মিষ্টি নয়, ময়দা নয়...! এই সাদা রঙের 'খাবারই' ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য 'নীরব ঘাতক'! ছুঁয়েও দেখবেন না

ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণত মিষ্টি এবং মিহি ময়দা দিয়ে তৈরি জিনিস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে আরও একটি জিনিস আছে যা দেখতে খুবই সাধারণ মনে হলেও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য 'নীরব ঘাতক' হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে এই খাবারটি।

ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণত মিষ্টি এবং মিহি ময়দা দিয়ে তৈরি জিনিস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে আরও একটি জিনিস আছে যা দেখতে খুবই সাধারণ মনে হলেও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য 'নীরব ঘাতক' হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।

আমরা বলছি আরও একটি 'ম' দিয়ে শুরু খাবারের কথা। এটি হল 'মাল্টোডেক্সট্রিন' যা অনেক প্যাকেটজাত খাবার এবং আপাত স্বাস্থ্যকর দেখতে পণ্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।

মাল্টোডেক্সট্রিন হল একটি সাদা রঙের পাউডার যা ভুট্টা, আলু, গম এবং চালের স্টার্চ থেকে তৈরি। এটি অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবার, পানীয়, এনার্জি বার, স্যুপ, সস, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য এবং স্পোর্টস ড্রিংকসে ব্যবহার করা হয় যাতে সেগুলির স্বাদ, গঠন এবং শেলফ লাইফ উন্নত হয়।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি কেন বিপজ্জনক?বিখ্যাত ডায়েটিশিয়ান লাভলিন কৌরের মতে, ম্যাল্টোডেক্সট্রিনের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) টেবিল চিনির চেয়েও বেশি। টেবিল সুগারে এই ইনডেক্স GI ৬৫ থাকলেও, ম্যাল্টোডেক্সট্রিনের GI ১১০ পর্যন্ত হতে পারে।

জিআই যত বেশি হবে, রক্তে শর্করার পরিমাণ তত দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এর সরাসরি প্রভাব ইনসুলিন প্রতিরোধের উপর পড়ে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

ম্যাল্টোডেক্সট্রিনের অন্যান্য অসুবিধা:* এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে, কারণ এটি হঠাৎ করে শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

* এটি পাকস্থলীর ভাল ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে, যা পাচনতন্ত্রকে দুর্বল করে দেয়।

* এগুলি লুকানো কার্বোহাইড্রেট যা দ্রুত শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হতে পারে এবং স্থূলতার দিকে পরিচালিত করে।

* কিছু গবেষণা অনুসারে, ম্যাল্টোডেক্সট্রিনের অত্যধিক ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিতে পারে, যার ফলে শরীর রোগের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পরে।

দাবিত্যাগ: প্রিয় পাঠক, এই খবরটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই খবরটি শুধুমাত্র আপনাকে সচেতন করার জন্য লেখা হয়েছে। এটি লেখার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ তথ্যের সাহায্য নিয়েছি। যদি আপনি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু পড়েন, তাহলে অবশ্যই তা গ্রহণ করার আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।