Digha: ৯৯% বাঙালিই জানেন না...! প্রাণের প্রিয় ভ্রমণ ডেস্টিনেশন 'দিঘা', পুরনো নাম কী বলুন তো?
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Digha Knowledge Story: দিঘার সমুদ্র সৈকতের ঠান্ডা হাওয়া স্ট্রেসকে ভুলিয়ে দেওয়ার অব্যর্থ ওষুধ। কিন্তু সেই ‘দিঘা’ নামটির উদয় কোথা থেকে হল তা কি জানা আছে? ‘দিঘা’ নামের নেপথ্যেও রয়েছে এক অজানা ইতিহাস।
advertisement
1/13

বাঙালির প্রিয় ভ্রমণ ডেস্টিনেশন মানেই 'দিপুদা' অর্থাৎ দিঘা, পুরী আর দার্জিলিং। গ্রীষ্মের ছুটি হোক কিংবা শীতের, বেড়ানোর তালিকায় সবার আগে আসে দিঘা।
advertisement
2/13
সন্ধ্যেবেলা দিঘার সমুদ্র সৈকতের ঠান্ডা হাওয়া স্ট্রেসকে ভুলিয়ে দেওয়ার অব্যর্থ ওষুধ। কিন্তু সেই ‘দিঘা’ নামটির উদয় কোথা থেকে হল তা কি জানা আছে? ‘দিঘা’ নামের নেপথ্যেও রয়েছে এক অজানা ইতিহাস।
advertisement
3/13
তখন অষ্টাদশ শতাব্দী। বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার মসনদে মীরকাশিমকে নবাব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।
advertisement
4/13
কিন্তু নবাবের সাম্রাজ্যের ‘চাকলা মেদিনীপুর’-এর দায়ভার কোম্পানির হাতে। এই চাকলা মেদিনীপুরের অধীনে ছিল বীরকুল পরগনা নামে একটি অঞ্চল।
advertisement
5/13
জানা যায়, গভর্ণর ওয়ারেন হেস্টিংসের চোখে পড়ে যায় সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এই এলাকা। দিঘার মনোরম আবহাওয়া আকৃষ্ট করে তাঁকে। তিনি প্রথমে এই এলাকার নাম দেন ‘ব্রাইটন অফ ক্যালকাটা’।
advertisement
6/13
১৭৮০ সালে নিজের স্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে ওয়ারেন হেস্টিংস দিঘা তথা তৎকালীন বীরকুলকে ব্রিংটন- অফ ক্যালকাটা বলে উল্লেখ করেন।
advertisement
7/13
কলকাতার গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে ছুটি কাটাতে হেস্টিংস সাহেব নাকি প্রায়ই চলে আসতেন এই এলাকায়। শুধু তাই নয় সমুদ্রসৈকত নগরী এতটাই মনে ধরে যায় সাহেবের যে এখানে থাকার জন্য ১৭৭৫ সালে একটি বাংলো নির্মাণ করেন তিনি।
advertisement
8/13
যদিও পরবর্তীকালে সামুদ্রিক জলোচ্ছাসে পাড় ভেঙে যায় এলাকার। হেস্টিংসের বাংলোও ডুবে যায় সেখানে। অগাস্টাস হিকি সম্পাদিত ‘বেঙ্গল গেজেট পত্রিকা’তেও পাওয়া যায় বীরকুলের উল্লেখ। কিন্তু তারপরে কী ভাবে এই বীরকুল দিঘা হয়ে ওঠে?
advertisement
9/13
যদিও পরবর্তীকালে সামুদ্রিক জলোচ্ছাসে পাড় ভেঙে যায় এলাকার। হেস্টিংসের বাংলোও ডুবে যায় সেখানে। অগাস্টাস হিকি সম্পাদিত ‘বেঙ্গল গেজেট পত্রিকা’তেও পাওয়া যায় বীরকুলের উল্লেখ। কিন্তু তারপরে কী ভাবে এই বীরকুল দিঘা হয়ে ওঠে?
advertisement
10/13
পরবর্তীকালে, ১৯২৩ সালে জন ফ্রান্স স্মিথ নামে এক ইংরেজ ব্যবসায়ী পর্যটক এই সৈকত শহরের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে বাংলো বানিয়ে দিঘায় বসবাস করতে শুরু করেন। তাঁর বিভিন্ন লেখা থেকে বাড়তে থাকে দিঘার জনপ্রিয়তা।
advertisement
11/13
স্বাধীনতার পরে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়কে দিঘাতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ করেন স্মিথ। ১৯৫০ সালে বিধান চন্দ্র রায়ের উদ্যোগে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে দিঘা। তখন থেকে বাঙালির প্রিয় সৈকত সুন্দরী দিঘার পথ চলা শুরু। আর এইভাবেই বীরকুল দিঘা হয়ে ওঠে।
advertisement
12/13
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র দিঘা বরাবরই বাঙালিদের প্রাণের প্রিয়। নিউ দিঘা ও ওল্ড দিঘা-সহ এই পর্যটনকেন্দ্র আজ ঢেলে সাজাচ্ছে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রতিবছর দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ পর্যটক এখানে আসেন।
advertisement
13/13
আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু দিঘার সমুদ্র সৈকত, ঝাউবনের সারি, বোটিং, পার্ক, সাইন্সসিটি, মিউজিয়াম। পরাধীন ভারতবর্ষের বীরকূল আজ স্বাধীন ভারতের দিঘা। কিন্তু এই দিঘার নামই যে একসময় বীরকুল ছিল, তা হয়ত বাঙালিদের অনেকেরই অজানা।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Digha: ৯৯% বাঙালিই জানেন না...! প্রাণের প্রিয় ভ্রমণ ডেস্টিনেশন 'দিঘা', পুরনো নাম কী বলুন তো?