Diabetic Diet List: সুগার কমানোর ‘ডায়েট চার্ট’, ডায়াবেটিসের রোগীরা ফলো করুন এই ‘খাদ্যের লিস্ট’, কী রাখবেন ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনারে, দেখে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

হিসেব বলছে ভারতে ডায়াবেটিস প্রায় অতিমারিতে পরিণত হয়েছে৷ এই রোগের অন্যতম কারণ খারাপ খাদ্যাভাস, ফাস্ট লাইফস্টাইল ও খানিক জিন৷

এ এমন এক রোগ যাকে নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে সে, অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকেও শেষ করে দেয়৷ আসলে ব্লাড সুগার হলে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না৷ শরীর যখন প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন করতে অক্ষম হয় তখনও এই সমস্যা হতে পারে৷ তাকে সময় মতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, সে হৃদপিণ্ড, কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের প্রভূত ক্ষতি করতে পারে৷

কেবল কড়া-কড়া অসুখ খেলেই কিন্তু এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না৷ এর জন্য জরুরি সঠিক ডায়েট প্ল্যান৷

ডায়েটিশিয়ান সৌম্যা আগরওয়াল সুগারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বেশ কিছু ডায়েট প্ল্যানের কথা বলেছেন৷ এমনই এক বিশেষ ডায়েট প্ল্যান আপনার জন্য আমরা শেয়ার করলাম৷ জলখাবার, লাঞ্চ এবং ডিনারে এই ডায়েট মেনে চললে, উচ্চ শর্করা রোগীদের জন্য নিশ্চিত ভাল ফল করবে৷

ডায়েট প্ল্যানআপনার ডায়েট পরিকল্পনা করার সময় খেয়াল রাখবেন, সুগার (গ্লুকোজ) কার্বহাইড্রেট, এবং প্রসেজ়ড ফুড থেকে যেন সেই ডায়েট দূরে থাকে৷ কার্বহাইড্রেট ইনটেকের উপর নজর রাখুন৷ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালের ব্রেকফাস্ট থেকেই সঠিক খাবার বেছে নিন৷ আসুন দেখে নিন কখন? কী খাবেন?

সকালি খালি পেটেএক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে এক টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন৷ এতে শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়৷

ব্রেকফাস্টব্রেকফাস্টে সুগারের রোগীদের অবশ্যই ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত৷ সে ক্ষেত্রে কয়েকটি বিকল্প রইল আপনার জন্য৷

১ বাটি পোরিজ, ১ টা শসা এবং সঙ্গে টম্যাটো-সহ এক বাটি মুসলি বা দুধ খান৷ চাইলে ১টা শসা বা টম্যাটোর সঙ্গে গম পরিজও খেতে পারেন৷ পানীয় হিসেবে ১ কাপ চা বা কফি, অথবা বাটার মিল্কও খেতে পারেন৷

মাল্টি গ্রেইন রুটি ও ডিমসকালের খাবারে ২টো মাল্টি গ্রেইন রুটি ও ডিমের সাদা অংশ রাখুন৷ সঙ্গে মিষ্টি ছাড়া চা বা কফি রাখুন৷ সঙ্গে মরসুমি ফল যেমন ১টা আপেল অথবা ১টা কমলা অথবা ১টা পেয়ারা রাখুন৷

মাল্টি গ্রেইন রুটি ও ডিমসকালের খাবারে ২টো মাল্টি গ্রেইন রুটি ও ডিমের সাদা অংশ রাখুন৷ সঙ্গে মিষ্টি ছাড়া চা বা কফি রাখুন৷ সঙ্গে মরসুমি ফল যেমন ১টা আপেল অথবা ১টা কমলা অথবা ১টা পেয়ারা রাখুন৷

টিফিনডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়ই ঘন-ঘন অল্প করে খাওয়া উচিত৷ দুটো খাবারের মধ্যে বেশি সময়ের ব্যবধান না রাখাই কাম্য৷ তাই ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মধ্যে কয়েকটা বিকল্প বেছে নিন৷

১ কাপ গ্রিন টি-সহ এক মুঠো ভাজা ছোলা খেতে পারেন৷ একটা মরসুমি ফল (আপেল, কমলা, গাজর)ও রাখতে পারেন৷

১টি বড় বাটি সবজি দিয়ে খিচুড়ি, ১ বাটি স্যালাড/ ২ টি শসা/ ২টি টম্যাটো + আধবাটি ব্রাউন রাইস + একটি বড় বাটি সবজি + ডাল / স্প্রাউট / দই / বাটারমিল্ক / ২-৩ পিস্ চিকেন / মাছ ২টি মাল্টিগ্রেন রুটি/ ১ বাটি সর্ষের শাক/ দই/ মুরগির স্যুপ/ ১টি শসা/ ২টি টম্যাটো/ ১ বড় বাটি সবুজ শাকসবজি

২টো মাল্টিগ্রেন রুটি, ১বাটি পালং বা সর্ষে শাক,১ বাটি ডাল, ১টা গাজর, ১ বাটি সবজির সুপ অথবা দই, ১ বাটি স্যালাড অথবা ২টো রুটি, ১ বাটি বড় সবজি, ১ বাটি ডাল, স্প্রাউট বা দই, বাটার মিল্ক সঙ্গে ২ থেকে ৩ টুকরো চিকেন৷

বিকেলের টিফিনবিকেল চারটে-পাঁচটার মধ্যে ছোট্ট কিছু টিফিন করে নেবেন৷ সেক্ষেত্রে ১টা গোটা ফল, ১ মুঠো ছোলা, বাটার মিল্ক বা স্যান্ডউইচ খেয়ে নিতে পারেন৷

রাতের খাবারসুগারের রোগীদের অবশ্যই রাতের খাবারে স্যালাড অন্তর্ভুক্ত করুন৷ তবে রাতে বিটরুট এবং কলা কিন্তু খাবেন না৷ রাতের খাবারে এই জিনিসগুলো খেতে পারেন৷ রাতে ১ বাটি স্যালাড, ১ বাটি ডাল, স্প্রাউট, দই, অথবা বাটার মিস্ক, ২-৩ টুকরো মাছ বা চিকেন৷ ১ বড় বাটি সবজির খিচুড়ি অথবা মাল্টিগ্রেন ময়দার তৈরি রুটি বা বাজারের রুটি তৈরি করতে পারেন৷

ঘুমানোর আগেঘুমানোর আগে ১ গ্লাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে ২টি আখরোট বা ৪টি বাদাম খেতে পারেন।

এমার্জেন্সি খাবার১ টুকরো ডার্ক চকলেট বা রোস্টেড বাদাম রাখতে পারেন৷ হঠাৎ করে শর্করা খুব কমে গেলে এই টোটকা দুর্দান্ত কার্যকর ভূমিকা নেন৷