Jhargram Tourism: সবুজে ঢাকা পাহাড়, ঝর্ণা, জলপ্রপাত, লেক...কী নেই! ঝাড়গ্রামের 'এই' জায়গা থেকে পুজোয় ঘুরে আসুন
- Published by:Shubhagata Dey
- hyperlocal
- Reported by:Tanmoy Nandi
Last Updated:
Jhargram Tourism: ইট-কাঠ পাথরের জীবন ভুলে তাজা অক্সিজেনের খোঁজে ছুটি পেলেই জঙ্গলমহলের বেলপাহাড়িতে ছুটে আসেন পর্যটকেরা।
advertisement
1/7

*সবুজ অরণ্যে ঢাকা পাহাড়, তার মাঝে ঝর্না দেখতে উদগ্রীব হচ্ছেন পর্যটকেরা। ঝাড়গ্রাম জেলার শান্ত প্রাকৃতিক দৃশ্যে অপূর্বভাবে অবস্থিত মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির ভ্রমণের স্থান ঘাগরা জলপ্রপাত। ঝাড়গ্রামের এই জনপ্রিয় জলপ্রপাতের শান্ত পরিবেশ, ঘন বন এবং স্রোতস্বিনী জলরাশি দ্বারা বেষ্টিত। যারা অক্ষত প্রশান্তি চান তাদের জন্য আদর্শ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কে সঙ্গী করে একদিনের ভ্রমণ বা সপ্তাহান্তে বেড়াতে যাওয়ার আদর্শ ঠিকানা।
advertisement
2/7
*ঝাড়গ্রাম শহর থেকে প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দূরে দিগন্ত প্রসারিত লালজল পাহাড়। জঙ্গলের মধ্যদিয়ে ঝাঁ-চকচকে চড়াই উতরাই রাস্তা অতিক্রম করে শেষ তিন কিলোমিটার পাহাড়ি পথে লালজল গুহাতে পৌঁছন যায়। পাহাড়ের ২০০ মিটার উচ্চতায় পাথর কেটে গুহাটি একদা নির্মিত হয়েছিল। অনুমান করা হয় প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে এটা ছিল আদিম মানুষের আবাসস্থল। গুহার মধ্যে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষায় প্রস্তরায়ূধ পাওয়া গিয়েছে, যা কোলকাতার জাদুঘরে সংরক্ষিত। গৌহাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকতে হয়। বর্তমানে সজারু ও বন্য জন্তুর বাস। পাহাড়ের মাথা থেকে দূরের দৃশ্য নয়নাভিরাম।
advertisement
3/7
*জঙ্গলমহলে প্রায়শই বহু জায়গায় হাতির হানা হয়ে থাকে। খাবারের খোঁজে প্রায়ই হাতিরা ঢুকে পড়ে জঙ্গল মহলের নানা এলাকায়। যার ফলে জমির ফসল নষ্ট হয়, কোথাও বাড়িঘরও নষ্ট হয়। গজরাজের দাপটে অত্যিষ্ট হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। আতঙ্কে রাতের পর রাত জেগে থাকেন অনেকে। আর হাতির এই তাণ্ডব থেকে রক্ষার জন্য এবার তৈরি হচ্ছে হাতিদের 'অভয়ারণ্য'। হাতিদের রক্ষার্থে তৈরি হয়েছে প্রকল্প, যার নাম ‘ময়ূর ঝর্ণা।’
advertisement
4/7
চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা সবুজ শাল জঙ্গলের মধ্যে জলরাশির ছোঁয়ায় সপরিবারে বেড়ানোর পাশাপাশি পিকনিকের আনন্দে মেতে উঠতে চাইলে সেরা ডেস্টিনেশন হতে পারে জঙ্গলমহল তথা ঝাড়গ্রাম অরণ্য সুন্দরীর বেলপাহাড়ি। বেলপাহাড়ির খাঁদারানি লেক। শীতের সময় বাড়তি পাওনা হিসেবে পাওয়া যাবে পরিযায়ী পাখি দেখার সুযোগ।(ছবি ও তথ্য - তন্ময় নন্দী)
advertisement
5/7
*তারাফেনী ব্যারেজ হল ঝাড়গ্রামের তারাফেনী নামক শান্ত নদীর উপর অবস্থিত একটি ছোট মনোরম বাঁধ। এই এলাকার অন্যান্য বৃষ্টিনির্ভর নদী তারাফেনী তার নিজস্ব গতিতে প্রবাহিত হওয়ায় এটিকে শান্ত বলা হয়। বেলপাহাড়ি গ্রাম থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, এই ছোট ব্যারেজটি আকাশের বিপরীতে প্রকৃতির অত্যাশ্চর্য দৃশ্য উপস্থাপন করে। ঝাড়গ্রামে চারটি অপ্রয়োজনীয় নদী রয়েছে, যথা কংসাবতী, সুবর্ণরেখা, দুলং এবং তারাফেনী, যার মধ্যে শেষটি সবচেয়ে শান্ত। বিনপুর এবং বেলপাহাড়ি অতিক্রম করার পর, তারাফেনী অবশেষে কংসাবতী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়।
advertisement
6/7
*পাহাড়ের কোলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের ডালি, জঙ্গলমহলের কোলে লুকিয়ে থাকা এক অজানা আস্তানা। এক সময় মাওবাদীদের ডেরা ছিল এই অঞ্চল। কিন্তু আজ জঙ্গলমহলের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এই গ্রাম হয়ে উঠেছে এক অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মধ্যে লুকিয়ে থাকা গ্রামগুলোতে ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। এমনই একটি গ্রাম হল ঢাঙিকুসুম। ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া দু’পাশে ঘন সবুজ জঙ্গল। এর মাঝে উঁচু-নিচু টিলার চড়াই উৎরাই এর মধ্যে দিয়ে পথ।
advertisement
7/7
*দুর্গাপুজোয় ছুটি কাটাতে আপনার ঠিকানা হতে পারে গাড়রাসিনি পাহাড় ও আশ্রম। গাড়রাসিনি পাহাড়ের উপর থেকে বেলপাহাড়ির পাহাড়ের ঢেউ খেলানো ও শাল জঙ্গল অপরূপ দৃশ্য মন জয় করে নেবে যে কোনও ভ্রমণপিপাসু ব্যক্তির মন। শাল জঙ্গলের শান্ত পরিবেশে রাত্রিযাপনের পাশাপাশি সকাল সকাল পাহাড়ে উঠার আনন্দ।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Jhargram Tourism: সবুজে ঢাকা পাহাড়, ঝর্ণা, জলপ্রপাত, লেক...কী নেই! ঝাড়গ্রামের 'এই' জায়গা থেকে পুজোয় ঘুরে আসুন