Geminid Meteor Showers: রাতের আকাশে উল্কাবৃষ্টি! কখন-কীভাবে দেখবেন অপূর্ব এই মহাজাগতিক দৃশ্য?
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Geminid meteor showers: ভোর ২টো থেকে বা চন্দ্রাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত রাতের আকাশে চোখ রাখলেই দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি। টেলিস্কোপ বা দূরবীনে অবশ্যই বেশি ভালো দেখা যাবে, তবে উল্কাবৃষ্টি দেখার জন্য শুধু চোখই যথেষ্ট।
advertisement
1/9

শুরু হয়েছে সোমবার ১৩ ডিসেম্বর রাত থেকে। চলবে ১৭ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত। পরপর ৫ দিন ধরে রাতের আকাশে দেখা যাবে জেমিনিড উল্কাবৃষ্টি (Geminid Meteor Showers)। কীভাবে দেখবেন সেই মহাজাগতিক দৃশ্য?
advertisement
2/9
যাঁরা গ্রহ-নক্ষত্র ও তাঁদের চলাচলের মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে উৎসাহী, তাদের জন্য দারুণ সুখবর। মাত্র কিছুদিন আগেই পৃথিবীর আকাশ অতিক্রম করে গিয়েছে ধূমকেতু লিওনার্ড (Comet Leonard)। এবার রেশ কাটতে না কাটতেই, সোমবার রাত থেকে আকাশে ফের শুরু হয়েছে আরও একটি মহাজাগতিক ঘটনা - জেমিনিড উল্কাবৃষ্টি (Geminid Meteor Showers)।
advertisement
3/9
কোথা থেকে দেখা যাবে এই বিরল দৃশ্য? জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, সোমবার ১৩ ডিসেম্বর রাত থেকে শুরু হয়ে ১৭ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত, পরপর ৫ দিন ধরে রাতের আকাশে দেখা যাবে এই অপূর্ব দৃশ্য। তবে, এই উল্কাবৃষ্টি মূলত উত্তর গোলার্ধেই দৃশ্যমান হবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
advertisement
4/9
দক্ষিণ গোলার্ধেরও কিছু কিছু জায়গায়, অল্প পরিমাণে দেখা যেতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, প্রত্যেক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ টি পর্যন্ত জেমিনিড উল্কা দেখা যেতে পারে। আর সেই দৃশ্য যে এক অনির্বচনীয় দৃশ্য হয়ে উঠবে সেকথা বলাই বাহুল্য।
advertisement
5/9
কখন দেখা যাবে এই উল্কাবৃষ্টি? জানা যাচ্ছে ১৩-১৪ ডিসেম্বর ভোর ৩ টের দিকে চাঁদ অস্ত যাবে। রাতের আকাশে সেইসময় চাঁদের আলোর বাধা এড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণের জন্য ভালভাবে উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। তবে, রাত ২টো নাগাদই উল্কাবৃষ্টি সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সেই সময় উল্কাগুলি উজ্জ্বলতার এমন এক মানে থাকবে, যাতে উল্কাগুলি থেকে আলো বিকিরিত হচ্ছে বলে মনে হবে, তাই আরও বেশি দৃশ্যমানও হবে।
advertisement
6/9
কোথা থেকে ঝরে পড়ে জেমিনিডস উল্কাগুলি? নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ৩২০০ ফেথন (Geminids 3200 Phaethon) নামে একটি মহাজাগতিক বস্তুর ধ্বংসাবশেষ থেকে এই জেমিনিড উল্কাবৃষ্টি হয়। তবে এই ৩২০০ ফেথনের উৎপত্তি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, এটি একটি বিলুপ্ত ধূমকেতুর (Commet) অংশ।
advertisement
7/9
অন্য এক পক্ষের বিজ্ঞানীদের দাবি, এটি কোনও গ্রহাণুর (Asteroird) অংশ। যুক্তি হিসাবে তাঁরা মহাজাগতিক বস্তুটির কক্ষপথের দিকে নির্দেশ করেন। পর্যবেক্ষকরা দেখেছেন, জেমিনিড উল্কাগুলি অন্যান্য উল্কার থেকে বেশি ঘন। তাই, জ্বলে ওঠার আগে তারা পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ২৯ মাইল উচ্চতা পর্যন্ত আসতে পারে।
advertisement
8/9
জেমিনিড-এর ইতিহাস ১৮০০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম দেখা গিয়েছিল জেমিনিড উল্কাবৃষ্টি। প্রথমবার অবশ্য প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ১০ থেকে ২০ টি উল্কাপাত হতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে যত সময় গিয়েছে, ততই জেমিনিড উল্কাপাতের পরিমাণ বেড়েছে। জেমিনিড উল্কাবৃষ্টি এখন বছরের সবথেকে বড় উল্কাবৃষ্টি।
advertisement
9/9
কীভাবে দেখা যাবে এই উল্কাবৃষ্টি যেখানে আলো কম, সেখানে উল্কাবৃষ্টি দেখার সুযোগ অনেক বেশি। তাই শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামাঞ্চলে উল্কাবৃষ্টি বেশি ভাল দেখা যাবে। ভোর ২টো থেকে বা চন্দ্রাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত রাতের আকাশে চোখ রাখলেই দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি। টেলিস্কোপ বা দূরবীনে অবশ্যই বেশি ভালো দেখা যাবে, তবে উল্কাবৃষ্টি দেখার জন্য শুধু চোখই যথেষ্ট। এছাড়া, নাসার পক্ষ থেকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই মহাজাগতিক ঘটনা লাইভ স্ট্রিমিং করা হবে। তাই যে কোনও সময়ে সেখানেও দেখে নিতে পারেন জেমিনিড উল্কাবৃষ্টির এই বিরল সুন্দর দৃশ্য।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Geminid Meteor Showers: রাতের আকাশে উল্কাবৃষ্টি! কখন-কীভাবে দেখবেন অপূর্ব এই মহাজাগতিক দৃশ্য?