ব্লাড সুগারের সমস্যায় ভুগছেন? জানুন ওষুধ ছাড়াই কোন ঘরোয়া টোটকায় অসুখ থাকবে এক্কেবারে নিয়ন্ত্রণে...
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
Last Updated:
ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ যেমন জরুরি, তেমনিই দরকার রোজকার জীবনযাপনে কিছু বদল আনা।
advertisement
1/17

*হাই ব্লাড সুগার এখন ঘরে ঘরে। রক্তে মাত্রাতিরিক্ত শর্করা থাকাকেই চিকিৎসকেরা হাই ব্লাড সুগার বলেন। রক্তে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে শর্করা বা গ্লুকোজ থাকাই সুস্থতার লক্ষণ। এ বার শারীরিক সমস্যার কারণে রক্তের শর্করা যদি দেহের কোষে পৌঁছতে না পারে, সেই পরিস্থিতিকে হাই ব্লাড সুগার বলে। এটা নিয়ন্ত্রণে না আনলে ডায়াবেটিস হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলে থাকেন পর্যাপ্ত জল পান না করলে, ঘুম না হলে, বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খেলে, অত্যধিক স্ট্রেসের শিকার হলে, সকালে নিয়মিত ব্রেকফাস্ট না করলে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতেই পারে।
advertisement
2/17
*তবে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ যেমন জরুরি, তেমনিই দরকার রোজকার জীবনযাপনে কিছু বদল আনা।
advertisement
3/17
*নিয়মিত শরীরচর্চা: নিয়মিত হাঁটা, সাইক্লিং, দৌড়নো, জগিং ইত্যাদি করলে আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য, যার ফলে সহজেই রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
advertisement
4/17
*পর্যাপ্ত জল পান: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে কিডনি সুস্থ থাকে এবং অতিরিক ব্লাড সুগারের মাত্রাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই দেহকে হাইড্রেটেড রাখা খুব জরুরি।
advertisement
5/17
*ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা: সুস্থ এবং যথাযথ ওজন বজায় রাখলে রক্তে শর্করার মাত্রা এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
advertisement
6/17
*পর্যাপ্ত ঘুম: রাতের ঘুম পর্যাপ্ত এবং গভীর না হলে স্ট্রেসের মাত্রা বাড়ে, গ্লুকোজের মাত্রার হেরফের ঘটে, এবং সার্বিক ভাবে হরোমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই ঘুম নিয়ে হেলাফেলা না করাই ভাল!
advertisement
7/17
*নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে কার্ব খাওয়া: অতিরিক্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খেলে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়ে, কারণ কার্বোহাইড্রেট দেহের ভেতরে ভেঙে গিয়ে গ্লুকোজ তৈরি করে ফেলে। তা হলে উপায়?
advertisement
8/17
*বেশি পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া: ফাইবারযুক্ত খাবার কার্বের হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, দেহের গ্লুকোজ শোষণ মাত্রাও কমায়।
advertisement
9/17
*ক্রোমিয়াম আর ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া: ক্রোমিয়াম আর ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার খেলে এক দিকে উচ্চ রক্ত চাপ যেমন নিয়ন্ত্রিত থাকে, অন্য দিকে দেহের প্রয়োজনীয় মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস আসে এই ধরনের খাবার থেকে।
advertisement
10/17
*স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা: আমরা যখন মানসিক চাপে বা স্ট্রেসে থাকি, আমাদের শরীরে গ্লুকাগন, কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
advertisement
11/17
*রোজকার ডায়েটে জরুরি মশলা: মেথি, দারচিনির মতো কিছু মশলা রান্নায় ব্যবহার করা ভাল। এতে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
advertisement
12/17
*হার্বাল চা পান: দুধ চায়ের পরিবর্তে নিয়মিত ব্ল্যাক টি অথবা গ্রিন টি পান করলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
advertisement
13/17
*ভিনিগার খাওয়া: ভিনিগার দেহের কোলেস্টরলের মাত্রা এবং ব্লাড সুগারের মাত্রা দুই-ই কমায়
advertisement
14/17
*খাবারে গ্লাইসেমিকের মাত্রা কমানো: শুকনো বিন, ফল, ওটমিল, এই সব খাবারে গ্লাইসেমিকের মাত্রা কম থাকে, যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
15/17
*খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা: প্রয়োজনের বেশি, মানে পেট ঠেসে না খাওয়াই উচিত- এতে করে দেহে গ্লুকোজের মাত্রা কমে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও সহজ হয়।
advertisement
16/17
*জীবনযাপনে বদল; হাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় হল লাইফস্টাইলে বদল আনা। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং সুষম ডায়েটের মাধ্যমে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন নয়।
advertisement
17/17
*সব চেয়ে বড় কথা হল- নিয়মিত বাড়িতে ব্লাড সুগারের মাত্রা মেপে নিলে ঠিক সময় মতো সতর্ক হওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে। অতএব সব নিয়ম মেনে চলতে গিয়ে এই ব্যাপারে যেন ভুল না হয়!
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
ব্লাড সুগারের সমস্যায় ভুগছেন? জানুন ওষুধ ছাড়াই কোন ঘরোয়া টোটকায় অসুখ থাকবে এক্কেবারে নিয়ন্ত্রণে...