Blood Sugar Control Tips: ডায়াবেটিসে আশীর্বাদ! ওষুধ ছাড়া ১ মুঠো বাদামেই কমবে ব্লাড সুগার! জানুন চিকিৎসকের জাদু-টিপস‍!

প্রকৃতিতে এমন অনেক গাছপালা এবং গাছ পাওয়া যায় যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এরকম একটি উদ্ভিদ হল তেতো বাদাম। এর ফল বাদামের মতো দেখতে, কিন্তু এর স্বাদ তেতো। তেতো বাদাম ফল মূলত দাদ, খোস-পাঁচড়া, চুলকানি এবং বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও এর স্বাদ তেতো, তবুও এর উপকারিতা মিষ্টির চেয়ে অনেক বেশি বলে মনে করা হয়।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডঃ মহেশ কুমার ব্যাখ্যা করেন যে তেতো বাদামের পেস্ট ছত্রাকের সংক্রমণ, দাদ বা ত্বকের চুলকানি থেকে মুক্তি দেয়। আয়ুর্বেদ বিশেষভাবে এটিকে ত্বকের রোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং ত্বকের সমস্যার জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া, ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্যও তেতো বাদাম ব্যবহার করা হয়।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডঃ মহেশ কুমার ব্যাখ্যা করেছেন যে তেতো বাদাম সংক্রমণ দূর করতে এবং ত্বককে প্রশান্ত করতে সাহায্য করে। ডাক্তারের মতে, তেতো বাদাম কফ দূর করতে সহায়ক। এগুলি পিষে মধুর সঙ্গে খেলে দীর্ঘস্থায়ী কাশি, কফ এবং শ্বাসকষ্ট দূর হয়। এই বাদাম মূলত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয় কারণ এর তেতো প্রকৃতি ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

এর ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে আর্দ্রতা দেয়, শুষ্কতা দূর করে এবং উজ্জ্বল করে। তেতো বাদাম হজমের উন্নতিও করে। পরিমিত পরিমাণে খেলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায় এবং গ্যাস এবং বদহজমের মতো সমস্যা কমায়।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ মহেশ কুমার বলেন, তেতো বাদাম জলে ভিজিয়ে পিষে তাতে হলুদ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে বা চুলকানির উপর লাগান। দিনে দুবার ব্যবহার করলে আরাম পাবেন। এছাড়াও, ৩-৪টি তেতো বাদাম পিষে এক চামচ মধুতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খান। এতে কফ পরিষ্কার হয় এবং ফুসফুস শক্তিশালী হয়।

তেতো বাদাম থেকে তৈরি তেল ফাটা গোড়ালিতে লাগালে ত্বক নরম হয়। তিনি বলেন, প্রাচীনকালে যখন আয়ুর্বেদের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হত, তখন তেতো বাদাম অনেক রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হত। আজও এটি অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে।