকে থাকে৷ নড়াচড়া করতে পারে না৷ ফলে যেমন সুডৌল গঠন হয়, তেমনই লিক করার ঝুঁকি থাকে না৷