Health Care-Ayurvedic: ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল কমবে! বাড়তি ওজন ঝরবে! সকালে খান এক চামচ এই পাতার রস! জানুন চিকিৎসকের মত

এমন অনেক পাতা রয়েছে যা স্বাস্থ্যের উপর অসাধারণ প্রভাব দেখায়। এই পাতাগুলোর মধ্যে তুলসি পাতা হল অন্যতম। তুলসি শুধুমাত্র সুস্বাদু চা তৈরিতেই ব্যবহার করা হয় না। এটি কাঁচা চিবিয়েও খাওয়া যায়। তবে এর উপকারিতা শুধু সর্দি নিরাময়েই সীমাবদ্ধ নয়। ( তথ্য ও ছবি - সার্থক পন্ডিত)

তুলসিকে বলা হয় ঔষধি গাছ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-A, ভিটামিন-C, জিঙ্ক এবং আয়রন। এই পাতা রক্তে সুগারের পরিমাণ কমায়। শরীরে ডায়াবেটিসের লক্ষণ থাকলে তুলসি পাতা দারুণ উপকারি হতে পারে। তুলসি পাতা শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতেও সহায়ক। ( তথ্য ও ছবি - সার্থক পন্ডিত)

আয়ুর্বেদ ডাক্তার তুহিন সেন শর্মার মতে তুলসি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে দারুণ কার্যকর। তুলসির অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। এক কাপ জলে তুলসি পাতার চা পান করাও খুব ভাল বলে প্রমাণিত হয়। এটি মানসিক চাপও কমায়। ( তথ্য ও ছবি - সার্থক পন্ডিত)

কোলেস্টেরল কমাতে দারুণ কাজ করে। ওজন কমাতে এবং কোলেস্টেরল কমাতেও তুলসির উপকারিতা যথেষ্ট বলে প্রমাণিত। এতে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল বাড়ায়। ( তথ্য ও ছবি - সার্থক পন্ডিত)

পেটের স্বাস্থ্যের জন্যও তুলসি পাতা যথেষ্ট ভাল বলেই মনে করা হয়। এটি পাকস্থলীতে উৎপন্ন অ্যাসিড কমায়, যা পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যায় উপশম দেয়। অ্যাসিডিটি এবং বমি বমি ভাব অনুভব করলেও তুলসি খাওয়া যেতে পারে। (তথ্য - সার্থক পন্ডিত)

এই তুলসি পাতা খেলে সর্দি-কাশি চলে যায়। এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। ভাইরাল রোগ এবং ঠান্ডা ও ফ্লুর মতো সংক্রমণ নিরাময় করে। (তথ্য - সার্থক পন্ডিত)

তুলসি পাতার এত সব গুণাগুণের কারণেই এই পাতাকে আরোগ্যের গুণে পরিপূর্ণ বলা হয়ে থাকে। সকল বাড়িতেই এই গাছ চোখে পড়ে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই তুলসি পাতা চিবিয়ে কিংবা রস করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারি। (তথ্য - সার্থক পন্ডিত)