Home Remedy for Headache: মিনিটেই কমবে মাথাব্যথা... রান্নাঘরেই আছে ওষুধ! মুঠো মুঠো পেইন কিলার ছাড়ুন, ভরসা রাখুন পুরনো এই টোটকায়

মাথাব্যথা জনজীবনের বড়ই মাথাব্যথার কারণ৷ একবার শুরু হয়ে গেলে না কমে যাওয়া পর্যন্ত স্বস্তি নেই৷ না করা যায় কোনও কাজ, না শরীর মনে থাকে কোনও শান্তি৷ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, অনেক কারণেই আমাদের মাথাব্যথা হতে পারে৷ আমাদের আজকালকার ব্যস্ত জনজীবনের অন্যতম ফসল হল স্ট্রেস৷ সেই স্ট্রেস থেকে তো আখছাড় আমাদের মাথার যন্ত্রণায় ভুগতে হয়৷ এছাড়া, থাকে জল কম খাওয়া, প্রখর রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকা, মানসিক চাপের মতো কারণ৷

মাথার যন্ত্রণা হলে সাধারণত আমরা কোনও বাম, বা ইউক্যালিপটাস ওয়েল জাতীয় কিছু কপালে লাগিয়ে থাকি৷ তাতে কখনও কখনও আরামও মেলে৷ কিন্তু, এতেও কাজ না হলে মাথা ব্যথা কমাতে মুঠো মুঠো পেইনকিলার বা প্যারাসিটামল খাওয়ার নজিরও কম মেলে না৷ অনেকে তো অফিসের রোজের ঘন ঘন মাথা ধরার কারণে ব্যাগে সবসময় ওষুধ রেখেই দেন৷

কিন্তু, জানেন কি, ঘন ঘন ওষুধ খাওয়া, বা মাথা ব্যথা কমানোর জন্য ওষুধের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়া হতে পারে চরম ক্ষতিকারক৷ মাথা ব্যথা কমানোর কিন্তু, একাধিক ঘরোয়া টোটকাও রয়েছে৷ যাতে কোনও ওষুধ না খেয়েই মিনিটের মধ্যে কমিয়ে ফেলা যায় মাথা ব্যথা৷ জানেন, সেগুলো কী কী?

VemMD এর মতে, যদি কারও মাথার যন্ত্রণা শুরু হয়, তাহলে সবার প্রথমে কোনও পাতলা কাপড়ের পট্টি জলে ভিজিয়ে কপালে রাখুন, ঠিক যেমনটা জ্বরের সময় রাখে৷ এছাড়া, একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে কয়েকটা বরফের টুকরো নিয়ে, সেটা দিয়ে কপালে হাল্কা করে সেঁকও দিতে পারেন৷ বাড়িতে থাকলে, রুম টেম্পারেচরে থাকা ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করলে, বা শাওয়ারের নীচে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নিলে যন্ত্রণা থেকে আরাম মেলে৷ স্নান না করলে ঠান্ডা জলে মাথা ভিজিয়ে নিতে পারেন৷ ১৫ মিনিটের মধ্যেই পাবেন হাতেনাতে ফল৷

মাথা ধরা কমাতে, হিটিং প্যাড বা কোল্ড কম্প্রেসের সাহায্য নিতে পারেন। সাইনাসের কারণে যদি মাথা ধরে তাহলে এই পদ্ধতিটি ভাল কাজ করে। এর জন্য ঘাড়ের পিছনে হিটিং প্যাড রাখুন এবং মাথার পিছনে হাল্কা করে সেঁক দিন। মাথা ধরা থেকে মুক্তি পেতে ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে স্নান করেও আরাম পেতে পারেন৷

অনেক সময় ক্যাপ, সুইমিং গগলস, টাইট রাবার ব্যান্ড বা উঁচু পনিটেল পরার কারণে তীব্র মাথাব্যথার সমস্যা শুরু হয়। যদি এটি হয়, তাহলে আপনার আঙুল দিয়ে পনিটেলের জায়গায় ম্যাসেজ করুন।

অনেক সময় উজ্জ্বল আলোও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন প্রবণতা থাকলে রোদে বেরলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন৷ ল্যাপটপের স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন৷ নাইট মোডেও রাখতে পারেন৷ হলুদ আলো চোখের জন্যেও ভাল৷ এছাড়া, অ্যান্টি-গ্লেয়ার স্ক্রিন বা চোখের জন্য অ্যান্টি-গ্লেয়ার চশমা ব্যবহার করুন। তাৎক্ষণিক উপশম পেতে, চোখে ঠান্ডা জল ভাল করে ছিটিয়ে দিতে পারেন।

অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ চিবিয়ে খেলে চোয়ালের পাশাপাশি মাথায় ব্যথা হয়। বিশেষ করে আপনি যদি চুইংগাম চিবিয়ে থাকেন বা নখ বা ঠোঁটের ত্বকে কামড় দেন, তাহলে এই অভ্যাসটিও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটা করবেন না। এ ছাড়া দাঁতে কোনও ক্যাভিটি বা সংক্রমণও মাথা ব্যথার কারণ হয়৷ সেক্ষেত্রে, দ্রুত ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন।

দীর্ঘক্ষণ জল বা খাবার না খেয়ে থাকলে অনেক সময় আমরা ডিহাইড্রেশনের শিকার হই৷ এই সমস্ত ক্ষেত্রে, জল বা খাবার না খেয়ে থাকাও তীব্র মাথার যন্ত্রণার কারণ হতে পারে৷ যদি দেখেন, মাথা ধরতে শুরু করেছে এবং খেয়াল করেন যে আপনি জল বা খাবার অনেকক্ষণ খাননি, তাহলে ধীরে ধীরে অল্প করে হলেও বারে বারে অল্প জল এবং খাবার খেতে থাকুন৷ চোখে মুখে ঠান্ডা জল দিন৷

একটি নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাথাব্যথার ক্ষেত্রে আদা, পেপারমিন্ট (অথবা, পুদিনা পাতা) এবং লেবু অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এই জিনিসগুলিকে ওষুধের বিকল্প হিসাবেও ব্যবহার করা যায়৷ চায়ের সঙ্গে তো বটেই, গরম জলেও আদার রস বা লেবু, বা পেপারমিন্টের (অথবা, পুদিনা পাতা) পাতা দিয়ে সেটা ধীরে ধীরে খেতে পারেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই গায়েব হয়ে যাবে সব মাথা ধরা৷

Disclaimer: এই খবরের সত্যতা নিউজ ১৮ বাংলা নিশ্চিত করে না৷ প্রতিটা মানুষের শরীর এবং রোগের ধরন একেক রকম৷ যে কোনও সমস্যায় অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ দ্রুত সমস্যা শনাক্ত হলেই চিকিৎসা সহজ হয়৷