Green Juice: দিনের ঠিক এই সময়ে হাফ চামচ সবুজ রসেই পাল্টাবে বদহজমের খেলা! রকেটগতিতে গলবে মেদ! শুধু একটু সাবধানে খান ‘এঁরা’!

প্রায়ই বলা হয় যে আমরা যেভাবে সকাল শুরু করি তা দিনের বাকি সময়ের জন্য সুর নির্ধারণ করে। যদি আপনি অস্বাস্থ্যকর কিছু খান বা পান করেন, তাহলে সারাদিন আপনার অলসতা অনুভব করার সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যকর কিছু দিয়ে শুরু করলে আপনি আরও উদ্যমী বোধ করতে পারেন।

যদিও আপনার সকাল শুরু করার জন্য প্রচুর পুষ্টিকর খাবার এবং পানীয় রয়েছে, তবুও করলার রস সত্যিই গেম-চেঞ্জার হতে পারে। আমরা জানি আপনাদের অনেকেই এই সবজির স্বাদ পছন্দ নাও করতে পারেন, কিন্তু একবার আপনি এর আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা আবিষ্কার করলে, আপনার মন বদলে যেতে পারে। কেন এই আশ্চর্য পানীয় দিয়ে আপনার দিন শুরু করা উচিত তা জানতে পড়ুন। বলছেব পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা।

যদি আপনার ওজন কমানোর জন্য কষ্ট হয়, তাহলে সকালে এক গ্লাস করলার রস পান করলে উপকার পেতে পারেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (NIH) দ্বারা প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন ২ মিলি জলীয় করলার নির্যাসে শরীরের চর্বি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। এর কম ক্যালোরির পরিমাণ এবং উচ্চ ফাইবারের পরিমাণ ওজন কমানোর জন্য এর কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি করে।

NIH-এর আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে করলার রস পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে রস খাওয়ার মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। তবে, যেহেতু করলা দ্রুত রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে পারে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সতর্কতার সঙ্গে এটি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। হালকা খাবারের সঙ্গে এটি খাওয়াই ভাল।

করলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে,যা হজমের স্বাস্থ্যের জন্য এটিকে চমৎকার করে তোলে। সকালে এর রস পান করলে পেট ভরা অনুভূতি হয়, যা দিনের বেলায় অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া কমাতে সাহায্য করে। জার্নাল অফ এথনোফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, করলায় এমন যৌগ রয়েছে যা অন্ত্রের গতিশীলতা সমর্থন করে এবং সামগ্রিকভাবে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল কার্যকারিতা উন্নত করে।

সকালে করলার রস পান করার আরেকটি আশ্চর্যজনক উপকারিতা হল এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য এটি কী দুর্দান্ত? কারণ করলায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্ষতিকারক রোগের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। একবার আপনি প্রতিদিন এটি পান করা শুরু করলে, আপনি লক্ষ্য করবেন যে আপনি কম অসুস্থ হবেন।

ছুরি দিয়ে করলার খোসা ছাড়িয়ে শুরু করুন।করলার মাঝখান থেকে সাবধানে কেটে নিন।কাটা শেষ হয়ে গেলে, সবজির সাদা মাংস এবং বীজ বের করে নিন।এবার, করলা নিন এবং ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। টুকরোগুলো ঠান্ডা জলে প্রায় ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।করলা কুচিগুলো জুসারে লবণ এবং লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটি একটি গ্লাসে ঢালুন এবং ঘরের তাপমাত্রায় বা ঠান্ডা করে উপভোগ করুন!